Samakal:
2025-12-01@11:38:10 GMT

কে এই সারা অর্জুন

Published: 11th, July 2025 GMT

কে এই সারা অর্জুন

রণবীর সিংয়ের বয়স পেরিয়েছে ৪০, আর ঠিক তখনই বলিউডের আসন্ন সিনেমা ‘ধুরন্ধর’-এর লুক টিজারে দেখা মিলল তাঁর বিপরীতে মাত্র ২০ বছর বয়সী এক নতুন মুখ। তিনি সারা অর্জুন। যদিও সারা বলিউডে একেবারে নতুন নন, কিন্তু রণবীরের মতো তারকা অভিনেতার বিপরীতে তাঁকে দেখে বিস্মিত হয়েছেন অনেকেই। ইন্ডিয়া টুডেসহ একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে: কে এই সারা অর্জুন?

সারা অর্জুন মূলত দক্ষিণী চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির একজন পরিচিত মুখ। শিশুশিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করে তিনি খুব অল্প বয়সেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তামিল সিনেমা ‘দেইভা থিরুমাগল’ দিয়ে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু। ওই সিনেমায় বিক্রমের কন্যার চরিত্রে তাঁর নিপুণ অভিনয় নজর কাড়ে দর্শক-সমালোচক সবার। মাত্র ছয় বছর বয়সেই তিনি হয়ে ওঠেন দক্ষিণী চলচ্চিত্রের অন্যতম সম্ভাবনাময় শিশু তারকা।

পরবর্তী সময়ে তিনি কাজ করেন বেশ কিছু হিন্দি ও দক্ষিণী সিনেমায়। আমির খানের প্রযোজনায় নির্মিত ‘সিক্রেট সুপারস্টার’ সিনেমায়ও ছোট্ট একটি চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এছাড়া ‘থালাইভি’ (জয়ললিতার বায়োপিক), ‘লাভ হোস্টেল’, ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ ও ‘৪০৪’ নামে হিন্দি চলচ্চিত্রেও সারা অর্জুনের উপস্থিতি ছিল প্রশংসনীয়। বিজ্ঞাপন জগতেও সারা কাজ করেছেন নিয়মিত। বলা যায়, শৈশব থেকেই অভিনয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে নিবিড়ভাবে।

সারার বাবা জয় অর্জুনও একজন অভিনেতা। পারিবারিকভাবেই তিনি অভিনয়ের জগতে এসেছেন এবং ধীরে ধীরে নিজেকে গড়ে তুলেছেন। তবে ‘ধুরন্ধর’ ছবিটি হতে যাচ্ছে তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

রণবীর সিংয়ের সঙ্গে সারার বয়সের পার্থক্য নিয়ে ইতোমধ্যে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। ২০ বছরের এই ব্যবধান অনেকের কাছেই অস্বস্তিকর ঠেকেছে। অনেকে বলছেন, বলিউডে এই বয়সের ফারাক যেন এখন নতুন কোনো নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবারের ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত সালমান খান অভিনীত ‘সিকান্দার’ ছবিতেও দেখা গেছে একই চিত্র—সালমানের বিপরীতে ছিলেন রাশমিকা মান্দানা, যিনি সালমানের চেয়ে ৩১ বছরের ছোট।

তবে ‘ধুরন্ধর’ নিয়ে নির্মাতারা ভিন্ন রকম প্রত্যাশা দেখিয়েছেন। এটি একটি পিরিয়ড অ্যাকশন ড্রামা সিনেমা, যেখানে উঠে আসবে ইতিহাসে অনুল্লিখিত কিছু গোপন নায়ক-গল্প। প্রযোজক সংস্থা জানিয়েছে, এই ছবির মূল উপজীব্য হবে সেই সব মানুষ, যাদের নাম ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়নি, কিন্তু যাদের অবদান ছিল অপরিসীম। পরিচালক আদিত্য ধর বলেছেন, “এই ছবির প্রতিটি চরিত্রই বাস্তব ঘটনার অনুপ্রেরণায় তৈরি। আমরা সেসব নাম না জানা বীরদের গল্প বলার চেষ্টা করছি, যাঁদের রক্তে লেখা হয়েছে স্বাধীনতার ইতিহাস।”

ছবিতে সারার চরিত্রটি এখনও পুরোপুরি প্রকাশ করা হয়নি। তবে জানা গেছে, রণবীরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে তাঁকে দেখা যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, সারার চরিত্রটি সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
‘উরি’-খ্যাত পরিচালক আদিত্য ধর নির্মাণ করছেন ‘ধুরন্ধর’। সিনেমাটি মুক্তি পাবে চলতি বছরের ৫ ডিসেম্বর। ছবিটি নিয়ে ইতোমধ্যে বলিউড অঙ্গনে বেশ হাইপ তৈরি হয়েছে। তবে দর্শকদের চোখ এখন সারার ওপর— দক্ষিণের সাবেক শিশু শিল্পী এবার কতটা মন জয় করতে পারেন বলিউডের পর্দায়, সেটাই দেখার বিষয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অর জ ন চর ত র র বয়স রণব র

এছাড়াও পড়ুন:

তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসন ‘স্থায়ীভাবে স্থগিত’ করায় কী প্রভাব পড়বে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা দিয়েছেন যে, তিনি ‘তৃতীয় বিশ্বের সব দেশ’ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন ‘স্থায়ীভাবে স্থগিত’ করবেন। এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে তাঁর প্রশাসনের অভিবাসন দমননীতি আরও কঠোর হলো।

বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যকে গুলি করা হয়। তাঁদের একজন পরে মারা গেছেন। এ ঘটনার পরদিনই ট্রাম্প ওই বক্তব্য দেন। ঘটনাটির প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে একজন আফগান নাগরিকের নাম এসেছে। তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

ট্রাম্প তাঁর মালিকানাধীন সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘আমি তৃতীয় বিশ্বের সব দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে স্থগিত করব, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থা পুরোপুরি পুনরুদ্ধার হয় এবং বাইডেন প্রশাসনের আমলে লাখ লাখ মানুষকে দেওয়া অবৈধ প্রবেশের সুযোগ বন্ধ করা যায়।’

‘তৃতীয় বিশ্ব’ বলতে ট্রাম্প কোন কোন দেশকে বোঝাচ্ছেন, তা স্পষ্ট করেননি। সাধারণত এ শব্দগুচ্ছ দিয়ে অর্থনৈতিকভাবে অনুন্নত বা উন্নয়নশীল ‘গ্লোবাল সাউথ’ দেশগুলোকে বোঝানো হয়।

এ নিষেধাজ্ঞা দরিদ্র দেশগুলোকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করবে, আর যেসব দেশ বিনিময়ে কিছু দিতে পারে, যেমন প্রাকৃতিক সম্পদ বা কৌশলগত সুবিধা-তাদের ক্ষেত্রে হয়তো শিথিল থাকবে। এমন ঘোষণার মূল লক্ষ্য হলো, সরকারকে কঠোর দেখানো, রাজনৈতিক আলোচনার দৃষ্টিভঙ্গি বদল, অভিবাসীদের ভয় দেখানো ও তাঁদের মানুষ হিসেবে কম মূল্যবান ভাবার পরিস্থিতি তৈরি করা; বাস্তবে এটি কার্যকর করা যাক বা না যাক এবং আইনগত ফলাফল যা-ই হোক।

ট্রাম্প বলেন, যেকেউ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সম্পদ নয় বা আমাদের দেশকে ভালোবাসতে অক্ষম, তাঁকে এ দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নন, এমন কাউকে আর কোনো ফেডারেল সুবিধা বা ভর্তুকি দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, ‘যাঁরা অভ্যন্তরীণ শান্তি নষ্ট করেন, এমন অভিবাসীদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হবে। আর যাঁরা সরকারিভাবে নির্ভরশীল, নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত বা পশ্চিমা সভ্যতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নন—এমন বিদেশিদের বহিষ্কার করা হবে।’

চলতি বছর ট্রাম্প ১২টি দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন এবং আরও সাতটি দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা সীমিত করেছেন। বছরজুড়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের ওপর আরও নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন। এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে তা হলো—

ট্রাম্প প্রশাসন কী বলছে

বুধবার ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে ২৯ বছর বয়সী আফগান নাগরিক রহমানউল্লাহ লাখানওয়াল গ্রেপ্তার হওয়ার পর ট্রাম্প ঘটনাটিকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে আখ্যা দেন।

সেদিন রাতে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘বাইডেন প্রশাসনের সময় আফগানিস্তান থেকে যেসব বিদেশি যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের ব্যাপারে আমাদের সবাইকে আবার নতুন করে পরীক্ষা করতে হবে।’

পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও অভিবাসন দপ্তর (ইউএসসিআইএস) আফগানদের সব ধরনের অভিবাসন আবেদন অনির্দিষ্টকালের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দেয়।

ইউএসসিআইএসের পরিচালক জোসেফ এডলো পরে এক্সে লেখেন, প্রেসিডেন্টের নির্দেশে ‘উদ্বেগজনক বলে বিবেচিত সব দেশের নাগরিকদের দেওয়া প্রতিটি গ্রিন কার্ড আবার কড়াকড়িভাবে পরীক্ষা করার’ আদেশ দিয়েছেন তিনি।

তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে অভিবাসন স্থগিতের ঘোষণার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থাকা স্বামী-স্ত্রী, সন্তান বা মা–বাবার দেশটিতে প্রবেশ বন্ধ হতে পারে—যত দিন না এ সিদ্ধান্ত বাতিল হয়। এতে দীর্ঘ দূরত্বে পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা তৈরি, পরিবারভিত্তিক অভিবাসন আবেদন বিলম্বিত ও পারিবারিক পুনর্মিলন কর্মসূচি ব্যাহত হবেঅভিষেক সাক্সেনা, আন্তর্জাতিক অভিবাসনবিষয়ক পরামর্শক

এডলোর দপ্তর জানায়, যেসব দেশের নাগরিকদের গ্রিন কার্ড আবার পরীক্ষা করা হবে, সেগুলো জুন মাসে ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষিত ভ্রমণ–নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে।

‘এ দেশ ও মার্কিন জনগণের সুরক্ষা সর্বাগ্রে এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ পূর্ববর্তী প্রশাসনের বেপরোয়া পুনর্বাসন নীতির মূল্য বহন করবে না’, বলেন এডলো।

জুনে ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা করে, যুক্তরাষ্ট্রকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী ও জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি থেকে রক্ষায়’ ১৯টি দেশের নাগরিকদের ওপর পূর্ণ বা আংশিক ভ্রমণ–নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।

পূর্ণ নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশগুলো হলো আফগানিস্তান, চাদ, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, মিয়ানমার, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন। আংশিক নিষেধাজ্ঞায় আছে (এখনো কিছু সাময়িক ভিসা দেওয়া হয়)–বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।

বৃহস্পতিবার রাতে ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে বলেন, তিনি ‘তৃতীয় বিশ্বের সব দেশ’ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে স্থগিত করবেন।

‘স্থায়ীভাবে স্থগিত’ করার অর্থ

এর অর্থ পরিষ্কার নয়। ভারতের সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করা আন্তর্জাতিক অভিবাসনবিষয়ক পরামর্শক অভিষেক সাক্সেনা আল–জাজিরাকে বলেন, সাধারণভাবে ‘স্থায়ী বিরতি’ শুনতে চূড়ান্ত বলে মনে হলেও অভিবাসন আইনে এর নির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞা নেই।

সাক্সেনা বলেন, বাস্তবে ‘স্থায়ী বিরতি’ বলতে সাধারণত এমন নিষেধাজ্ঞা বোঝায়; যার কোনো শেষ তারিখ নেই। কিন্তু এটি আইনের দিক থেকে অপরিবর্তনীয় অবস্থা নয়।

মার্কিন অভিবাসন ও নাগরিকত্ব আইন (আইএনএ) অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্দিষ্ট সময় কিংবা অনির্দিষ্টকালের জন্য অভিবাসীদের প্রবেশ স্থগিত করতে পারেন; যতক্ষণ না তিনি নিজে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন বা বাতিল করেন। তবে এটি আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে। সাক্সেনা বলেন, ‘যদি এ অনির্দিষ্ট স্থগিতাদেশ কংগ্রেসের পাস করা কোনো আইনের বিরোধী হয়, তবে আদালতে এর বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইমরান খানকে কি ভুট্টোর পরিণতি বরণ করতে হচ্ছে
  • তারেক রহমান না এলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, এমন নয়: তৌহিদ হোসেন
  • কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হলো বুক অলিম্পিয়াড
  • কেমন ছিলেন সাহাবি যুগের নারীরা
  • ‘সালাতুল হাজাত’ নামাজে যে দোয়া পড়বেন
  • মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের কর্মবিরতি, রোগী ভোগান্তি চরমে
  • সাখাওয়াত স্যার, আপনার কাছে জাতির যত ঋণ
  • ঘাম ঝরে একজনের, নম্বর জোটে সবার
  • ৯ ক্রিকেটারের বিপিএলের নিলাম থেকে বাদ পড়ার ৩ কারণ
  • তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসন ‘স্থায়ীভাবে স্থগিত’ করায় কী প্রভাব পড়বে