মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভায় ফুটপাতে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এ ঘটনায় ঘটে। এতে একজন ফল বিক্রেতা আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি পৌরশহরের পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার (ড্রেনেজ লাইন) কাজ শেষ হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মকবুল হোসেন ফুটপাতে দোকান বসানোর চেষ্টা করছিলেন। এ সময় যুবদল কর্মী মনিরুল ইসলাম তাঁর সমর্থক নিয়ে সেখানে হাজির হন এবং কিছু দোকানের ভাগ দাবি করেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। একপর্যায়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। বিএনপির কর্মী ও ফুটপাতের ফল বিক্রেতা আবদুল আলীমকে লাঠিপেটা করা হয়। তাঁকে প্রথমে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাঁকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মকবুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, যুবদল কর্মী মনিরুল ইসলাম ফুটপাতের জায়গা দখল করতে তাঁর কর্মীদের নিয়ে আক্রমণ করেন। সেখানে সাধারণ মানুষ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আবদুল আলীমকে পেটানো হয়।

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মকবুল হোসেন তাঁর কর্মীদের নিয়ে ফুটপাত দখল করে দোকান বরাদ্দ দিচ্ছিলেন। সেখানে আগে আমাদের দোকান ছিল। ড্রেনেজ লাইন নির্মাণ হওয়ায় দোকান সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ড্রেনেজ লাইন ঠিক হওয়ার পরে আগের স্থানে দোকান বসাতে চাইলে মকবুল হোসেন লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করেন।’

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানি ইসরাইল বলেন, ঘটনার পর বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মকব ল হ স ন ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকে আশ্রয় দেওয়ায় তাঁতী দলের নেতা বহিষ্কার

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিনকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত মোহাম্মদ সৈকত উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি ছিলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক ইকবাল করিম সোহেল ও সদস্যসচিব মোরশেদ আলমের যৌথ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি মূল্যায়নে ব্যর্থ হওয়ায় হাতিয়া উপজেলা তাঁতী দলের দক্ষিণ কমিটিকে সতর্ক করা হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামে সৈকতের বাড়ি থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে হাতিয়া থানা–পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ সৈকত সম্পর্কে ফুফা–ভাগনে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ সৈকত প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে অনেকগুলো পরিবার থাকে। আমি ব্যবসার কাজে দিনের বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকি। আলাউদ্দিন কখন বাড়িতে এসেছেন, তা আমার জানা নেই। আমাদের ঘর থেকে তাঁর শ্বশুরদের ঘর অনেক দূরে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে।’

নোয়াখালী জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম বলেন, আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকে আত্মগোপনে থাকার সুযোগ করে দেওয়ায় মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের তাঁতী দল কমিটিকেও সতর্ক করা হয়েছে।

আরও পড়ুনহাতিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে থাকা সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার৩১ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ