ওয়ালটনের ৩ মডেলের কমার্শিয়াল ওয়াশিং মেশিন উদ্বোধন
Published: 2nd, March 2025 GMT
অত্যাধুনিক ফিচার সমৃদ্ধ নতুন তিন মডেলের কমার্শিয়াল ওয়াশিং মেশিন উদ্বোধন করেছে দেশের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটন। ফ্রন্ট লোডিং সিস্টেমের নতুন কমার্শিয়াল ওয়াশিং মেশিনের মধ্যে রয়েছে-৫০ কেজি ধারণ ক্ষমতার ওয়াশার সিএমটিএইচ ৫০ মডেল, ৫০ কেজি ধারণ ক্ষমতার ড্রায়ার সিএমটিসি ৫০ মডেল এবং ১০ কেজি করে ওয়াশার এবং ড্রায়ার সিএমটিডি ডাবলডেক ১০ মডেল।
সম্প্রতি গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির সদর দপ্তরে নতুন মডেলের এসব কমার্শিয়াল ওয়াশিং মেশিন উদ্বোধন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম ও পরিচালক তাহমিনা আফরোজ তান্না।
সে সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইউসুফ আলী, ওয়ালটন হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) মোস্তফা কামালসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরো পড়ুন:
১০০ বিসিএস কর্মকর্তার ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন
ওয়ালটন বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর: আইসিবি চেয়ারম্যান
অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের পরিচালক এবং হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সের মনিটরিং ডিরেক্টর তাহমিনা আফরোজ তানড়বা জানান, প্রতিনিয়ত বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তি ও ফিচার সমৃদ্ধ সাশ্রয়ী দামের নতুন নতুন মডেলের ওয়াশিং মেশিন তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন। ওয়ালটনের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন টিমের প্রকৌশলীরা ওয়াশিং মেশিনে নিত্য নতুন অত্যাধুনিক ফিচার যোগ করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এসব কারণে স্থানীয় বাজারে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ওয়াশিং মেশিনের গ্রাহকপ্রিয়তা দিন দিন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়ালটন প্রথমবারের মতো দেশে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের কমার্শিয়াল ওয়াশিং মেশিন উদ্বোধন করেছে।
ওয়ালটনের হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সের সিবিও মোস্তফা কামাল বলেন, “ওয়ালটন সদর দপ্তরে রয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির আন্তর্জাতিকমানের ওয়াশিং মেশিন ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট। সেখানে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ফ্রন্ট, টপ লোড অটোমেটিক ও সেমি অটোমেটিক টাইপের ৩০ মডেলেরও বেশি ওয়াশিং মেশিন উৎপাদন করা হচ্ছে। ইউরোপীয় এনার্জি স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণের তৈরি নতুন মডেলের কমার্শিয়াল ওয়াশিং মেশিনে প্রতি ওয়াশে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় অনেক।”
“এছাড়া একাধিক ভিন্ন ধরনের ঘূর্ণন কৌশল কাপড়কে কোনো ক্ষতি ছাড়াই ওয়াশ করে। রয়েছে টাচ-স্ক্রিন প্যানেল। স্টেইনলেস স্টিল ব্যবহার করায় ওয়ালটনের এসব ওয়াশিং মেশিন অনেক দীর্ঘস্থায়ী। নতুন মডেলের কমার্শিয়াল ওয়াশিং মেশিনের দাম পড়বে ১৭ থেকে ৩৫ লাখ টাকার মধ্যে।”
জানা গেছে, ওয়ালটনের কমার্শিয়াল ওয়াশিং মেশিনের স্পেয়ার পার্টসে এক বছর ওয়ারেন্টিসহ ফ্রি ইনস্টলেশন সুবিধা দেওয়া হবে।
ঢাকা/সাহেল/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেছেন, এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।
আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বারের হলরুমে ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার সংকট ও আইনি প্রতিকার পাওয়ার পথ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেড আই খান পান্না। সেমিনারটির আয়োজন করে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম), বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।
বক্তব্যে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘এখানে সংখ্যালঘুর কথা বলা হচ্ছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখন আমি সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু। আজ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা দেখি, জুতা দিয়ে বাড়ি দিতে দেখি, কিন্তু কিছু করতে পারি না। তাই আমি সবচেয়ে বড় অসহায়।’
এসব কথা বলতে বলতে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না কেঁদে ফেলেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, জীবনে কখনো জেনে-বুঝে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করেন, তাঁদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
জেড আই খান পান্না আরও বলেন, ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, কারও সঙ্গে এর তুলনা চলে না। এটা সাম্প্রদায়িকতার দেশ না। সংবিধানে যেন কেউ হাত না দেয়। সরকারের অনেকেই বিদেশি হয়েও স্বদেশি ভাব দেখাচ্ছেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার যেন নিঃশেষ হয়ে গেছে। সমাজে ন্যায়বিচার বা সুবিচার পাওয়ার কথা থাকলেও তা মিলছে না। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচার হয় না। কেউ কেউ ধরা পড়লেও পরে বেরিয়ে যায়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুমন কুমার রায় বলেন, সব সরকারের আমলেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত। বর্তমান নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। সংস্কার কমিশনে সংখ্যালঘুদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা হলেও সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া আসে না, এমনকি দুঃখও প্রকাশ করে না।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ শুরু হলে তা দমন করতেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করে সুমন কুমার দাবি করেন, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সনাতনী সম্প্রদায়ের বাক্স্বাধীনতা বন্ধ করতে, নেতৃত্ব দমন করতে এসব করা হচ্ছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে কে পাল। সঞ্চালনায় ছিলেন এইচআরসিবিএমের বাংলাদেশ চ্যাপটারের আহ্বায়ক লাকি বাছাড়। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরশেদ ও মো. গোলাম মোস্তফা।