‘সাধারণ মানুষ উত্তর দিক থেকে তাদের বাসার দিকে যাচ্ছে এবং দেখছে কী ঘটনা ঘটছে, ঘুরছে, আবার ফিরে আসছে ... সেখানে কোনো পানি নেই, কোনো বিদ্যুৎ নেই।’
রিয়েল এস্টেটের কোটিপতি ডেভেলপার এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ এ কথাগুলো বলেছিলেন অ্যাক্সিওসকে (ভার্জিনিয়ার আর্লিংটন-নির্ভর যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংবাদ ওয়েবসাইট)। বিষয়টা এমন যেন তিনি দুর্ভাগ্যজনকভাবে সংঘটিত কিছু অসুবিধার বর্ণনা দিচ্ছিলেন। কিন্তু খুবই গভীরে গেলে আপনি নীলনকশাটা ধরতে পারবেন।
এটাই ট্রাম্পের চাওয়ার প্রতিফল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এরই মধ্যে এমনটা কার্যকর করা শুরু করে দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে কখনোই এটা বোঝানো হয়নি যে, গাজা পুনর্নির্মাণ করা হবে। বরং এর মধ্য দিয়ে এটা খালি করা, সমতল করা এবং মুছে ফেলা বোঝানো হয়েছে।
এই মুছে ফেলার কাজ রিয়েল এস্টেটের পুঁজিপতি ছাড়া আর কারাই-বা ভালো পারবে? ট্রাম্প এবং উইটকফের কাছে, গাজা জনগণের কোনো জন্মভূমি নয়। বরং ভূমধ্যসাগরের প্রধান প্রসারিত এই জায়গাটা তাদের কাছে উন্নয়নের একটি ক্ষেত্র, যেখান থেকে এর বাসিন্দাদের সরিয়ে ফেলতে পারলে এটা ‘পুনর্ব্যবহারযোগ্য’ হয়ে উঠবে।
ট্রাম্প গাজাকে যে প্রধান রিয়েল এস্টেট হিসেবে দেখছেন, সেক্ষেত্রে তিনি কোনো রাখঢাকও করেননি। গাজার ‘অসাধারণ অবস্থান’ এবং ‘সেরা আবহাওয়া’ তাঁকে এমনভাবে বিস্মিত করেছে যেন তিনি কোনো বিলাসবহুল রিসোর্টের জমি জরিপ করছেন।
তিনি গাজাকে ফিলিস্তিনের অংশ হিসেবে দেখেন না। তিনি এটাকে তাঁর জনগণের স্বদেশ হিসেবে দেখেন না। তিনি এটাকে বিত্তশালীদের জন্য একটা অব্যবহৃত সুযোগ হিসেবে দেখেন, বিনিয়োগকারীদের জন্য একটা বিশাল জমি হিসেবে দেখেন, পর্যটক ও বিদেশিদের জন্য ভবিষ্যৎ একটা রিসোর্ট হিসেবে দেখেন। প্রকৃতপক্ষে শুধু ফিলিস্তিনের গাজাবাসী বাদে তিনি এটাকে সবার জন্য দেখেন।
কিন্তু গাজা আসলে বিক্রির জন্য কোনো রিয়েল এস্টেট নয়। এটা কোনো উন্নয়ন প্রজেক্টও নয়। এটা বহিরাগতদের জন্য কোনো রিসোর্টও নয়। গাজা ফিলিস্তিনের একটা অংশ।
‘তারা এটা করবেই’
যুক্তরাষ্ট্র কোটি কোটি টাকা খরচ করেনি, বরং শত শত টন বোমা ছড়িয়ে দিয়েছে এবং গাজার ৭০ শতাংশ দালানের বিলুপ্ত হওয়ার তদারক করেছে, যাতে করে এই অঞ্চলটা পুনর্গঠন করা যায়।
এই বোমাগুলো কখনোই পুনঃসংস্কারের উদ্দেশ্যে ছিল না। এটার মাধ্যমে তারা নিশ্চিত হতে চেয়েছিল যে, এখানে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। বোমার আঘাত থেকে জীবিত ফিরে আসা মানুষগুলো তাদের জমি পুনরুদ্ধারের অনুমতি দেওয়া হবে– কিন্তু এই মানুষগুলো তাদের কোনো পরিকল্পনাতেই ছিল না।
এখন ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন যে এটার কোনো বিকল্প নেই। সাম্প্রতিক সময়ের একটা সংবাদ সম্মেলনে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জর্ডান বা মিসরে পাঠানো যেতে পারে– ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত যে দুই দেশই প্রত্যাখ্যান করেছে– এটা জানিয়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন যে, তাহলে এই দুই দেশের ওপর শুল্কের মতো কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ করা হবে কিনা।
ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া দাম্ভিকতায় পরিপূর্ণ ছিল। ‘এটা তারা করবে। এটা তারা করবেই। তার এটা করতে যাচ্ছে।’
এটা কোনো পরামর্শ বা মীমাংসার্থমূলক আলাপ-আলোচনা ছিল না। এটা ছিল একটা ঘোষণা। এমন একটা শক্তি, যার চাপ বা নিছক বলপ্রয়োগের মাধ্যমে একটা জাতিকে দাবার ঘুঁটির মতো এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় সরানো যায়। শুধু তিনি বলেছেন এর জন্য এখানকার লোকজনকে স্থানান্তর করা যেতে পারে, স্থানচ্যুত করা যেতে পারে এবং মুছেও ফেলা যেতে পারে।
ট্রাম্পের রাজনৈতিক মতাদর্শ গড়েই উঠেছে, অভিবাসন মোকাবিলা, সীমান্ত বন্ধ করে রাখা, শরণার্থীদের নিষিদ্ধ করা এবং অভিবাসন যুক্তরাষ্ট্রের অস্তিত্বের ওপর হুমকিস্বরূপ হিসেবে দেখার মাধ্যমে। তিনি তাঁর দেশের আশ্রয়প্রার্থীদের অপরাধীদের আক্রমণের সঙ্গে তুলনা করেন।
এটা ট্রাম্পের নিজের ‘শতাব্দীর চুক্তি’রই বিপরীত ছিল। এই পরিকল্পনাটা ফিলিস্তিনের পক্ষে হলেও, এটা আসলে নামেমাত্র ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছিল। এখানে গাজাকে ভবিষ্যতের রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই রাষ্ট্র ছিল এমন, যেটাকে তৈরি করা হয়েছিল একটা দুর্বল, খণ্ডিত সত্তা হিসেবে– যা মূলত ইসরায়েলের আঙুলের নিচে থাকত। কিন্তু জোরপূর্বক গাজার জনসংখ্যা অপসারণ করে তিনি কেবল তাঁর পরিকল্পনার পরিবর্তনই করেননি, বরং তিনি এটাকে সম্পূর্ণরূপে বাতিল করেছেন। সেখানে এখন নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের মতবাদ অনুযায়ী স্থায়ীভাবে বাস্তুচ্যুত করে জাতিগতভাবে নির্মূল করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
ধর্মীয় ন্যায্যতা
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ইসরায়েলি সরকারের ডানপন্থিদের একটা সম্মেলনে, গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে বলা হয়েছিল, কোনো ধরনের পুনর্গঠন, দখল কিংবা অপসারণ করা চলবে না।
ফিলিস্তিনিদের এই গণহারে স্থানান্তরকে স্বর্গীয় আদেশের কাঠামোভুক্ত করা হয়েছিল। এটা খ্রিষ্টান ও ইহুদি ধর্মগ্রন্থ বাইবেলের গণনা পুস্তকে (হিব্রু বাইবেলের চতুর্থ পুস্তক এবং ইহুদি তোরাহের পঞ্চ পুস্তকের মধ্যে চতুর্থ) এই বলে আহ্বান করা হয়, ‘কিন্তু যদি তোমরা সেই দেশবাসীদের তাড়িয়ে না দাও, তবে যাদের তোমরা বসবাস করার অনুমতি দেবে, তারা তোমাদের চোখের শূল ও বুকের অঙ্কুশস্বরূপ হবে। যে দেশে তোমরা বসবাস করবে, সেখানে তারা তোমাদের ক্লেশ দেবে।’
এটা কোনো রাজনৈতিক কৌশল নয়; বরং এটা একটা প্রজ্ঞাপনস্বরূপ যেখানে বলা হয়েছে যে, গাজার ফিলিস্তিনিদের কেবল নিয়ন্ত্রণ, দমন অথবা অধিকৃত করলেই চলবে না, তাদের বহিষ্কার করতে হবে। এটা নাকবার মতো একই ধরনের মতাদর্শের ধারাবাহিকতা– যে মতাদর্শ দশকের পর দশক উপনিবেশ, অপসারণ এবং গণহত্যাকে ন্যায্যতা দিয়ে আসছে।
উইটকফ তাঁর সাম্প্রতিক সফরে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি ইসরায়েলি জিম্মি এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সহানুভূতি ও সংহতি প্রকাশ করেছেন। নামেমাত্র হলেও এ ধরনের কোনো সাক্ষাৎ আগে কখনও অনুষ্ঠিত হয়নি।
তিনি ইসরায়েলের বোমা হামলায় নিহত হাজার হাজার বেসামরিক ব্যক্তির পরিবারের জন্য, ক্ষুধার্ত, বাস্তুচ্যুত এবং পরিকল্পিতভাবে নিশ্চিহ্ন হওয়া ব্যক্তিদের জন্য কোনো ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেননি।
কারণ, ট্রাম্পের কাছে কিছু জীবন গুরুত্বপূর্ণ, আর কিছু জীবন গুরুত্বহীন। ইসরায়েলের সৈন্যদের সঙ্গে উইটকফের বৈঠকের সময়ে একটা বিষয় নজরে এসেছিল: স্মোট্রিচের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ। স্মোট্রিচ হলেন অতি-ডানপন্থি একজন মন্ত্রী, যার প্রকাশ্যে বর্ণবাদীমূলক, অপসারণমূলক মতামতের জন্য পূর্ববর্তী সরকার তাঁকে বয়কট করেছিল।
গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের মিসর এবং জর্ডানের সরিয়ে নেওয়া সংক্রান্ত ট্রাম্পের ঘোষণাকে স্মোট্রিচ ‘গণ্ডির বাইরে নতুন চিন্তা’ হিসেবে অভিহিত করে একটা বিবৃতি দিয়েছিলেন। উইটকফের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে স্মোট্রিচ এই একই বাক্যাংশ ব্যবহার করেছিলেন।
অন্য কথায় বলা যায় যে, জাতিগতভাবে নির্মূলের জন্য প্রস্তুত থাকুন। ট্রাম্পের দল এখন শুধু ইসরায়েলের অতি-ডানপন্থিদের বরদাশতই করছে না, বরং সক্রিয়ভাবে তাদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হচ্ছে। গাজাকে জনশূন্য করার লক্ষ্যে সেখানকার মানুষের জীবন এতটাই দুর্বিষহ করে তোলা হবে যে মানুষের চলে যাওয়া ছাড়া ভিন্ন কোনো পথ থাকবে না। দশকের পর দশক এটাই ইসরায়েলি নীতিতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
ইতিহাসের প্রতিধ্বনি
১৯৬৭ সালের পর, যখন ইসরায়েল গাজা দখল করে, সেই সময় তৎকালীন বামপন্থি প্রধানমন্ত্রী লেভি এশকোল ‘গাজা খালি করার’ কথা বলেছিলেন। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য তিনি ‘শান্তভাবে’, ‘অবিচলিত মনে’ এবং ‘গোপনে’ কাজ করার কথা বলেছিলেন।
এশকোলই কেবল এই চিন্তাধারায় বিশ্বাসী ছিলেন না। সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোশে দায়ানও পরামর্শ দিয়েছিলেন যে গাজার জনসংখ্যার মাত্র এক-চতুর্থাংশ থাকা উচিত। আর বাকিদের ‘অন্য যে কোনো ব্যবস্থার মাধ্যমে সরিয়ে ফেলা উচিত।’ আর তিনি তাঁর এই উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতি দৃঢ় ছিলেন।
এশকোল আরও একধাপ এগিয়ে ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে তৈরি করা দুর্ভোগের কারণে ফিলিস্তিনিরা দেশ ছেড়ে চলে যাবে। তিনি তাঁর পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘আমরা যদি তাদের পানি না দিই তবে তাদের আর কোনো বিকল্প থাকবে না। কারণ, বাগানগুলোও হলুদ হয়ে নির্জীব হয়ে যাবে।’
আরেকজন মন্ত্রী ইগাল অ্যালেন, গণ-উৎখাত সম্পর্কে আরও দৃঢ় ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিদেশি অভিবাসন প্রক্রিয়া গুরুত্বসহকারে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’ তিনি যুক্তি দেন, ‘শুধু এল আরিশ-ই নয়, সিনাইয়ের সমগ্র এলাকাই গাজার শরণার্থীদের বসবাসের জন্য অনুমতি দিয়েছে। এবং আমার মতে, আমাদের অপেক্ষা করা উচিত নয়। আমাদের উচিত, সেখানে তাদের স্থায়ী করে ফেলা।’
১৯৬৭ সালে বলা এই কথাগুলোই একেবাবে অক্ষরে অক্ষরে এখন আবার প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। ভাষা পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু উদ্দেশ্য একই থেকে গেছে। তাদের সমুদ্রে ফেলে দাও, মরুভূমিতে ফেলে দাও, কিন্তু এখানে থাকা চলবে না। ১৯৪৮, ১৯৬৭ অথবা আজকে, নীতিটা একই আছে: নির্মূল কর, উৎখাত কর এবং নিশ্চিহ্ন কর।
বাড়ি ফেরা
বোমা হামলা, দুর্ভিক্ষ, ধ্বংসযজ্ঞ– সবকিছু সত্ত্বেও গাজার মানুষ ফিরে আসছে। লাখ লাখ মানুষ তাদের বাড়ির ধ্বংসস্তূপে ফিরে আসার অধিকার দাবি করে নেৎজারিম অক্ষ থেকে উত্তরদিকে অগ্রসর হয়েছে। তারা বাসস্থানের দিকে নয়, তারা ধুলোর গর্তের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তারা কোনো নিরাপদ জায়গায় নয়, বরং তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া তাদের প্রিয়জনের কবরের দিকে যাচ্ছে।
এবং এখনও তারা এগিয়ে যাচ্ছে। কারণ, ইতিহাস দখলদারের পক্ষে নয়। নিজার নোমান নামের একজন ফিলিস্তিনি তাঁর বাড়ির অবশিষ্টাংশে ফিরে যাওয়ার পথে ঘোষণা দেন, ‘আমি যেমন আমার জন্মভূমির, সে রকম আমার জন্মভূমিও আমার। আমি আমার বাড়ি ছাড়া এক মুহূর্তও সময় নষ্ট করতে চাই না .
বাস্তবতার কারণে যেমন এশকোলের ফিলিস্তিনিদের তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা বিফলে গেছে, একইভাবে ট্রাম্পের জাতিগতভাবে নির্মূল করার পরিকল্পনাও বিফলে যাবে। অর্ধশতাব্দী আগে, এশকোল যখন তাঁর পরিকল্পনা করেছিলেন, তখন গাজার জনসংখ্যা ছিল ৪০০,০০০। তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। বর্তমানে এর জনসংখ্যা দুই মিলিয়নেরও বেশি এবং ট্রাম্পও ব্যর্থ হবেন।
১৯৭১ সালে ফিলিস্তিনের জাতীয়তাবাদী নেতা জিয়াদ আল-হুসেইনির হত্যার পর কবি মাহমুদ দারবিশ লিখেছিলেন, ‘গাজা আর কোনো শহর নয়। এটা একটা জ্বলন্ত যুদ্ধক্ষেত্র, যেখানে প্রতিপক্ষের জয়, আশা এবং মূল্যবোধের পরীক্ষা করা হয় ... এই প্রেক্ষাপটে সময় তাদের পক্ষে আছে, এটা ভেবে যারা কিছু অলৌকিক ঘটনা তৈরি করতে চেষ্টা করেছিলেন, সেই সময়ই তাদের উপহাস করবে। সেই সঙ্গে গাজার অলিগলিতে তাদের পুত্র এবং কন্যাদের হাতে অতীতের আক্রমণকারীর পরাজয়ের পথও তাদের উপহাস করবে।’
এমনকি হুসেইনির মৃত্যুতেও গাজার মুক্তিসংগ্রাম শেষ হয়ে যায়নি। এটা মৃত্যু প্রতিরোধ করতে পারেনি, বরং বাড়িয়ে দিয়েছে।
ট্রাম্প হয়তো হাজারবার এটা বলতে পারেন, ‘মানুষকে নিয়ে যাও। মানুষকে নিয়ে যাও। মানুষকে নিয়ে যাও।’ কিন্তু গাজার মানুষ তাদের মৃতদেহ দিয়ে, তাদের কণ্ঠস্বর দিয়ে, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে পদযাত্রা করে, তাদের নিজেদের জন্মভূমি থেকে পালাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে উত্তর দিয়েছে, ‘আমরা চলে যাচ্ছি না।’ v সূত্র : মিডলইস্ট আই
* সোমায়া গানুশি, ব্রিটিশ তিউনিসিয়ান লেখক এবং মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতির বিশেষজ্ঞ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র য় ল এস ট ট র জনস খ য ইসর য় ল র বল ছ ল ন দ র জন য কর ছ ল ন হয় ছ ল র পর ক মন ত র র একট ধরন র
এছাড়াও পড়ুন:
ইডেন কলেজের পুকুরে ডুবে অগ্রণী কলেজছাত্রীর মৃত্যু
রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজের পুকুরে ডুবে সানজিদা খাতুন রূপা (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। তিনি আজিমপুর অগ্রণী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
ইডেন কলেজের ছাত্রী মোহনা ইসলাম জানান, রূপার বাসা পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকায়। তিনি বাসায় গিয়ে রূপাকে পড়াতেন। আজ সকালে ইডেন কলেজের পুকুরে তাদের সাঁতার শেখার কথা ছিল। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, তারা সকালে ফোনে যোগাযোগ করে কলেজে আসেন। পরে সিড়িতে দাঁড়িয়ে গোসলের সময় পা পিছলে পানিতে ডুবে যান রূপা। তখন পুকুড়পাড়ে বসে থাকা মোহনা তাঁকে উদ্ধার করতে পানিতে ঝাঁপ দেন। তিনিও ডুবে যাওয়ার উপক্রম হলে উপস্থিত অন্যরা নেমে তাদের উদ্ধার করেন। অচেতন অবস্থায় রূপাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সকাল ১১টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃতের ভাই তানভীর ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, চকবাজারের ১২ নম্বর চম্পাকলীর বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন রূপা। এক ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি ছোট ছিলেন। তাদের বাবার নাম সাইজ উদ্দিন। সকালে ব্যবহারিক পরীক্ষার কথা বলে বাসা থেকে বের হন রূপা। পরে ঢামেক হাসপাতালে এসে তাঁর মৃতদেহ পান স্বজনরা।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।