Samakal:
2025-07-12@02:08:29 GMT

কে এই সারা অর্জুন

Published: 11th, July 2025 GMT

কে এই সারা অর্জুন

রণবীর সিংয়ের বয়স পেরিয়েছে ৪০, আর ঠিক তখনই বলিউডের আসন্ন সিনেমা ‘ধুরন্ধর’-এর লুক টিজারে দেখা মিলল তাঁর বিপরীতে মাত্র ২০ বছর বয়সী এক নতুন মুখ। তিনি সারা অর্জুন। যদিও সারা বলিউডে একেবারে নতুন নন, কিন্তু রণবীরের মতো তারকা অভিনেতার বিপরীতে তাঁকে দেখে বিস্মিত হয়েছেন অনেকেই। ইন্ডিয়া টুডেসহ একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে: কে এই সারা অর্জুন?

সারা অর্জুন মূলত দক্ষিণী চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির একজন পরিচিত মুখ। শিশুশিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করে তিনি খুব অল্প বয়সেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তামিল সিনেমা ‘দেইভা থিরুমাগল’ দিয়ে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু। ওই সিনেমায় বিক্রমের কন্যার চরিত্রে তাঁর নিপুণ অভিনয় নজর কাড়ে দর্শক-সমালোচক সবার। মাত্র ছয় বছর বয়সেই তিনি হয়ে ওঠেন দক্ষিণী চলচ্চিত্রের অন্যতম সম্ভাবনাময় শিশু তারকা।

পরবর্তী সময়ে তিনি কাজ করেন বেশ কিছু হিন্দি ও দক্ষিণী সিনেমায়। আমির খানের প্রযোজনায় নির্মিত ‘সিক্রেট সুপারস্টার’ সিনেমায়ও ছোট্ট একটি চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এছাড়া ‘থালাইভি’ (জয়ললিতার বায়োপিক), ‘লাভ হোস্টেল’, ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ ও ‘৪০৪’ নামে হিন্দি চলচ্চিত্রেও সারা অর্জুনের উপস্থিতি ছিল প্রশংসনীয়। বিজ্ঞাপন জগতেও সারা কাজ করেছেন নিয়মিত। বলা যায়, শৈশব থেকেই অভিনয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে নিবিড়ভাবে।

সারার বাবা জয় অর্জুনও একজন অভিনেতা। পারিবারিকভাবেই তিনি অভিনয়ের জগতে এসেছেন এবং ধীরে ধীরে নিজেকে গড়ে তুলেছেন। তবে ‘ধুরন্ধর’ ছবিটি হতে যাচ্ছে তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

রণবীর সিংয়ের সঙ্গে সারার বয়সের পার্থক্য নিয়ে ইতোমধ্যে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। ২০ বছরের এই ব্যবধান অনেকের কাছেই অস্বস্তিকর ঠেকেছে। অনেকে বলছেন, বলিউডে এই বয়সের ফারাক যেন এখন নতুন কোনো নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবারের ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত সালমান খান অভিনীত ‘সিকান্দার’ ছবিতেও দেখা গেছে একই চিত্র—সালমানের বিপরীতে ছিলেন রাশমিকা মান্দানা, যিনি সালমানের চেয়ে ৩১ বছরের ছোট।

তবে ‘ধুরন্ধর’ নিয়ে নির্মাতারা ভিন্ন রকম প্রত্যাশা দেখিয়েছেন। এটি একটি পিরিয়ড অ্যাকশন ড্রামা সিনেমা, যেখানে উঠে আসবে ইতিহাসে অনুল্লিখিত কিছু গোপন নায়ক-গল্প। প্রযোজক সংস্থা জানিয়েছে, এই ছবির মূল উপজীব্য হবে সেই সব মানুষ, যাদের নাম ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়নি, কিন্তু যাদের অবদান ছিল অপরিসীম। পরিচালক আদিত্য ধর বলেছেন, “এই ছবির প্রতিটি চরিত্রই বাস্তব ঘটনার অনুপ্রেরণায় তৈরি। আমরা সেসব নাম না জানা বীরদের গল্প বলার চেষ্টা করছি, যাঁদের রক্তে লেখা হয়েছে স্বাধীনতার ইতিহাস।”

ছবিতে সারার চরিত্রটি এখনও পুরোপুরি প্রকাশ করা হয়নি। তবে জানা গেছে, রণবীরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে তাঁকে দেখা যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, সারার চরিত্রটি সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
‘উরি’-খ্যাত পরিচালক আদিত্য ধর নির্মাণ করছেন ‘ধুরন্ধর’। সিনেমাটি মুক্তি পাবে চলতি বছরের ৫ ডিসেম্বর। ছবিটি নিয়ে ইতোমধ্যে বলিউড অঙ্গনে বেশ হাইপ তৈরি হয়েছে। তবে দর্শকদের চোখ এখন সারার ওপর— দক্ষিণের সাবেক শিশু শিল্পী এবার কতটা মন জয় করতে পারেন বলিউডের পর্দায়, সেটাই দেখার বিষয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অর জ ন চর ত র র বয়স রণব র

এছাড়াও পড়ুন:

বরিশাল বোর্ডের ১৬ বিদ্যালয়ে শতভাগ ফেল

বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় ১৭টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে। এছাড়া ১৬টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শতভাগ ফেল করেছে। গত বছর ২২২টি বিদ্যালয়ে শতভাগ পাস করেছিল।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম‌্যান অধ্যাপক মে. ইউনুস আলী সি‌দ্দিকী।

এ সময় উপ‌স্থিত ছিলেন শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক জিএম শহীদুল ইসলাম।

আরো পড়ুন:

বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৫৬.৩৮ শতাংশ

নারায়ণগঞ্জে অপহরণের ৭ দিনেরও স্কুলছাত্রী উদ্ধার হয়নি   

বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মে. ইউনুস আলী সি‌দ্দিকী জানান, বোর্ডের আওতাধীন ১ হাজার ৫০২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৭টি বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে। এর মধ্যে রয়েছে পিরোজপুর জেলায় সর্বোচ্চ সাতটি, বরিশাল জেলায় ছয়টি, পটুয়াখালীতে তিনটি ও ভোলায় একটি বিদ্যালয়।

তিনি আরো জানান, বোর্ডের আওতায় ৭৩২টি বিদ্যালয়ে পাসের হার ৫০ শতাংশের ওপরে। আর ৫০ শতাংশের নিচে পাস করেছে ৭৩৭টি বিদ্যালয়। এছাড়া বোর্ডের আওতায় ছয় জেলায় ১৬টি বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি। এর মধ্যে রয়েছে পটুয়াখালীতে চারটি, ঝালকাঠিতে চটি, ভোলায় তিনটি, বরগুনায় দুইটি, পিরোজপুরে দুইটি, বরিশালে একটি বিদ্যালয়।

বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে পটুয়াখালী জেলা সদরের মিয়াবাড়ি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একজন, মির্জাগঞ্জের কিসমতপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে দুইজন, দশমিনার পূর্ব আলিপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আটজন, দুমকির জালিশা সেকেন্ডারি গার্লস স্কুল থেকে একজন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।

ঝালকাঠি জেলার নলছিটির ভেরণবাড়িয়া সিএসইউ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সাতজন, মাটিভাঙ্গা সেকেন্ডারি স্কুল থেকে ১৭ জন,  জুরাকাঠি সেকেন্ডারি গার্লস স্কুল থেকে ১১ জন ও দিলদুয়ার গার্লস সেকেন্ডারি স্কুল থেকে ১৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।

ভোলা জেলার তজুমদ্দিনের নিশ্চিন্তপুর সিকদার বাজার সেসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৯ জন, চরফ্যাশনের ফরিদাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৪ জন ও শামিম মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ছয়জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।

বরগুনা জেলা সদরের পুরাকাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৭ জন, বেতাগীর কাজিরাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।

পিরোজপুর জেলা সদরের জুজখোলা সম্মিলিত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে পাঁচজন ও ভান্ডারিয়ার মধ্য চড়াইল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পাঁচজন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।  এছাড়া বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা নাজমুল আলম সিদ্দিকী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে নয়জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।

২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ৭৩ হাজার ৬১৬ জন এবং ছাত্র ৬৫ হাজার ৪১৬ জন।

এ বছর গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫। গত বছর এ হার ছিল ৮৩ দশমিক ৪। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার কমেছে ১৪ দশমিক ৯৫।

নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ৩৭ হাজার ৬৮ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৫ হাজার ২১৮ জন শিক্ষার্থীই বিজ্ঞান বিভাগের। এছাড়া, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ২২ হাজার ৩২৭ জনের মধ্যে ২১ হাজার ৪৯৭ জন, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের ১৫ হাজার ৬২ জনের মধ্যে ১৪ হাজার ৮৩১ জন, যশোর শিক্ষা বোর্ডের ১৫ হাজার ৪১০ জনের মধ্যে ১৩ হাজার ৩৭৯ জন, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের ৩ হাজার ৬১৪ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৪১১ জন, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের ১১ হাজার ৮৪৩ জনের মধ্যে ১০ হাজার ৪৫৮ জন, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের ৩ হাজার ১১৪ জনের মধ্যে ২ হাজার ৯২০ জন, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের ৬ হাজার ৬৭৮ জনের মধ্যে ৬ হাজার ৪৪৩ জন, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের ৯ হাজার ৯০২ জনের মধ্যে ৯ হাজার ৪৬৩ জন এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ৯ হাজার ৬৬ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৬৯১ জন শিক্ষার্থীই বিজ্ঞান বিভাগের।

এ বছর গত ১০ এপ্রিল শুরু হওয়া এই পরীক্ষায় মোট ৩০ হাজার ৮৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মোট ১৯ লাখ ৪ হাজার ৮৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।

এর আগে ২০২৪ সালে শতভাগ পাস করেছিল ২ হাজার ৯৬৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সে হিসাবে শতভাগ পাশ করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ৯৮৪টি।

একইভাবে ২০২৪ সালে একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫১টি। যা এবার ৮৩টি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৪টিতে।

ঢাকা/পলাশ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে দুই প্রস্তাব
  • বৃষ্টির প্রেমে তিশা ও কিছু ছবি
  • ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুই কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি মাহমুদ খালিলের
  • একজন বিবাগি
  • চিড়া–বাদাম বেচেন কুদ্দুস, বাড়িতে হাজারো বই আর অডিও
  • জবিতে দুই শিক্ষক ও বাগছাসের নেতাদের উপর ছাত্রদলের হামলা
  • সিনেটে ট্রাম্পের পছন্দের ব্যক্তিকে নাকানি-চুবানি
  • ‘ভোট দিলাম সন্দ্বীপে, এমপি পেলাম মালদ্বীপে’ বনাম ‘যার যত ভোট, তার তত আসন’
  • বরিশাল বোর্ডের ১৬ বিদ্যালয়ে শতভাগ ফেল