Prothomalo:
2025-05-01@05:45:40 GMT

ফ্যাশন শো নিয়ে সরগরম কাশ্মীর

Published: 10th, March 2025 GMT

তুলকালাম পড়ে গেছে কাশ্মীরে। উত্তাল বিধানসভাও। প্রবল চিৎকারের মধ্যে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আমি গুলমার্গের ফ্যাশন শো নিয়ে প্রতিবেদন তলব করেছি। আমার সরকার ওই শোর সঙ্গে কোনোভাবে যুক্ত ছিল না। মানুষের ক্ষোভ খুবই সংগত। আয়োজকেরা জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের ভাবাবেগ ও সংবেদনশীলতাকে গুরুত্ব দেননি।’

গত শুক্রবার (৭ মার্চ) কাশ্মীরের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শৈল শহর গুলমার্গে ফ্যাশন শোর আয়োজন করেন দুই ভারতীয় পোশাকশিল্পী শিভন ও নরেশ। তুষারাবৃত গুলমার্গ স্কির (বরফে একধরনের খেলা) জন্য বিখ্যাত। শিভন ও নরেশের পোশাক ভাবনাও ছিল ‘স্কি ওয়্যার’ বা স্কি উপযুক্ত পোশাক। কোনো রিসোর্টের অন্দরমহলে সেই শো না করে তুষারাচ্ছন্ন সড়ক বেছে নেওয়া হয়েছিল। খোলা আকাশের নিচে বরফের আস্তরণের ওপর তৈরি করা হয়েছিল র‍্যাম্প। সেখানেই নানা পোশাকে শো করেছিলেন নামীদামি পুরুষ-নারী মডেলেরা।

ফ্যাশন শোর ভাবনা ও মডেলদের পোশাক নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। স্বল্পবসনা নারী-পুরুষদের ছবি, ভিডিও গণমাধ্যম ও সমাজমাধ্যমে প্রচার পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই সমালোচনার সূচনা হয়।

হুরিয়ত নেতা মীরওয়াইজ ওমর ফারুক ওই ফ্যাশন শোকে ‘কুরুচিকর, অশালীন ও আপত্তিকর’ বলে মন্তব্য করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) তিনি লেখেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে এমন জঘন্য আয়োজন মেনে নেওয়া যায় না।’

একই রকম আপত্তি তোলেন পিডিপি নেত্রী ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। এক্সে তিনি লেখেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে এই অশ্লীলতা মানা যায় না। এটা কাশ্মীরি মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না। এমন আয়োজন জম্মু-কাশ্মীরের সমাজ ও সংস্কৃতির পক্ষে বিপজ্জনক।’

মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ নিজেও চুপ করে থাকেননি। সামগ্রিক বিরোধিতার সুরে শোনা গেছে তাঁর কণ্ঠেও। তিনি বলেছেন, ‘কাশ্মীরি জনতার রাগ হওয়া স্বাভাবিক। স্থানীয় ভাবাবেগের তোয়াক্কা না করেই রমজান মাসে ওই আয়োজন, যার সঙ্গে প্রশাসনের কোনো যোগ ছিল না।’

সোমবার বিধানসভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। দল–মতনির্বিশেষে সমালোচনার মুখে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

ফ্যাশন শোর সমালোচনায় সামাজিক মাধ্যমে কেউ কেউ বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘রমজান তো সারা দেশেই পালিত হচ্ছে। তাই বলে দেশে কি ফ্যাশন শো বন্ধ আছে? ফ্যাশন বিশ্বের নজরে আসায় কাশ্মীরের বরং গর্ব করা উচিত।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম খ যমন ত র রমজ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ