নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) শাখার সভাপতি-সম্পাদকসহ চার শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া দুইজন শিক্ষার্থীকে চার সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কারসহ মোট ৪৮ জনকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক ও ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড.

মো. রবিউল ইসলাম সরকার বিষয়টি সমকালকে নিশ্চিত করেছেন। 

এদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাক। 

আজীবন বহিষ্কৃতরা হলেন—নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রুয়েট শাখার সভাপতি ও পুরকৌশল বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ফাহমিদ লতিফ লিয়ন, শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী সৌমিক সাহা, যন্ত্রকৌশল বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী শাশ্বত সাহা সাগর ও পুরকৌশল বিভাগ ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মৃন্ময় কান্তি। জুলাই অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার কারণে তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়। 

এছাড়া পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় দুই শিক্ষার্থীকে ৪ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। অপরদিকে, ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট রুয়েটের হলে অভিযানের প্রেক্ষিতে প্রাপ্ত রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আবাসিক হলের বিভিন্ন কক্ষে অস্ত্র, মাদকসহ নিষিদ্ধ দ্রব্যাদি রাখার দায়ে ৪২ জনের আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে। 

এই বিষয়ে রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক ও ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম সরকার বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রুয়েট প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে। এসব অভিযোগ যাচাই করে দেখা যায়, অভিযুক্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা সংক্রান্ত যে অর্ডিন্যান্স রয়েছে সেটির ধারা লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য ৪ শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। আরও ২ জনকে ৪ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে‌। এছাড়া, ৪২ জনকে আবাসিক হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদযাত্রা খারাপ হয়নি : ফাওজুল কবির

ঈদুল ফিতরের মতো স্বস্তির না হলেও ঈদুল আজহার ঈদযাত্রা খুব খারাপ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, রেলপথ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

রবিবার (১৫ জুন) টানা ১০ দিনের ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
 
তিনি বলেন, ‘‘ঈদের আগে দুদিন ছুটি ছিল। সময় কম ছিল। ‌ তাই ঈদের আগে সড়কে চাপ ছিল। যাওয়ার সময় যানজটটা বেশি হয়েছে। রমজানের মতো স্বস্তির না হলেও খুব খারাপ যাত্রা হয়নি। যারা বেশি ভাড়া আদায় করেছে, তাদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করে যাত্রীদের দেওয়া হয়েছে।’’ 

ট্রেন অনটাইম ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কমলাপুর রেল স্টেশনেও সবাই খুব খুশি ছিল। এত দূর পথের যাত্রা ম্যানেজ করা একটা চ্যালেঞ্জ। ফিটনেসবিহীন গাড়ি বিকল হওয়ায় রাস্তায় কিছু সমস‍্যা হয়েছে। আমরা ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি চলতে দেব না।’’ 

গ্রামে অতিরিক্ত লোডশেডিং নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘‘এখন গ্রামে ঘরে ঘরে এসি-ফ্রিজ চলে। গ্রামে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। ফলে প‍্যাটার্ন বদলেছে। এটার ফলে কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা হয়েছে।’’ 

ছুটিতে ১২-১৩ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘গ্রামে বিদ্যুৎ পায়নি এটা ভুল কথা। গরমে বিদ্যুতের প্রস্তুতি আমাদের আছে। চাহিদা মেটাতে প্রয়োজনে তেলে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাব।’’ 

বিদ্যুৎ উপদেষ্টা বলেন, ‘‘চাহিদা বাড়ায় কিছু কিছু জায়গায় লোড শেডিং হয়েছে। ফেসবুকে একজন পোস্ট দিছে, গ্রামের দিকে নজর দেয় না। আমার সেটি নজরে আসে। মূলত গ্রামে এবার চাহিদা অনেক।’’ 

তিনি বলেন, ‘‘বিদ্যুৎ সরবরাহ ও তারের সংযোগসহ যেসব ক্ষেত্রে যতটুকু করার আছে, আমরা তা করেছি। আমাদের সচিবরা যতটুকু জানতে পারছে, আমরা করেছি। আমরা চেষ্টা করবো, সচেষ্ট থাকবো। আমাদের প্রস্তুতি আছে। এখনো ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এটা ১৮ হাজার মেগাওয়াট করা গেলে সমস্যা থাকবে না। এ জন্য ব্যয়বহুল তেলের মেশিনগুলোও চালাতে হবে।’’ 

ঢাকা/হাসান/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ