কলকাতায় রান্নার এত দিন ধরে রান্নার কাজে সিলিন্ডারের গ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছে। ১৪ দশমিক ২ কেজি ওজনের প্রতিটি গ্যাস বোঝাই সিলিন্ডারের দাম ৮৩০ রুপি। তবে কলকাতাবাসী এখন পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস পাবেন। বাড়িতে গ্যাস সরবরাহের জন্য পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু হচ্ছে আগামী মার্চে। অক্টোবরের মধ্যে সরবরাহ শুরু হতে পারে।

ভারতের ইন্ডিয়ান অয়েল ও হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়াম—এ দুটি কোম্পানি রান্নার গ্যাস সরবরাহ করে আসছে কলকাতাসহ রাজ্যজুড়ে। ঢাকার মতো এই রাজ্যে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা ছিল না। রাজ্যবাসীও বারবার দাবি তুলেছেন, পাইপলাইনের মাধ্যমে বাড়িতে বাড়িতে গ্যাস সরবরাহের। তাতে গ্যাসের দাম কম পড়বে এবং বাড়িতে বাড়িতে সিলিন্ডারের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের ঝক্কি থাকবে না।

সেই লক্ষ্য নিয়ে এই রাজ্যে বাড়িতে বাড়িতে রান্নার গ্যাস সরবরাহের উদ্যোগ নেয় বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি। কিন্তু বাড়িতে এই গ্যাস সরবরাহের জন্য মাটি খুঁড়ে গ্যাসলাইন বসানোতে কলকাতা পৌর করপোরেশন যে খরচ দেওয়ার কথা বলে, তাতে সায় দিচ্ছিল না গ্যাস কোম্পানি। তারা দাবি করেছিল, বাড়িতে গ্যাসলাইন বসানোর খরচ আরেকটু বাড়াতে হবে।

এ নিয়ে দেনদরবারের কারণে বছরখানেক আটকে থাকে কলকাতায় বাড়িতে বাড়িতে রান্নার গ্যাস সরবরাহের প্রকল্পটি।

অবশেষে সম্প্রতি সেই জট কেটে গেছে। ঠিক হয়েছে, প্রথম পর্যায়ে কলকাতা শহরে এই রান্নার গ্যাসের পাইপলাইন বসানো হবে ইএম বাইপাসের কালিকাপুর কানেকটর থেকে যাদবপুর থানা পর্যন্ত। চার কিলোমিটার পথে পাইপ বসানোর কাজ চলবে। যদিও প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হতে কলকাতা পৌর করপোরেশনের সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার পথে পাইপলাইন বসানো হবে। সংস্থার সিইও অনুপম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পূজার আগেই প্রথম পর্যায়ের চার হাজার কিলোমিটার পাইপলাইন বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।

প্রস্তাবিত এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় এখানে পাইপলাইন বসাতে সময় লাগতে পারে। প্রতি মিটার মাটি কাটতে খরচ ৮৪৫ রুপি করে।

সংস্থার কর্মকর্তা অনুপম মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমরা আশা করছি, হুগলির দু–তিনটি পৌর এলাকাসহ উত্তর চব্বিশ পরগনার একাধিক পৌর এলাকায় পূজার পর পাইপলাইনে রান্নার গ্যাস সরবরাহ করা শুরু হয়ে যাবে।’ তিনি এ কথাও বলেছেন, সারা রাজ্যে গ্যাসলাইন বসাতে যে খরচ শুধু কলকাতার বাইরে সেই খরচ ৫ গুণ বেশি হবে কলকাতায়। তাই বেশি খরচেই কালিকাপুর থেকে যাদবপুর থানা পর্যন্ত পাইপলাইন বসাবে বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ন ন র গ য স সরবর হ গ য স সরবর হ র কলক ত য়

এছাড়াও পড়ুন:

বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে, নিম্নমুখী চালের দাম

ঈদের বন্ধের আমেজ কাটতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলো। ক্রেতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারগুলোতে বেড়েছে সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক দিনের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে সবজির দাম। পেঁয়াজ, রসুন ও চালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও নিম্নমুখী।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার পর নগরের কাঁচাবাজারে সবজির সরবরাহ কমে যায়। ফলে দাম ছিল কিছুটা বাড়তি। গত রোববার ও সোমবারের দিকে নগরের আড়তগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে। অধিকাংশ সবজির দামও ৪০ টাকার আশপাশে ছিল। তবে গত মঙ্গলবার থেকে আবারও বাজারে পুরোদমে সবজির সরবরাহ শুরু হয়েছে। যার কারণে দাম কমতে শুরু করেছে।

আজ শুক্রবার নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারের পাইকারি আড়তে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২০ থেকে ৪০ টাকা দরে। বেশির ভাগ সবজির দাম প্রতি কেজি ১০ থেকে ৩৫ টাকা। তবে খুচরা বাজারগুলোতে প্রায় দ্বিগুণ দামে সবজি বিক্রি হতে দেখা যায়। নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার, সাব এরিয়া ও কাজির দেউড়ি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম ৬০ টাকার বেশি। লাউ, মিষ্টিকুমড়া ও ফুলকপির দাম কিছুটা কম। এসব সবজির দাম ৫০ টাকার আশপাশে। খুচরা বাজারগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি দরে। পরিবহন খরচ ও আগে কেনার অজুহাতে বাড়তি দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা। রিয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তদার নুরুল ইসলাম বলেন, বাজারে সব সবজির দাম কম। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীদের কারণে ভোক্তাদের ভোগান্তি হচ্ছে। আড়তের দামের দ্বিগুণ দামে তাঁরা সবজি বিক্রি করছেন।

সবজির বাজারের পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন ও চালের দামও নিম্নমুখী। খাতুনগঞ্জের পাইকারি আড়তে আজ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫২ টাকা দরে। খুচরা পর্যায়ে দাম ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি। অন্যদিকে রসুনের কেজি আড়তে ছিল ৮৫ থেকে ১১০ টাকা। খুচরায় সেটি ১০০ থেকে ১৩০ টাকা।

পাহাড়তলী চালের আড়তে মোটা চাল (গুটি, স্বর্ণা) কেজিপ্রতি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে জিরাশাইল ৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত তিন দিন আগ থেকে চালের বাজার কিছুটা নিম্নমুখী বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চালের দাম কমেছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বলেন, চালের সরবরাহ যথেষ্ট আছে। চালের দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই এখন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুপেয় পানির সংকট, কাজে আসছে না কোটি টাকার প্রকল্প
  • নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
  • সুপারম্যানের কাছে আছে পৃথিবীর শক্তি সংকটের সমাধান
  • ইরান হরমুজ প্রণালি বন্ধ করলে কী কী ঘটতে পারে?
  • ইরান–ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা রূপ নিতে পারে দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতে
  • ইরানে হামলার আগে গোপনে ইসরায়েলে হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
  • ভারত থেকে আইফোন রপ্তানি কেন বাড়ছে
  • সুনামগঞ্জে তাজা গ্রেনেড উদ্ধারের পর নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী
  • কমেছে সবজির দাম
  • বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে, নিম্নমুখী চালের দাম