৫ কো‌টি ৯০ লাখ ২৭ হাজার ৬১২ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জ‌নের পাশাপা‌শি ৩২ কো‌টি টাকার আ‌য়ের উৎস আড়াল করেছেন সা‌বেক বাণিজ‌্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।পাশাপা‌শি স্বামীর দুর্নী‌তি‌তে স্ত্রী আইরিন মালবিকা মুন‌শি অবৈধ সম্পদ অর্জন ক‌রে‌ছেন ৪ কো‌টি ১৮ লাখ ২৩ হাজার ৭৩০টাকা।

দুর্নী‌তি দমন ক‌মিশ‌নের অনুসন্ধা‌নে চাঞ্চল‌্যকর এই তথ‌্য পাওয়া গেছে।

অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের মালিকানা অর্জন ও দখলে রাখা অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় টিপু মুন‌শি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক মামলা ক‌রে‌ছে দুর্নী‌তি দমন ক‌মিশন।

টিপু মুন‌শির দুই কন‌্যার বিরু‌দ্ধেও অনুসন্ধা‌নের সিদ্ধান্ত নি‌য়ে‌ছে দুদক। বৃহস্প‌তিবার (৬ মার্চ) দুদ‌কের মহাপ‌রিচালক (অনুসন্ধান ও তদন্ত) আক্তার হো‌সেন এ তথ‌্য জানান।

প্রথম মামলায় বলা হয়, সা‌বেক বা‌ণিজ‌্যমন্ত্রী টিপু মুনশির নামে মোট ১১,৯৫,৫৯,৪৫৬ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। উক্ত সময়ে তার সর্বমোট গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ৬,০৫,৩১,৮৪৪ টাকা। এক্ষেত্রে তার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ৫,৯০,২৭,৬১২।

এছাড়া টিপু মুনশির নিজ নামে ১১টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে মোট ১৭,৫৫,৭৯,৬৩৩ টাকা জমা ও ১৪,৬২,৭৮,৮১৭ টাকা উত্তোলনসহ সর্বমোট ৩২,১৮,৫৮,৪৫০ টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরপূর্বক আয়ের উৎস আড়াল করেছেন যা অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। ফলে অনুসন্ধান টিমের সুপারিশের আলোকে কমিশননের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট টিপু মুনশির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় একটি মামলার অনুমোদন করা হয়।

দ্বিতীয় মামলার এজাহা‌রে বলা হয়, টিপু মুনশির স্ত্রী আইরিন মালবিকা মুনশির এর নামে মোট ৬,২৫, ৬৮,৬২৭ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। উক্ত সময়ে তার সর্বমোট গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ২,০৭,৪৪,৮৯৭ টাকা। এক্ষেত্রে তার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ৪,১৮,২৩,৭৩০ টাকা।

অনুসন্ধান টিম টিপু মুনশির স্ত্রী আইরিন মালবিকা মুনশির বিরুদ্ধে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪,১৮,২৩,৭৩০ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন ও দখলে রাখা অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় মামলার সুপারিশ করেন।

এদিকে টিপু মুনশির দুই মেয়ে তানিয়া অনন্যা মুনশি এবং তৃষা মুনশির নামে কয়েকটি ব্যাংক হিসাব বিবরণী, তারা বিভিন্ন কোম্পানির পরিচালক ও তাদের নামে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার থাকায় তাদের বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানের জন্য অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য় র উৎস দমন ক

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ