আড়াইহাজারে গৃহবধুর আত্মহত্যা, পরিবারের দাবি হত্যা
Published: 11th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে রাগে দূঃখে বিষাক্ত ট্যাবলেট ( স্থানীয় ভাষায় কেড়ির বড়ি) খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন ইয়াসমিন (৪০) নামে এক গৃহবধূ।
তিনি উপজেলার উচিৎপুরা ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া এলাকার অটোচালক হারুণ অর রেিশদের স্ত্রী এবং একই উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের তাতুযাকান্দা এলাকার ছাত্তারের মেয়ে।
মঙ্গলবার সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এরআগে সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরিবাররে দাবি ইয়াসমিনকে কৌশলে বিষপান করে হত্যা করেছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে।
জানা গেছে, নিহেতর স্বামী হারুণ অর রশিদ জনৈক প্রবাসী মেয়ের সঙ্গে পরকিয়ায় আসক্ত। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে তিনি প্রায় সময় স্ত্রী ইয়াসমিনকে মারধর করতেন। ঘটনার দিন রাতে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে স্বামী হারুণ অর রশিদ ইয়াসমিনকে মারপিট করেন।
এতে রাগে দূঃখে ইয়াসমিন প্রথমে পাশের বাড়ির মাবিয়ার ঘরে বসে কিছুক্ষণ কান্নাকাটি করেন। পরে নিজ ঘরে গিয়ে বিষাক্ত ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইয়াসমিনের নাকে মুখে রক্তের দাগ রয়েছে।
নিহতের চাচা নাসির উদ্দিন জানান, ইয়াসমিনের স্বামী প্রায় যৌতুক দাবি করতো। যৌতুকের টাকা না দিলে আমার ভাতিজীকে মারপিট করতো। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই। আমরা থানায় একটি অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা রিসিভ করেনি।
আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে ঘটনাটি আত্মহত্যা ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: পরক য় ন র য়ণগঞ জ গ হবধ
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।