নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টারে চাইনিজ ভাষা অগ্রাধিকার পাবে বলে মন্তব্য করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।

তিনি বলেছেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি। যেখানে চাইনিজ ভাষা অগ্রাধিকার পাবে। এতে করে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরাসহ প্রবাসী অধ্যুষিত এ অঞ্চলের মানুষ চাইনিজ ভাষা শিখে নিজেকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।”

সোমবার (৩ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজ (সিসিএস) ও সাংহাই ইনস্টিটিউটস ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের যৌথ ভার্চুয়াল সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি ঢাবি সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজের বোর্ড সদস্য।

আরো পড়ুন:

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গণইফতার আয়োজন করে অভিনব প্রতিবাদ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
ছাত্রী হলের খাবারে নখ কাটার যন্ত্র, অতঃপর…

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ ও পারস্পরিক সহযোগিতার। আমাদের দেশের উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে চীনের অবদান রয়েছে। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে এ সম্পর্ককে আরো তরান্বিত করতে সিসিএস প্রতিষ্ঠা করা হয়।”

তিনি আশা করে আরো বলেন, “চীনের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে শিক্ষক, শিক্ষার্থী বিনিময়, গবেষণা পরিচালনা এবং নতুন টেকনোলজি ট্রান্সফারে সিসিএস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

সভায় চীনের সাংহাই ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ ও ঢাবির বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপকবৃন্দ মতামত প্রদান করেন।

সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজের (সিসিএস) এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাংহাই ইনস্টিটিউটস ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের মধ্যে গত বছর ২৪ মার্চ সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ ইন জ ভ ষ স স এস

এছাড়াও পড়ুন:

কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মন্তব্যে ভারতে ক্ষোভ, কী বলেছেন তিনি

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সাধারণত আলোচনার কেন্দ্রে আসেন না। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খবরের শিরোনাম হয়ে উঠেছেন তিনি—শুধু পাকিস্তানে নয়, সীমানা পেরিয়ে ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন কূটনৈতিক কেন্দ্রেও।

ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর কয়েক দিন আগে কাশ্মীর নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন আসিম মুনির। তাঁর এসব মন্তব্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থান ও আঞ্চলিক উত্তেজনায় তাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরকে পুরোপুরি নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু তারা এটির একেক অংশ শাসন করে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে এ ভূখণ্ড।

জেনারেল মুনিরের বক্তব্য যদিও প্রত্যক্ষভাবে পেহেলগামের হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, তবু তাঁর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এটিকে বেশি আগ্রাসী মনোভাবের হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল আসিম মুনিরকে বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ, সরকারকে ক্ষমতায় বসানো ও অপসারণে দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনী নানা ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ করা হয়ে থাকে। এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী প্রতিবেশী এ দুই দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছেন তিনি।

ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’

২০২২ সালের নভেম্বরে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেন জেনারেল মুনির। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁকে প্রকাশ্যে তেমন কথা বলতে শোনা যায়নি। তবে তাঁর একটি বক্তব্য ব্যাপকভাবে মনোযোগ কেড়েছে।

আরও পড়ুনভারতে অনলাইনে ছড়ানো হচ্ছে মুসলিমবিদ্বেষী গান, কনটেন্ট২৯ এপ্রিল ২০২৫

ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’

জেনারেল মুনিরের এ বক্তব্যের সঙ্গে পেহেলগামে হামলার কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকতে পারে। কেননা পাকিস্তানের নেতারা অনেক বছর ধরেই এমন ধরনের আদর্শিক বক্তব্য–বিবৃতি দিয়ে আসছেন।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার স্থলে ছড়িয়ে আছে চেয়ার–টেবিল

সম্পর্কিত নিবন্ধ