যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞায় পড়ছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান
Published: 7th, March 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যাচ্ছেন, তাতে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধার সম্মুখীন হতে পারেন। নিরাপত্তা ঝুঁকি পর্যালোচনা ও যাচাই-বাছাই শেষে আগামী সপ্তাহেই এ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। সংশ্লিষ্ট তিনটি সূত্রের বরাতে বৃহস্পতিবার রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
তালিকায় আরও দেশ থাকতে পারে। তবে সে দেশগুলোর নাম প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে সাতটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। ওই পদক্ষেপ নানা আইনি জটিলতা শেষে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের সায় পেয়েছিল। জো বাইডেন ক্ষমতায় এসে ২০২১ সালে এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। ট্রাম্পের পদক্ষেপকে তখন তিনি ‘আমাদের জাতীর বিবেকে কলঙ্কের দাগ’ বলেও মন্তব্য করেন। ট্রাম্পের নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় আফগানিস্তান থাকলে তা শরণার্থী হিসেবে কিংবা বিশেষ অভিবাসন ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা লাখ লাখ আফগানের জন্য হবে চরম দুঃসংবাদ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ভ রমণ ন ষ ধ জ ঞ আফগ ন
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কের হার কমায় একে ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “এটি সুস্পষ্ট এক কূটনৈতিক সাফল্য।”
শুক্রবার (১ আগস্ট) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, শুল্ক হার ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে আরোপিত শুল্ক হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা ও সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, আলোচকরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে জটিল আলোচনাকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত এই চুক্তি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তাবাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ
কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, এ অর্জন কেবল বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না; বরং এটি বৃহত্তর সম্ভাবনা, ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল, উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আজকের সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা ও আগামী দিনের আরো শক্তিশালী অর্থনীতির সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/রফিক