বিশ্ব জুনিয়র টেনিসের বাছাইপর্বে প্রথমবার শেষ আটে বাংলাদেশ, হানিফ মুন্না নিষিদ্ধ
Published: 27th, February 2025 GMT
বিশ্ব জুনিয়র টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে ( অনূর্ধ্ব-১৪) এশিয়া অঞ্চলের খেলায় আগে কখনো কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার সেই গেরো কেটেছে। বাহরাইনে অনুষ্ঠানরত ২১ দেশের প্রতিযোগিতায় পরশু রাতে সৌদি আরবকে হারিয়ে এই প্রথম বাংলাদেশ সেরা আটে জায়গা পেয়েছে। টুর্নামেন্টের শীর্ষ চারটি দল আগামী ৪-৯ আগস্ট চেক প্রজাতন্ত্রে অনুষ্ঠেয় চূড়ান্ত পর্বের টিকিট পাবে।
চূড়ান্ত পর্বে উঠতে পারলে সেটা হবে বাংলাদেশের জন্য বিশাল অর্জন। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেই বাংলাদেশ একটা ইতিহাস গড়ে ফেলেছে বলে দাবি করেছেন টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ,' বিশ্ব জুনিয়রের বাছাইয়ে আগে কখনো কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারিনি আমরা। এবারই এই প্রথম উঠেছি। সেদিক থেকে এটি আমাদের জন্য এক ঐতিহাসিক সাফল্যই।'
নেপালকে ৩-০ ম্যাচে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম এককে রাকিন রহমান ৬-৩, ৬-১ গেমে নেপালের রোকেয়াকে এবং দ্বিতীয় এককে কাব্য গায়েন ৬-৩, ৬-৩ গেমে নেপালের বিশ্ব বিশেসকে হারায়। দ্বৈতে বাংলাদেশের কাব্য ও আকাশ জুটি ৬-১, ৬-১ গেমে নেপালের বিশ্ব বিশেস ও রিজাল প্রার্থীকে হারিয়ে তুলে নেয় সহজ জয়।
দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম এককে বাংলাদেশের আকাশ হোসেন ৫-৭, ০-৬ গেমে সৌদি আরবের হামজা আল মনসুরির কাছে হেরেছে। দ্বিতীয় এককে বাংলাদেশের কাব্য গায়েন ৬-৭, ৬-২, ৩-৬ গেমে সৌদি আরবের সারুজি আহমেদকে হারায়। ১-১ ম্যাচে সমতা আসে ম্যাচে। দ্বৈতে বাংলাদেশের কাব্য গায়েন ও আকাশ হোসেন ৬-৩, ৩-৬, ১০-৭ গেমে সৌদি আরবের সারুজি আহমেদ ও সুহিল আল ফারুকিকে হারিয়ে ২-১ ম্যাচে জয় তুলে নেয়।
এদিকে ঢাকায় চলমান জাতীয় টেনিস প্রতিযোগিতায় শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে দেশের অন্যতম সেরা টেনিস খেলোয়াড় হানিফ মুন্নাকে। রমনা টেনিস কমপ্লেক্সে গতকাল পুরুষ একক কোয়ার্টার দীপু লালের বিপক্ষে খেলছিলেন হানিফ। ম্যাচের শুরুতেই চেয়ার আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত অমান্য করেন হানিফ। সুযোগ দেওয়ার পর আবারও রেফারির সিদ্ধান্ত অমান্য করেছেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ। একই সঙ্গে তর্কে জড়ান রেফারির সঙ্গে। প্রতিপক্ষ দীপু লালকে গালাগাল এবং তাঁকে হুমকিও দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
হানিফের এমন আচরণে দিপু নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন ম্যাচ থেকে। চেয়ার আম্পায়ার ও দিপুর অভিযোগের পাশাপাশি রেফারির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হানিফের খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে টেনিস ফেডারেশন। একই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রমনা টেনিস কমপ্লেক্সে অভ্যন্তরে তাঁর প্রবেশেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ খেলা দূরের কথা হানিফ এখন টেনিস কমপ্লেক্সেই ঢুকতে পারবেন না।
এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করলে হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, ' আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ঠিক নয়। আমি কোনো অসদাচরণ করিনি। অন্যায়ভাবে আমাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।'
শৃঙ্খলাভঙ্গে কারণ দেখিয়ে এর আগে ডেভিস কাপের জন্য হানিফকে দলে নেয়নি টেনিস ফেডারেশন। তবে হানিফের দাবি, 'আমি অন্যায়ের শিকার। এখানে স্বজনপ্রীতি হয়। এ কারণে আমাকে বাদ দেওয়া হয়।'
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া
ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সব সময়ই দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল অনুযায়ী এগিয়েছে।
অতীতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে লম্বা বিরতি দেখা গেছে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৮—টানা ২৪ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। আবার ১৯৬০ সালের পর পাকিস্তানও প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে যায় ১৯৭৯ সালে।
এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়মিত মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে ভারত তিনবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে খেলে ১২ টেস্ট, পাকিস্তানও ভারতে গিয়ে খেলে ৮ টেস্ট।
দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান তিন টেস্ট খেলতে ভারতে যায়। এর মধ্যে একটি ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ফিরতি টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় ২০০৪ সালে, যা ছিল ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেকের পর প্রথমবার।
২০০৪ সালের পাকিস্তান সফরে কড়া নিরাপত্তায় ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন টেন্ডুলকার