শাস্তি পেতে যাচ্ছেন ঢাবির শতাধিক নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা
Published: 13th, March 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) গত বছর ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত বেআইনি ও সহিংস ঘটনায় গঠিত সত্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রতিবেদন উঠে আসা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী শান্তির মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে উপাচার্যের অফিস সংলগ্ন সভা কক্ষে সত্যানুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক সুপণ প্রতিবেদনটি উপাচার্য অধ্যাপক ড.
এ সময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ এবং সত্যানুসন্ধান কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে প্রথমবারের মতো ঢাবির ৯ বিভাগ
প্রলয় গ্যাং সদস্যের হাতে নির্যাতিত শিক্ষার্থীই পাল্টা মামলার আসামি
সত্যানুসন্ধান কমিটি ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় ঢাবির দেড় শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী জড়িত রয়েছে। প্রথমে এসব শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হবে। পরবর্তীতে তাদের আত্মসমর্পনের সুযোগ দিয়ে কিংবা নতুন কমিটি করে অভিযুক্তদের চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করা হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, আগামী রবিবার (১৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা রয়েছে। সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সত্যানুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক কাজী মাহফুজুল হক সুপণ বলেন, “বিভিন্ন দেশি এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের ফুটেজ, ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে থাকা ফুটেজ এবং সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফুটেজ ও তথ্য নিয়ে চিহ্নিত করার কাজ করেছি।”
তিনি বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য ছিল জুলাই অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় অংশ নেওয়া জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রশাসনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া। এখানে অভিযোগ এসেছিল প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব