তামিলনাড়ু রাজ্যে হিন্দি ভাষাকে ‘চাপিয়ে’ দেওয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন
Published: 27th, February 2025 GMT
দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে এই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে নতুন এক ভাষা আন্দোলন। কয়েক দিন ধরে বাড়তে বাড়তে এই ভাষা আন্দোলন এক চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। হিন্দিতে লেখা ট্রেন স্টেশনের নাম মুছে ফেলা হচ্ছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন বাড়ির দেয়ালে লেখা হচ্ছে হিন্দি ভাষাবিরোধী স্লোগান।
তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইয়ের কাছে আয়াপক্কম অঞ্চলে কয়েক দিন ধরে নারীদের নিজ নিজ বাড়ির দেয়ালে হিন্দি ভাষাবিরোধী স্লোগান লিখতে দেখা গেছে। তামিল ভাষার পক্ষেও তাদের বাড়ির দেয়ালে ছবি আঁকতে ও স্লোগান লিখতে দেখা গেছে। দিনকয়েক আগে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে উদয়নিধি অধিবেশন করে বলেছেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ত্রিভাষা নীতি তামিলনাড়ু মেনে নেবে না। একই কথা বলেছেন তাঁর বাবা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন।
সম্প্রতি ভাষা নিয়ে এই বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বেনারসে এক ভাষণে খোলাখুলি বলেছিলেন, নতুন শিক্ষানীতি (ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি বা নেপ) বাস্তবায়ন না করলে তামিলনাড়ু কেন্দ্রের পুরো শিক্ষা অভিযানের অধীন অর্থ পাবে না। নেপে বলা হয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের তিনটি ভাষা (এ ক্ষেত্রে ইংরেজি, তামিল ও হিন্দি) শেখার ও শেখানোর সুযোগ বাধ্যতামূলকভাবে সব রাজ্যে থাকতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে কেন্দ্রীয় সরবার ও তামিলনাড়ু রাজ্যের সরকারের মধ্যে মতবিরোধ চলছে। সম্প্রতি ধর্মেন্দ্র প্রধানের মন্তব্যের পর তামিলনাড়ু কার্যত হিন্দি ভাষার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান দাবি করেন, তামিলনাড়ু সংবিধানের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার পুরো শিক্ষা অভিযানের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ করেছে, নেপ বাস্তবায়ন না করলে তামিলনাড়ুকে সেই বরাদ্দ দেওয়া হবে না।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে ধর্মেন্দ্র প্রধান আগের ভাষা দিবসের দিনে বলেন, ত্রিভাষা ১৯৬৮ সাল থেকে শিক্ষানীতির অংশ। ধারাবাহিক শিক্ষানীতির অংশ হওয়া সত্ত্বেও দুর্ভাগ্যবশত এটি প্রয়োগ করা হয়নি। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভারতীয় ভাষাগুলোর পদ্ধতিগত শিক্ষা কমছে।
তামিলনাড়ুর সরকারের প্রতিক্রিয়াধর্মেন্দ্র প্রধানের চিঠির উত্তরে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ২২ ফেব্রুয়ারি এক জনসভায় শিক্ষাক্ষেত্রে ২০০০ কোটি রুপি না দেওয়ার প্রসঙ্গে বলেন, ‘যদি আমরা নেপ চালু করি, তাহলে আমরা রাজ্যকে দুই হাজার বছরের বেশি পেছনে নিয়ে যাব। এমনকি যদি আমাদের ১০ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাবও করা হয়, যতক্ষণ আমি মুখ্যমন্ত্রী আছি, ততক্ষণ সরকার নয়া শিক্ষানীতি নেপ চালু করবে না।’
তামিলনাড়ুতে ক্ষমতায় থাকা সব সরকার–নির্বিশেষে সর্বদা একটি দ্বিভাষা নীতি (তামিল ও ইংরেজি) অনুসরণ করেছে এবং তৃতীয় ভাষা চাপিয়ে দেওয়াকে তামিলরা একটি অপ্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বলে মনে করে।
তামিলনাড়ুতে সমাজের নিম্ন আয় এবং নির্যাতিত জাত ও সামাজিক গোষ্ঠীবর্গের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের কারণে সেখানে তামিল ছাড়া অন্য ভাষা ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তবে সেখানে বরাবরই ইংরেজি ব্যবহার করা হয়। তবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এখন সেখানে তৃতীয় ভাষা হিসেবে হিন্দি চালু করার চেষ্টা করছে।
তৃতীয় ভাষা বেছে নেওয়া রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর দিকে নজর দিলে দেখা যাবে, ৩২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিন্দিকে তৃতীয় ভাষা হিসেবে বেছে নিয়েছে। ১৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দ্বিতীয় সর্বাধিক নির্বাচিত ভাষা হলো সংস্কৃত। ভারতে ১৯টি অ–হিন্দিভাষী রাজ্য এবং ৯টি হিন্দিভাষী রাজ্য রয়েছে। আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে তিনটিতে প্রাথমিক ভাষা হিসেবে হিন্দিতে কথা বলা হয়।
কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা মনিশংকর আইয়ার এক প্রবন্ধে লিখেছেন, ভাষা নিয়ে ধর্মেন্দ্র প্রধান ও বিজেপির অসংবেদনশীলতা ‘ভারতের অখণ্ডতার জন্য বড় বিপদ’।
ভবিষ্যতে পশ্চিমবঙ্গের ভূমিকা কী হবেএ অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সরকার কেন কেন্দ্র সরকারকে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা দিচ্ছে রাজ্যে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করার। পশ্চিমবঙ্গের একাধিক সংগঠন ইতিমধ্যেই বলেছে, এই শিক্ষানীতির ফলে পশ্চিমবঙ্গে বাংলা ভাষার প্রচার ও প্রসার কমবে এবং হিন্দির প্রচার ও প্রসার বাড়বে।
তামিলনাড়ুতে বিজেপি ছাড়া সব রাজনৈতিক দল নেপ বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এমনকি বিজেপির জোটসঙ্গী পাট্টালি মক্কাল কাচ্চি ও দেশিয়া মুরপোক্কু দ্রাবিড় কাজগাম কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির অধীন হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার বিরোধিতা করেছে। তারা এটিকে রাজ্যের স্বায়ত্তশাসনের লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম খ যমন ত র মন ত র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদাবাজ রিয়াদের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ মিশনপাড়া
নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশনপাড়ায় চাঁদাবাজি, দখলবাজি, হুমকি ও হয়রানিমূলক মামলার ভয়ঙ্কর এক চক্রের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন সাধারণ মানুষ।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, রিয়াদ দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার বাসিন্দাদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্মাণকাজ থেকে শুরু করে দোকান বসানো পর্যন্ত সবকিছুতেই চাঁদা দাবি করেন তিনি ও তাঁর অনুসারীরা।
চাঁদা না দিলে থেমে যায় কাজ, চলে হামলা, পরে দেওয়া হয় সাজানো মামলা। অথচ তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও প্রশাসন রয়েছে রহস্যজনকভাবে নীরব।
স্থানীয়রা বলছেন, রিয়াদ নিজে কোনো রাজনৈতিক আদর্শের লোক না হলেও, একাধিক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলে এবং মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে তাঁদের ব্যবহার করেন নিজের স্বার্থে।
রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় রিয়াদ এতটাই দাপটের সঙ্গে চলাফেরা করেন যে, থানায় একাধিক অভিযোগের পরও তাঁর বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার অন্যতম আসামিও এই রিয়াদ। সেইসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় তাঁর নামে একাধিক চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মামলা রয়েছে।
এমনকি তাঁর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে বলে জানা যায়। কিন্তু তারপরও তিনি দিব্যি এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, আদায় করে চলেছেন চাঁদা, দখল করে নিচ্ছেন জমি, দোকান।
মিশনপাড়ায় বর্তমানে যেসব ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে, তার মধ্যে প্রায় প্রতিটির কাজেই বাধা দেওয়া হয়েছে রিয়াদের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ করেছেন একাধিক ভুক্তভোগী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বাড়ির মালিক বলেন, “আমরা পরিবার নিয়ে এখানে থাকি।
নিজের পৈতৃক জমিতে ভবন নির্মাণ করছি। হঠাৎ একদিন ৪-৫ জন যুবক এসে জানায়, বসের অনুমতি ছাড়া কাজ হবে না। পরে রিয়াদ নিজেই ফোন করে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। না দিলে মালামাল ফেলে দেওয়া, শ্রমিকদের মারধরের হুমকি দেয়।”
এই অভিজ্ঞতা শুধু একজনের নয়। অন্তত ৮-১০ জন ভবন মালিক এবং কয়েকজন ঠিকাদার একই ধরনের ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন। তাঁদের ভাষ্য, রিয়াদের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র নিয়মিতভাবে ১ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দাবি করে। কেউ না মানলে থেমে যায় কাজ, চলে হামলা-মামলা আর হয়রানির স্বীকারে।
মিশনপাড়ার বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, রিয়াদ এলাকায় একটি ভয়ঙ্কর ‘মিনি মাফিয়া নেটওয়ার্ক’ গড়ে তুলেছেন। ভবন নির্মাণ, দোকান বসানো, এমনকি ফুটপাতে ব্যবসা করতেও তাঁকে চাঁদা দিতে হয়। অন্যথায় চলতে থাকে ভয় দেখানো, ভাঙচুর, এমনকি জীবননাশের হুমকি। অনেকেই বলেন, তাঁরা যেন জিম্মি হয়ে পড়েছেন রিয়াদ ও তাঁর চক্রের হাতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী বলেন, “আমার পৈতৃক জমিতে ভবন করতে গিয়ে বিপদে পড়েছি। ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। না দিলে শ্রমিকদের মারধর করবে বলে হুমকি দিয়েছে। থানায় গিয়ে অভিযোগ করলাম, কিন্তু কিছুই হয়নি। বরং রিয়াদ খবর পেয়ে হুমকি দিয়ে চাঁদার পরিমান বাড়িয়ে দিচ্ছে।”
একজন ঠিকাদার বলেন, “ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে আমাদের এখন বেশি খরচ হয় রিয়াদকে সামলাতে। কোনো আইন-শৃঙ্খলা নেই। যে যেখানে ইচ্ছা চাঁদা চাচ্ছে, না দিলে মামলা, মারধর। কোথাও নালিশ করতে পারি না, বরং নালিশ করলেই বিপদ আরও বাড়ে।”
আরেকজন ঠিকাদার বলেন, “রিয়াদ এখন এলাকাবাসীর গলার কাঁটা। কাজ শুরু করলেই তার লোকজন এসে বলে, বসের অনুমতি লাগবে। চাঁদা না দিলে মালামাল উধাও, শ্রমিক পালায়, পরে থানায় গিয়ে দেখি আমার নামে নাকি মারামারির মামলা!”
ভুক্তভোগীরা জানান, শুধু ভীতি ও চাঁদাবাজি নয়, রিয়াদ ও তাঁর সহযোগীরা একটি সংঘবদ্ধ আইনি হয়রানির চক্রও তৈরি করেছেন। কেউ তাঁদের বিরুদ্ধে মুখ খুললে বা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে উল্টো তাঁদের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। পরবর্তীতে সেই মামলা আপোষে নিষ্পত্তির জন্য আবারও দাবি করা হয় মোটা অঙ্কের টাকা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, রিয়াদের এতোসব অপরাধ কর্মকাণ্ড সত্ত্বেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা না নেওয়ায় মানুষের মনে প্রশ্নের জন্ম নিয়েছে, কেন এই নীরবতা? তাঁর নামে একাধিক মামলা ও ওয়ারেন্ট থাকার পরও কীভাবে তিনি খোলা হাওয়ায় ঘুরে বেড়ান? পুলিশ কি ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁকে আড়াল করছে?
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার এক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন। অপরাধী হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তবে এলাকাবাসীর দাবি ভিন্ন।
তাঁরা বলছেন, শুধু অভিযোগ নয়, ভিডিও প্রমাণ, অডিও ক্লিপস, এমনকি লিখিত অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাননি তাঁরা। বরং অভিযোগ জানানোর পর হুমকির মাত্রা বেড়ে যায়। অনেকে ভয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন বা কাজ বন্ধ রেখেছেন।
রিয়াদের বিরুদ্ধে এইসব অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। এরপর আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
স্থানীয় কাউন্সিলর ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কাছেও বহুবার গেছেন এলাকাবাসী। কিন্তু কেউই কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে এগিয়ে আসেননি। বরং অনেকে অভিযোগ করেন, রিয়াদ একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক গ্রুপের ‘অঘোষিত কার্যকর্তা’ হিসেবে কাজ করেন, এবং সেই পরিচয়ের কারণেই তাঁকে ঘিরে রয়েছে এক ধরনের অদৃশ্য নিরাপত্তা।
মিশনপাড়ার এই অবস্থা এখন পুরো নারায়ণগঞ্জ শহরের নিরাপত্তা ও সুশাসনের জন্য ভয়ঙ্কর এক সংকেত হয়ে উঠেছে। নাগরিক সমাজের প্রশ্ন , যদি প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও একাধিক মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার না করা হয়, তবে আইনের শাসন কোথায়?
সচেতন মহলের দাবি, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে রিয়াদ ও তাঁর চক্র আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। তখন শুধু মিশনপাড়া নয়, নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রতিটি প্রান্তেই গড়ে উঠবে এমন চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট।
এখনই সময় রিয়াদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার, নয়তো ঘটতে পারে ভয়ংকর অপ্রীতিকর কোন ঘটনা। আক্রান্ত হতে পারে ভুক্তভোগীরা।