গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু বলেছেন, দেশব্যাপী যে চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি চলছে সেটা বন্ধ করার জন্য শক্তিশালী ব্যবস্থা নিতে হবে। পতিত স্বৈরাচারের দোসররা যদি এসব ব্যবস্থায় সম্পৃক্ত থাকে তাদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। কোনোভাবেই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের ফসল ব্যাহত হতে দেওয়া যাবে না।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সমালোচনা করে মনির উদ্দীন পাপ্পু বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যদি ‘সন্তোষজনক’ হবে তাহলে মধ্যরাতে কেন প্রেস কনফারেন্স করতে হলো? কারণ আপনি নিজেও জানেন পরিস্থিতি পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেই।

বুধবার বিকেলে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে গণসংগতি আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য মজুদ ও বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া এবং দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন পাপ্পু। তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি অনতিবিলম্বে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে এবং পবিত্র রমজান মাসে রোজাদাররা যাতে সুন্দরভাবে সিয়াম সাধনা করতে পারেন এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার যেন গরীব-ধনী নির্বিশেষে ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। 

এদেশের নাগরিকদের নিরাপদে বসবাসের পরিস্থিতি গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন গণসংহতির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আলিফ দেওয়ান। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সংগঠক সাইফুদ্দিন আহমেদ ফয়সাল বলেন, যেখানে সিন্ডিকেট, যেখানে সন্ত্রাস যেখানে নৈরাজ্য, সেখানেই গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিরোধ।

চকবাজার থানার সদস্যসচিব মো.

হাসানের সভাপতিত্বে এবং বংশাল থানার যুগ্ম আহ্বায়ক মনোজিৎ দেবের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য মাহবুব খান সেন্টু, যাত্রাবাড়ী থানার সংগঠক মোহাম্মদ ময়েজ, চকবাজার থানার যুগ্ম আহ্বায়ক রাজিব, বংশাল থানার আহ্বায়ক জয় ভৌমিক, বংশাল থানার সদস্য সচিব আহম্মদ উল্লাহ সুমিত, চকবাজার থানার আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী, সূত্রাপুর থানার আহবায়ক মোহাম্মদ আলিম, কোতোয়ালি থানার আহ্বায়ক মোহাম্মদ হাসানসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর স থ ত সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

গৃহশ্রমিকদের সাপ্তাহিক ও মাতৃত্বকালীন ছুটি শ্রম আইনে রাখতে হবে

গৃহশ্রমিকদের অধিকার নিয়ে অধিকারকর্মী ও সংগঠনগুলোকে সোচ্চার হতে হবে। গৃহশ্রমিকদের সাপ্তাহিক, মাতৃত্বকালীন ও অসুস্থতাজনিত ছুটি দিতে হবে। এ বিষয়গুলো শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। ১৬ জুন আন্তর্জাতিক গৃহশ্রমিক দিবস উপলক্ষে আজ রোববার আয়োজিত এক পরামর্শ সভায় এ কথা বলেন বক্তারা।

আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অক্সফাম বাংলাদেশের সহায়তায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্র (বিএনএসকে)।

এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের বাইরে গৃহশ্রমিকদের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। চনপাড়া, রূপগঞ্জ, সাভার, মোহাম্মদপুর ও কল্যাণপুর এলাকা থেকে আসা ৪০ গৃহশ্রমিক এই আয়োজনে অংশ নেন।

পরামর্শ সভায় ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫’ নিয়ে আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, জুলাই মাসে শ্রম আইন সংশোধন করা হবে। এর আগেই যাঁরা গৃহশ্রমিকদের নিয়ে কাজ করেন, তাঁদের একসঙ্গে গৃহশ্রমিকদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার হতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডোমেস্টিক ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আবুল হোসেন বলেন, গৃহশ্রমিকদের সাপ্তাহিক, মাতৃত্বকালীন ও অসুস্থতাজনিত ছুটি থাকতে হবে। এ বিষয়গুলো শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেন তিনি।

জাতীয় প্রেসক্লাবের বাইরে গৃহশ্রমিকদের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রামে সাংবাদিক পরিচয়ে হোটেল কক্ষে তল্লাশি, সমালোচনা 
  • গৃহশ্রমিকদের সাপ্তাহিক ও মাতৃত্বকালীন ছুটি শ্রম আইনে রাখতে হবে
  • ভারতে কোনো বাংলাদেশি থাকলে উপযুক্ত চ্যানেলে পাঠাতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • নির্বাচনের জন‌্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • বন বিভাগের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়
  • গাজীপুরে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে কারখানার কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে মারধর, আটক ৪৩
  • তুলশীগঙ্গার তীরে সন্ন্যাসতলীর শতবর্ষী ঘুড়ির মেলা
  • বিএনপি ও গণ অধিকারের মধ্যে উত্তেজনার জেরে পটুয়াখালীর ২ উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি
  • দীর্ঘ ছুটি শেষে জীবিকার তাগিদে ঢাকায় ফিরছে মানুষ