রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবারের মতো শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য ইফতারের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু তবে মহতী এ উদ্যোগে আয়োজনের তুলনায় রোজাদার শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় অনেকটা বাধ্য হয়ে মসজিদের মাইকে এক প্যাকেট খাবার দুজনকে ভাগ করে খাওয়ার অনুরোধ জানায় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া অব্যবস্থাপনার কারণে অনেকেই ইফতার না পেয়ে চলে গেছেন। আবার কেউ কেউ সময়মতো ইফতারও করতে পারেননি।

আয়োজকেরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে শিক্ষার্থীদের ইফতার বাবদ প্রায় ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আজ প্রথম রোজায় প্রায় ৪ হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থীর জন্য বিরিয়ানি রান্না করা হয়েছিল। সঙ্গে ছিল খেজুর ও সালাদ। এমন আয়োজনের মধ্য দিয়েই ইফতার অনুষ্ঠান শেষ হয়।

গত শুক্রবার ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ নামের ফেসবুক গ্রুপে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাসব্যাপী ইফতারের আয়োজনের ঘোষণা দেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে ব্যাপক প্রশংসা পায়। আজ রোববার রোজার প্রথম দিনে দুপুর গড়াতেই শুরু হয় রান্নার আয়োজন। ইফতার আয়োজন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কাজ করেন শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক। বিকেল হতেই বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ইফতারে অংশ নিতে কেন্দ্রীয় মসজিদে ভিড় করেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি অংশ ছিলেন নারী শিক্ষার্থীরা। তাঁদের জন্য শামিয়ানা দিয়ে প্যান্ডেল তৈরি করে আলাদা বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

সরেজমিনে দেখা যায়, আসরের নামাজের পরই মসজিদ প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। ইফতারের আগমুহূর্তেই মসজিদ প্রাঙ্গণ পরিপূর্ণ হয়ে যায়। মসজিদে জায়গা না পেয়ে অনেক শিক্ষার্থী সামনের আমবাগানে সারিবদ্ধভাবে বসে পড়েন। এ সময় খাবার সংকটের কারণে সব শিক্ষার্থীর মাঝে খাবার বণ্টন করা সম্ভব হয়নি। অনেকে খাবার নিতে শামিয়ানার নিচে এসে ধাক্কাধাক্কি করেন। একপর্যায়ে খাবার শেষ হয়ে গেলে অনেক শিক্ষার্থী খালি হাতে ফিরে যান।

সন্ধ্যার পর ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ নামের ফেসবুক গ্রুপে মো.

আতাউল্লাহ বুখারি নামের একজন পোস্ট করে লিখেছেন, ‘এত বড় আয়োজন কিন্তু মসজিদের ভেতরে বসা সত্ত্বেও খাবার পৌঁছায়নি। পানি দিয়ে ইফতার করলাম। আলহামদুলিল্লাহ।’

‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামের আরেকটি গ্রুপে সাথী নামের এক আইডি থেকে বলা হয়, ‘হল থেকে এক বোতল পানি নিয়ে গেছিলাম। দুই বান্ধবী সেটা খেয়ে ইফতার করে আসলাম। আলহামদুলিল্লাহ।’

আরিফ মাহমুদ নামের এক শিক্ষার্থী কমেন্টে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। অসাধারণ, সুন্দর উদ্যোগ। ধন্যবাদ আমাদের রাবি প্রশাসনকে। ইনশা আল্লাহ এমন আয়োজন অব্যাহত থাকুক। তবে আর একটু সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে হবে।’

আয়োজনের ব্যাপারে সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ রকম আয়োজন আগে কখনো করা হয়নি। এটি করা চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমাদের অনুমানের চেয়ে বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থী আসায় অনেকে খাবার পাননি। এ জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। আশা করছি, ভবিষ্যতে আর এমন হবে না। এসব বিষয় মাথায় নিয়ে আমরা কাজ করব।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইফত র র র জন য মসজ দ

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া

ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সব সময়ই দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল অনুযায়ী এগিয়েছে।

অতীতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে লম্বা বিরতি দেখা গেছে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৮—টানা ২৪ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। আবার ১৯৬০ সালের পর পাকিস্তানও প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে যায় ১৯৭৯ সালে।

এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়মিত মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে ভারত তিনবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে খেলে ১২ টেস্ট, পাকিস্তানও ভারতে গিয়ে খেলে ৮ টেস্ট।

দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান তিন টেস্ট খেলতে ভারতে যায়। এর মধ্যে একটি ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ফিরতি টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় ২০০৪ সালে, যা ছিল ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেকের পর প্রথমবার।

২০০৪ সালের পাকিস্তান সফরে কড়া নিরাপত্তায় ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন টেন্ডুলকার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩ দাবিই পূরণ চান অনশনরত জবি শিক্ষার্থীরা
  • জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • সানসিল্কের আমন্ত্রণে প্রথমবারের মতো ঢাকায় পাকিস্তানি তারকা হানিয়া আমির
  • গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন চালাচ্ছে ইসরায়েল: প্রথমবারের মতো বলল জাতিসংঘ
  • ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া