Prothomalo:
2025-08-01@17:19:25 GMT

ফ্যাশন শো নিয়ে সরগরম কাশ্মীর

Published: 10th, March 2025 GMT

তুলকালাম পড়ে গেছে কাশ্মীরে। উত্তাল বিধানসভাও। প্রবল চিৎকারের মধ্যে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আমি গুলমার্গের ফ্যাশন শো নিয়ে প্রতিবেদন তলব করেছি। আমার সরকার ওই শোর সঙ্গে কোনোভাবে যুক্ত ছিল না। মানুষের ক্ষোভ খুবই সংগত। আয়োজকেরা জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের ভাবাবেগ ও সংবেদনশীলতাকে গুরুত্ব দেননি।’

গত শুক্রবার (৭ মার্চ) কাশ্মীরের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শৈল শহর গুলমার্গে ফ্যাশন শোর আয়োজন করেন দুই ভারতীয় পোশাকশিল্পী শিভন ও নরেশ। তুষারাবৃত গুলমার্গ স্কির (বরফে একধরনের খেলা) জন্য বিখ্যাত। শিভন ও নরেশের পোশাক ভাবনাও ছিল ‘স্কি ওয়্যার’ বা স্কি উপযুক্ত পোশাক। কোনো রিসোর্টের অন্দরমহলে সেই শো না করে তুষারাচ্ছন্ন সড়ক বেছে নেওয়া হয়েছিল। খোলা আকাশের নিচে বরফের আস্তরণের ওপর তৈরি করা হয়েছিল র‍্যাম্প। সেখানেই নানা পোশাকে শো করেছিলেন নামীদামি পুরুষ-নারী মডেলেরা।

ফ্যাশন শোর ভাবনা ও মডেলদের পোশাক নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। স্বল্পবসনা নারী-পুরুষদের ছবি, ভিডিও গণমাধ্যম ও সমাজমাধ্যমে প্রচার পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই সমালোচনার সূচনা হয়।

হুরিয়ত নেতা মীরওয়াইজ ওমর ফারুক ওই ফ্যাশন শোকে ‘কুরুচিকর, অশালীন ও আপত্তিকর’ বলে মন্তব্য করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) তিনি লেখেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে এমন জঘন্য আয়োজন মেনে নেওয়া যায় না।’

একই রকম আপত্তি তোলেন পিডিপি নেত্রী ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। এক্সে তিনি লেখেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে এই অশ্লীলতা মানা যায় না। এটা কাশ্মীরি মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না। এমন আয়োজন জম্মু-কাশ্মীরের সমাজ ও সংস্কৃতির পক্ষে বিপজ্জনক।’

মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ নিজেও চুপ করে থাকেননি। সামগ্রিক বিরোধিতার সুরে শোনা গেছে তাঁর কণ্ঠেও। তিনি বলেছেন, ‘কাশ্মীরি জনতার রাগ হওয়া স্বাভাবিক। স্থানীয় ভাবাবেগের তোয়াক্কা না করেই রমজান মাসে ওই আয়োজন, যার সঙ্গে প্রশাসনের কোনো যোগ ছিল না।’

সোমবার বিধানসভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। দল–মতনির্বিশেষে সমালোচনার মুখে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

ফ্যাশন শোর সমালোচনায় সামাজিক মাধ্যমে কেউ কেউ বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘রমজান তো সারা দেশেই পালিত হচ্ছে। তাই বলে দেশে কি ফ্যাশন শো বন্ধ আছে? ফ্যাশন বিশ্বের নজরে আসায় কাশ্মীরের বরং গর্ব করা উচিত।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম খ যমন ত র রমজ ন

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকে আশ্রয় দেওয়ায় তাঁতী দলের নেতা বহিষ্কার

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিনকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত মোহাম্মদ সৈকত উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি ছিলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক ইকবাল করিম সোহেল ও সদস্যসচিব মোরশেদ আলমের যৌথ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি মূল্যায়নে ব্যর্থ হওয়ায় হাতিয়া উপজেলা তাঁতী দলের দক্ষিণ কমিটিকে সতর্ক করা হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামে সৈকতের বাড়ি থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে হাতিয়া থানা–পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ সৈকত সম্পর্কে ফুফা–ভাগনে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ সৈকত প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে অনেকগুলো পরিবার থাকে। আমি ব্যবসার কাজে দিনের বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকি। আলাউদ্দিন কখন বাড়িতে এসেছেন, তা আমার জানা নেই। আমাদের ঘর থেকে তাঁর শ্বশুরদের ঘর অনেক দূরে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে।’

নোয়াখালী জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম বলেন, আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকে আত্মগোপনে থাকার সুযোগ করে দেওয়ায় মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের তাঁতী দল কমিটিকেও সতর্ক করা হয়েছে।

আরও পড়ুনহাতিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে থাকা সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার৩১ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ