সূর্যের ত্রিমাত্রিক ছবি তুলতে চান বিজ্ঞানীরা
Published: 27th, February 2025 GMT
সূর্যের কেন্দ্রের তাপমাত্রা প্রায় দেড় কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর তাই দীর্ঘদিন ধরেই সূর্যের বায়ুমণ্ডল আর সৌরবায়ুর উৎপত্তির কারণ জানতে চান বিজ্ঞানীরা। এবার এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে ‘পোলারিমেট্রি’ নামের একটি মহাকাশযান পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। নতুন এ অভিযানের মাধ্যম প্রথমবারের মতো সূর্যের করোনা বা বাইরের অংশের ত্রিমাত্রিক ছবি ধারণ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।
নাসার তথ্যমতে, ‘পোলারিমেট্রি টু করোনা অ্যান্ড হেলিওস্ফিয়ার’ নামের এই অভিযানকে সংক্ষেপে পাঞ্চ মিশন বলা হচ্ছে। এই অভিযানের অংশ হিসেবে আগামীকাল শুক্রবার পোলারিমেট্রি নামের একটি মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হবে। মহাকাশযানটিতে চারটি স্যুটকেস আকারের উপগ্রহ আছে, যার প্রতিটির ওজন প্রায় ৬৪ কেজি। পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে প্রায় দুই বছর অবস্থান করবে মহাকাশযানটি।
আরও পড়ুনসূর্যের ভেতরটা কেমন, দেখুন বাংলাদেশি পদার্থবিদের তোলা ছবিতে১৪ নভেম্বর ২০২৪সৌরবায়ু পরিমাপের জন্য আলোর পোলারাইজেশন ব্যবহার করতে পারে পোলারিমেট্রি। এর ফলে সৌরমণ্ডলকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করে সূর্যের গঠন ও সৌরবায়ুর বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে মহাকাশযানটি। অভিযানে প্রাপ্ত তথ্য কাজে লাগিয়ে করোনাল ম্যাস ইজেকশনের (সিএমই) বিবর্তনের মানচিত্র নতুন করে তৈরি করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুনলাল-নীল-সবুজ সূর্যের রহস্য উন্মোচন১০ জানুয়ারি ২০২৫পোলারিমেট্রি মহাকাশযানে চারটি ক্যামেরা আছে, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবি তুলতে পারে। সূর্যের আলোর তরঙ্গও নিয়মিত বিশ্লেষণ করতে পারে মহাকাশযানটি। নতুন এ অভিযানের বিষয়ে সৌর পদার্থবিদ দিব্যেন্দু নন্দী জানিয়েছেন, ‘এই মহাকাশযানের মাধ্যমে আমরা সৌরবায়ুর গঠন পদ্ধতিসহ কীভাবে বিবর্তিত বা ত্বরান্বিত হয় তা জানতে পারব।’
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
আরও পড়ুনসূর্য না থাকলে কী হবে২০ মার্চ ২০২৪.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ছোট্ট মেয়েকে কেন নিয়মিত ই মেইল পাঠাচ্ছেন আলিয়া
মেয়ে রাহা আসার পর বদলে গেছেন মা অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। জন্মের পর থেকেই প্রতি মাসে রাহাকে একটি করে ই-মেইল লিখে পাঠিয়ে আসছেন আলিয়া। তাতে লেখা থাকে–আজ রাহা প্রথম হেঁটেছে এক পা, আজ সে দাদির কোলে ঘুমিয়ে পড়েছিল, আজ সে বাবার গালে এক ছোট্ট চুমু খেয়েছে। সেই ই-মেইলের সঙ্গে থাকে অসংখ্য ছবি–কখনও বাবার সঙ্গে খেলায় মত্ত, কখনও মায়ের কাঁধে মাথা রেখে ঘুম। ই-মেইল অ্যাটাচমেন্টে সাজিয়ে রাখা থাকে ছোট ছোট মুহূর্তের জীবন্ত স্মৃতি। আলিয়া বলেন, আমি চাই, রাহা যখন বড় হবে। ওর যখন ১৫ বছর বয়স হবে, তখন আমি তাকে মেইল বক্সটি দিয়ে বলব, ‘এই দেখো, এগুলো তোমার ছোটবেলার গল্প। এইভাবে আমরা তোমায় ভালোবেসে বড় করেছি।’ রাহা আসার পর অনেক কিছুই বদলেছে আলিয়ার জীবনে। আগের তুলনায় অনেক বেশি ধৈর্য ধরতে পারেন তিনি, অনেক কিছু বুঝে নিতে পারেন সময় নিয়ে। এক সাক্ষাৎকারে আলিয়া বলেন, ‘আমি নিজেকে নতুন করে চিনতে শিখেছি।’ তবে এই মাতৃত্বের যাত্রা একেবারে খোলামেলা ছিল না শুরু থেকেই। প্রথমদিকে মেয়েকে আড়ালে রাখতে চেয়েছিলেন রণবীর ও আলিয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরুতে রাহার একটিও ছবি প্রকাশ করেননি। কারণ ক্যামেরা আর ফ্ল্যাশ থেকে রাহাকে দূরে রাখতে চেয়েছিলেন তারা। সময়ের সঙ্গে বদলে যায় অনেক কিছু। একদিন আলিয়া নিজেই নিয়ে এলেন ছোট্ট রাহাকে পাপারাৎসির সামনে। সেদিন সবাই অবাক হয়েছিলেন। কারণ, ক্যামেরা দেখে ভয় পায়নি একরত্তি রাহা। সাবলীলভাবে তাকিয়ে পোজও দিয়েছিল। যেন একেবারে তৈরি সে, এই দুনিয়ার আলো আর ক্যামেরার ঝলক সামলাতে। এরপর চলতি বছরে বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের ওপর হামলার পর থেকে আরও বেশি সতর্ক হয়ে উঠেছেন রণবীর ও আলিয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে রাহার সব ছবি সরিয়ে ফেলেছেন। পাপারাৎসিকে অনুরোধ করেছেন, যেন রাহার ছবি না তোলা হয়। রণবীর তো এমনিতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুপস্থিত। আলিয়াও এখন মেয়েকে নিয়ে খুবই রক্ষণশীল। তিনি চান, রাহা নিজের ইচ্ছায় বড় হোক, নিজের শর্তে পরিচিত হোক দুনিয়ার সঙ্গে।
ক্যামেরার সামনে আলিয়া নানান চরিত্রে অভিনয় করেন। বাস্তব জীবনে তাঁর সেরা চরিত্র ‘মা’ এবং সেই চরিত্রে তিনি নিজের জন্য নয়, রাহার জন্য প্রতিটি দিন লিখে রেখে যাচ্ছেন একেকটি দৃশ্য। একেকটি লাইভ মেমোরি। যেন একদিন সেই ছোট্ট মেয়েটি যখন জানবে তার জীবনের গল্প; সে যেন দেখে, ভালোবাসা কেমন করে জমা হয় প্রতিদিনের ছোট্ট ছোট্ট মুহূর্তে। সূত্র: আনন্দবাজার।