নোবিপ্রবিতে চাইনিজ ভাষা অগ্রাধিকার পাবে: উপাচার্য
Published: 3rd, March 2025 GMT
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টারে চাইনিজ ভাষা অগ্রাধিকার পাবে বলে মন্তব্য করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।  
তিনি বলেছেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি। যেখানে চাইনিজ ভাষা অগ্রাধিকার পাবে। এতে করে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরাসহ প্রবাসী অধ্যুষিত এ অঞ্চলের মানুষ চাইনিজ ভাষা শিখে নিজেকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।”
সোমবার (৩ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজ (সিসিএস) ও সাংহাই ইনস্টিটিউটস ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের যৌথ ভার্চুয়াল সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি ঢাবি সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজের বোর্ড সদস্য।
আরো পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গণইফতার আয়োজন করে অভিনব প্রতিবাদ
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
ছাত্রী হলের খাবারে নখ কাটার যন্ত্র, অতঃপর…
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ ও পারস্পরিক সহযোগিতার। আমাদের দেশের উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে চীনের অবদান রয়েছে। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে এ সম্পর্ককে আরো তরান্বিত করতে সিসিএস প্রতিষ্ঠা করা হয়।”
তিনি আশা করে আরো বলেন, “চীনের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে শিক্ষক, শিক্ষার্থী বিনিময়, গবেষণা পরিচালনা এবং নতুন টেকনোলজি ট্রান্সফারে সিসিএস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
সভায় চীনের সাংহাই ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ ও ঢাবির বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপকবৃন্দ মতামত প্রদান করেন।
সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজের (সিসিএস) এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাংহাই ইনস্টিটিউটস ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের মধ্যে গত বছর ২৪ মার্চ সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ ইন জ ভ ষ স স এস
এছাড়াও পড়ুন:
হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা
সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’
জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।
সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।
তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"
"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/ইয়াসিন