রূপগঞ্জে মৃদুল হাসান নামে তাঁতীদলের এক নেতাকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাগবেড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃদুল হাসান বিএনপির অঙ্গসংগঠন উপজেলা তাঁতীদলের সদস্য সচিব ও রুপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বাঘবের সিটি মার্কেট এলাকার বাসিন্দা হাসান আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায় , কয়েকমাস ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তার সাথে উপজেলা জিয়া মঞ্চ দলের সভাপতি জজ মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। এমনকি বিভিন্ন সময় এলাকায় জজ মিয়াসহ তার লোকজন অপকর্ম করতে গেলে বাধা দিতেন মৃদুল হাসান। এর জেরে তাকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে ধারণা পরিবারের।

আহত মৃদুল হাসান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সে তার সহকর্মী দ্বীন ইসলামকে নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে বাড়ী ফেরার পথে বাগবেড় বাজার এলাকায় এলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে জজ মিয়ার লোকজন দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা করে। প্রথমে হামলাকারীরা দ্বীন ইসলামকে মারধোর করলে সে ভয়ে পালিয়ে যায়। 

পরে মৃদুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাধারী কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। আশেপাশের লোকজন তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। 

এব্যাপারে জজ মিয়ার সাথে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনাটি সম্পূর্ন মিথ্যা বলে অবহিত করে। মৃদুলের সাথে রিফাতের অভ্যন্তরীন বিরোধ ছিল। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এ বিষয়ে তার কিছু জানা নেই । তাকে এ ঘটনায় ফাসানোর চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

এব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলা তাতি দলের সদস্য সচিবকে কুপিয়ে জখমের সংবাদ পেয়ে সাথে সাথে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।

 এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলো পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ এল ক য় জজ ম য় উপজ ল এ ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

প্লেনের সিট একদিকে মুখ করে সাজানো থাকে কেন?

ট্রেনের সিটগুলো অনেক সময় মুখোমুখি সাজানো থাকে। এতে যাত্রীরা একজন আরেকজনের সঙ্গে কথা-গল্পে মেতে উঠতে পারেন। আবার ক্লাসরুমের বেঞ্চগুলো একদিকে মুখ করে সাজানো থাকে। এতে এক ক্লাসে অনেক শিক্ষার্থী বসতে পারে।  ঠিক একই রকমভাবে প্লেনের সিটগুলোও একদিকে মুখ করে সাজানো থাকে। প্লেনের সিটগুলো ট্রেনের সিটগুলোর মতো না সাজিয়ে ক্লাসরুমের বেঞ্চের মতো একদিকে মুখ করে সাজিয়ে রাখার নানা কারণ রয়েছে।

প্লেনে সিটগুলো থাকে যাত্রীরা ধাক্কাধাক্কি করা ছাড়াই সহজে সারিবদ্ধভাবে বের হতে পারেন।  কিন্তু সিটগুলো মুখোমুখি থাকলে নামার সময় বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে।সেজন্য দ্রুত ও শান্তভাবে বেরিয়ে আসার জন্য সিট একদিকে রাখাই সবচেয়ে ভালো।এছাড়াও প্লেনের সিটগুলো সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখার আরও কারণ রয়েছে।

আরো পড়ুন:

ইলুমিনাতি স্যাটানিজম বা শয়তানবাদ সম্পর্কে কতটুকু জানেন?

ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে যে ময়েশ্চারাইজার 

প্লেন যখন রানওয়ে ধরে তীব্র গতিতে ছুটে গিয়ে আকাশে উড়তে শুরু করে, তখন যাত্রীরা স্বাভাবিকভাবেই পেছনের দিকে হেলে পড়েন। তখন সিটের সঙ্গে পিঠ একদম লেগে থাকে। সিটগুলো শুধু সামনের দিকে মুখ করা থাকায় এই চাপটা যাত্রীদের পিঠে এবং শরীরে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এজন্য মুখোমুখি সিট থাকার চেয়ে এক মুখে সারিবদ্ধভাবে থাকা ভালো।  

অবশ্য আরও একটি বড় কারণ রয়েছে, তাহলো জায়গা বাঁচানো যায়। সব সিট একদিকে মুখ করে রাখলে একটা প্লেনের ভেতরে বেশি সংখ্যক যাত্রী বসতে পারেন। 

তবে বিজনেস ক্লাস বা ফার্স্ট ক্লাসে সিটগুলো আবার দুই দিকে মুখ করা যায়।

সূত্র: ইন্টারেস্টিং জুনিয়র ম্যাগাজিন

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ