খেজুরে আছে প্রচুর ফাইবার বা আঁশ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি ফাইটো বা উদ্ভিদ হরমোনসমৃদ্ধ। দিনে দুটি খেজুর খেলে তা বিভিন্ন রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমায়, হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং মলত্যাগে সাহায্য করার মধ্য দিয়ে শরীর থেকে বর্জ্য বের করে দিতে ভূমিকা পালন করে।

অনেকের ধারণা, মিষ্টিজাতীয় হওয়ায় খেজুর ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে বরং উল্টো, খেজুর আদতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভালো ভূমিকা রাখে।

খেজুরে আছে প্রচুর ক্যালরি। এটি শক্তির ভালো উৎস। সব বয়সের মানুষই খেজুর থেকে এর নানা পুষ্টিগুণ গ্রহণ করতে পারেন। এখন চলুন দেখে নেওয়া যাক, খেজুর কেন এত উপকারী।

১.

ক্ষতিকর বর্জ্য নিষ্কাশন

গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুরে প্রচুর দ্রবণীয় আঁশ থাকে। এক সপ্তাহ ধরে দিনে দুটি খেজুর খেলে তা হজম ও সঠিকভাবে মলত্যাগে সাহায্য করে। খেজুরের দ্রবণীয় আঁশ মল নরম করে। অন্যদিকে এ ফলের অদ্রবণীয় আঁশ মলের পরিমাণ বাড়ায়। এভাবে খেজুর কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় আর শরীর থেকে ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে।

২. রোগ থেকে বাঁচার রক্ষাকবচ

খেজুরে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোষকে ফ্রি র‍্যাডিক্যালের হাত থেকে বাঁচাতে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। ফ্রি র‍্যাডিক্যাল, অর্থাৎ মুক্ত আয়ন বা মুক্ত মৌল কোষকে ধ্বংস করে বিভিন্ন রোগ তৈরি করে। বলা হয়, একই ধরনের অন্য ফলের তুলনায় খেজুরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এতে ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারোটিনয়েড ও ফেনোলিক অ্যাসিডও আছে। ফ্ল্যাভোনয়েড ডায়াবেটিস, আলঝেইমারস ডিজিজ ও কয়েক ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। এটি শরীরে প্রদাহ রোধে ভূমিকা রাখে। ক্যারোটিনয়েড চোখের অসুখবিসুখ হতে বাধা দেয়। ফেনোলিক অ্যাসিড হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায়।

আরও পড়ুন১ মাস প্রতিদিন ১ গ্যালন পানি খাওয়ার পর তাঁর কী হলো২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫৩. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণখেজুর টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের হৃদ্‌স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স হ য য কর

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে খুলছে ৪ বন্ধ কারখানা

নয় দিন বন্ধ থাকার পর আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) থেকে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের চারটি কারখানায় চালু হচ্ছে। 

বেতন, বোনাসসহ বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলনের মুখে গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে চারটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

আরো পড়ুন:

ঝিনাইদহে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু 

বরিশালে অপসো ফার্মার ৫০০ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের অভিযোগ

কারখানাগুলো হলো দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিল লিমিটেড, সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড ও ইপিএফ প্রিন্টিং লিমিটেড।

সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পরিচালক আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘২৬ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকেরা কারখানা চালুর দাবি জানান। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের কারখানায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক রয়েছে।’’ 

ইপিজেড সূত্র জানিয়েছে, বন্ধ চারটি কারখানায় সাড়ে ৬ হাজার শ্রমিক রয়েছে। 

উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার জানান, শ্রমিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) থেকে বন্ধ থাকা চার কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এ দিন থেকে স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম শুরু হবে এবং শ্রমিকদের যথাসময়ে কারখানায় আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।

উত্তরা ইপিজেডের ২৭টি কারখানায় ৩৫ হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছে।

ঢাকা/সিথুন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ