২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা
Published: 15th, March 2025 GMT
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ। এছাড়া প্রথমবারের মতো গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) কমিটি দিয়েছে সংগঠনটি।
শুক্রবার (১৩ মার্চ) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাসির স্বাক্ষরিত পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ আংশিক কমিটি দুইটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রাহাত জামানকে সভাপতি এবং পরিসংখ্যান বিভাগের নাঈম সরকারকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ছাত্রদল কর্মীদের বিরুদ্ধে চবি শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ
‘ওসিকে বলেন আসতে, আমি ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট’
কমিটির অন্যান্য পদে রয়েছেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো.
এছাড়া সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাজমুস সাকিব, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মারুফ বিল্লাহ, মো. জহিরুল ইসলাম, মো. রাহাত হোসেন, আফফান, মিঠু সরকার, মো. মোস্তাকিন ইসলাম, মো. জুনায়েদ হাসান, মো. আল আমিন, ফাহাদ খান, মোহাম্মদ সোহানুর রহমান, মো. আরফান উদ্দীন, মো. জুলফিকার রহমান, মো. জাবির, হারুন অর রশিদ রাসেল, তাজুল ইসলাম, খলিলুর রহমান চাঁদ ও মোহাম্মদ আশিককে মনোনীত করা হয়েছে।
সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন- আবদুল্লাহ আল মামুন, কামরুল হাসান, নূর আলম রাজিব, জামিল সাজ্জাদ, আবু আফসার মোজাম্মেল, মোহাম্মদ মাসউদ হোসেন শিপন, এস এম সাখাওয়াত শাকিব নিলয়, সোহান শাহ, মো. মেহেদী হাসান, মো. শরীফ মিয়া, মোস্তাক আহমেদ ও মো. মোবিন সিদ্দিক।
সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন- আদনান আহমেদ মোহন এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন- নাছিমুল হুদা খুররম, শেফায়তুল ইসলাম, ফাহিম আবিদ সৌমিক, রাকিব মিয়া, মো. মাহফুজ মিয়া, আবুল হাসানাত, কাজী তানভির রহমান, হৃদয় হাসান, আল মামুন ও মারুফ সাকলিন।
কমিটিতে আরো আছেন, দফতর সম্পাদক শামসুজ্জামান প্রিন্স, সহ-দফতর সম্পাদক মো. তারেক রহমান (রাজশাহী), প্রচার সম্পাদক মো. মকবুল হোসেন, সহ-প্রচার সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক রিমকাতুল রাশেদ অথৈ, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. হৃদয় মিয়া, সহ-সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক অন্তর উদ্দীন, সমাজসেবা সম্পাদক মোস্তফা আহমেদ, সহ-সমাজসেবা সম্পাদক আশিকুর রহমান মারুফ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন খান, অর্থ সম্পাদক তারেক রহমান (ফেনী), সহ-অর্থ সম্পাদক মো. কাফি কাওসার, নাট্য বিষয়ক সম্পাদক মো. খালিদ হাসান কনক, ক্রীড়া সম্পাদক ইফতেখার হোসেন সাকিব, মানবাধিকার সম্পাদক আছিফ মাহবুব ওহী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত হোসেন অপি, যোগাযোগ সম্পাদক মো. হাছিবুর রহমান, আইন সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. ইব্রাহিম খলিল নিয়ন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মুনতাসির মামুন শুভ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন এবং পাঠাগার সম্পাদক এস এম জিয়াদ জুবাইরী।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, পূর্বে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) ছাত্রদলের কোনো কার্যক্রম ছিল না। গত বছর ৫ আগস্টের পর অনেকেই ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। সংগঠনটির কার্যক্রমকে আরো গতিশীল কারতে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
কমিটিতে সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি হিসেবে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী দুর্জয় শুভ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-২৭ বিভাগের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম বিদ্যুৎ নির্বাচিত হয়েছেন।
৫৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে একজন সিনিয়র সহ-সভাপতি সহ ১৯ জন সহ-সভাপতি, একজন সিনিয়র যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক, ২৫ জন যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন দপ্তর সম্পাদক ও একজন সহ-দপ্তর সম্পাদক এবং একজন প্রচার সম্পাদক ও একজন সহ- প্রচার সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটির অনুমোদন দিয়ে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
নবনির্বাচিত সভাপতি দুর্জয় শুভ বলেন, “শিক্ষার্থীদের অধিকার ও চাওয়া-পাওয়াগুলো নিয়ে কাজ করতে চাই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে আপনাদের ভাই হয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে চাই। সবার কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চাই।”
কমিটি গঠনের জন্য গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৪৫ জন সদস্য ভোট দেন।
ঢাকা/ইকবাল/রিশাদ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল র র রহম ন ল ইসল ম একজন স কম ট ত ব প রব আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
পেহেলগামে হামলার পর প্রতিশোধের আশঙ্কায় দিন কাটছে ভারতীয় মুসলিমদের
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সম্প্রতি সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার পর মুসলিমদের ব্যাপকভাবে ধরপাকড় ও তাঁদের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে। মানবাধিকারকর্মীদের আশঙ্কা, উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা পেহেলগামের হামলাকে ব্যবহার করে দেশের বৃহত্তম সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ওপর দমন–পীড়ন আরও বৃদ্ধি করছে।
কাশ্মীরের পেহেলগাম শহরের কাছে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছিলেন, যাঁদের মধ্যে একজন বাদে বাকি প্রায় সবাই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। পর্যটক হিসেবে তাঁরা ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে পেহেলগামে গিয়েছিলেন। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে, যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ জোরালোভাবে নাকচ করে দিয়েছে।
পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার জবাবে ভারত সামরিকভাবে পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করে তাদের ঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হবে। পাকিস্তান সরকারের একজন মন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁরা বিশ্বাস করেন ভারত শিগগিরই সামরিক হামলা চালাতে পারে।
এই মুহূর্তে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার মূলত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে। যেমন আন্তসীমান্ত নদীগুলোর পানিপ্রবাহ বন্ধের হুমকি দিচ্ছে। একই সঙ্গে বিজেপি সরকার ও উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মুসলিমদের হয়রানি করছে। তারা এটিকে ‘অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান’ বলে দাবি করছে।
মোদির বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোতে কর্তৃপক্ষ এই সুযোগে ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ এবং ‘রোহিঙ্গাদের’ বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। রোহিঙ্গারা মূলত মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছেন। ‘পাকিস্তানি’ বা ‘বাংলাদেশি’ তকমা অনেক সময়েই হিন্দুত্ববাদীরা ভারতের অভ্যন্তরীণ মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে থাকে।
উত্তর প্রদেশ ও কর্ণাটক—এই দুই রাজ্যে মুসলিমদের হত্যার খবর পাওয়া গেছে। গণমাধ্যমের খবরে সেগুলোকে বিদ্বেষমূলক অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী কাশ্মীরে ইতিমধ্যেই শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে যাঁদের সন্দেহ করা হচ্ছে, তাঁদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এক সরকারি কর্মকর্তার মতে, প্রায় দুই হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছে, যা অনেকটা সমষ্টিগত শাস্তির মতো।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি