মেহেরপুরে ফুটপাতে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ
Published: 11th, March 2025 GMT
মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভায় ফুটপাতে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এ ঘটনায় ঘটে। এতে একজন ফল বিক্রেতা আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি পৌরশহরের পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার (ড্রেনেজ লাইন) কাজ শেষ হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মকবুল হোসেন ফুটপাতে দোকান বসানোর চেষ্টা করছিলেন। এ সময় যুবদল কর্মী মনিরুল ইসলাম তাঁর সমর্থক নিয়ে সেখানে হাজির হন এবং কিছু দোকানের ভাগ দাবি করেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। একপর্যায়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। বিএনপির কর্মী ও ফুটপাতের ফল বিক্রেতা আবদুল আলীমকে লাঠিপেটা করা হয়। তাঁকে প্রথমে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাঁকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মকবুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, যুবদল কর্মী মনিরুল ইসলাম ফুটপাতের জায়গা দখল করতে তাঁর কর্মীদের নিয়ে আক্রমণ করেন। সেখানে সাধারণ মানুষ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আবদুল আলীমকে পেটানো হয়।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মকবুল হোসেন তাঁর কর্মীদের নিয়ে ফুটপাত দখল করে দোকান বরাদ্দ দিচ্ছিলেন। সেখানে আগে আমাদের দোকান ছিল। ড্রেনেজ লাইন নির্মাণ হওয়ায় দোকান সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ড্রেনেজ লাইন ঠিক হওয়ার পরে আগের স্থানে দোকান বসাতে চাইলে মকবুল হোসেন লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করেন।’
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানি ইসরাইল বলেন, ঘটনার পর বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মকব ল হ স ন ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেম ছিল না তবু কেন মধুবালাকে বিয়ে করেছিলেন কিশোর কুমার
দিলীপ কুমারের সঙ্গে বিচ্ছেদের কিছুদিন পরই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী মধুবালা। তবে তখন তিনি ছিলেন অসুস্থ। কিশোর কুমার জানিয়েছিলেন, ভালোবাসা থেকে নয়, বরং কথা রাখতেই তিনি এ বিয়ে করেছিলেন।
মধুবালা ও দিলীপ কুমারের প্রেম নিয়ে একসময় মুখর ছিল মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু অভিনেত্রীর বাবার বাধার কারণে সে সম্পর্কে ফাটল ধরে এবং দুজনের বিচ্ছেদ ঘটে। কিছুদিন পরেই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন মধুবালা। তাঁদের এই বিয়ে অনেককে চমকে দিয়েছিল। কারণ, তাঁদের প্রেমের কথা তখনো গোপন ছিল। তবে মধুবালার শরীর তখন ভালো যাচ্ছিল না। বলা হয়, দীর্ঘ রোগভোগের সময় কিশোর কুমার তাঁকে মায়ের বাড়িতে রেখেই চলে যান।
দ্য ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেছিলেন, ‘বিয়ের আগেই জানতাম, ও খুব অসুস্থ। কিন্তু কথা তো দিয়েছিলাম। তাই সে কথা রেখেই ওকে ঘরে এনেছিলাম স্ত্রী হিসেবে। জানতাম, ওর জন্মগত হৃদ্রোগ আছে। তবু ৯ বছর ধরে সেবা করেছি। চোখের সামনেই ওকে মরতে দেখেছি। কেউ বুঝবে না এর যন্ত্রণা, না ভুগলে। ও অসম্ভব সুন্দরী ছিল। আর কত যন্ত্রণায় মারা গেছে, সেটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। হতাশায় চিৎকার করত, কান্নাকাটি করত। এত প্রাণোচ্ছল মানুষ নয়টা বছর বিছানায় শুয়ে থাকবে—এ কল্পনাই করা যায় না। ডাক্তার বলেছিল, ওকে হাসিখুশি রাখতে হবে। আমি তা–ই করেছি—ওর শেষনিশ্বাস পর্যন্ত। কখনো হেসেছি, কখনো কেঁদেছি ওর সঙ্গে।’
তবে কিশোর কুমারের এই বক্তব্য নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। কারণ, পরে ফিল্মফেয়ার সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একেবারে ভিন্ন কথা বলেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেন, ‘মধুবালার সঙ্গে আমি প্রেমে পড়িনি কখনো। বরং ওর প্রেমিক ছিল আমার বন্ধু দিলীপ কুমার। আমি তো শুধু ওদের বার্তা পৌঁছে দিতাম। বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়েছিল মধুবালাই। এমনকি, যখন আমার প্রথম স্ত্রী রুমা তখনো আমার সঙ্গে ছিল, তখনো মধু বলত, “ওকে কখনো ছেড়ো না, না হলে আমি তোমার হয়ে যাব।”’
আরও পড়ুনকিশোর কুমার কি সত্যিই ঘরে কঙ্কাল আর মাথার খুলি নিয়ে ঘুমাতেন২৭ মে ২০২৫মধুবালার পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, চিকিৎসকেরা তখন বলেছিলেন, অভিনেত্রীর পক্ষে শারীরিক সম্পর্ক কিংবা সন্তানধারণ কোনো কিছুই সম্ভব নয়। সেই বাস্তবতা হয়তো প্রভাব ফেলেছিল কিশোরের সিদ্ধান্তে। এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, ‘আমরা বলছি না কিশোরদা ভুল করেছিলেন। ডাক্তার তো স্পষ্ট বলেছিল—শারীরিক সম্পর্ক বা সন্তান কোনোটাই সম্ভব নয়। তবে একজন নারীর তো মানসিক সঙ্গীও দরকার হয়।’
ওই ঘনিষ্ঠজন আরও জানান, কিশোর কুমার তিন মাসে একবার আসতেন মাত্র। বলতেন, ‘আমি এলে তুমি কাঁদবে, আর এতে তোমার হৃদ্যন্ত্রের ক্ষতি হবে। তুমি বিষণ্ন হয়ে পড়বে।’ সে সময় মধু অনেক ছোট ছিলেন, ঈর্ষাও ছিল স্বাভাবিক। হয়তো এ দূরত্বই ধীরে ধীরে তাঁকে শেষ করে দিয়েছিল।
১৯৬৯ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বলিউড অভিনেত্রী মধুবালা