শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ। এছাড়া প্রথমবারের মতো গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) কমিটি দিয়েছে সংগঠনটি।

শুক্রবার (১৩ মার্চ) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাসির স্বাক্ষরিত পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ আংশিক কমিটি দুইটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রাহাত জামানকে সভাপতি এবং পরিসংখ্যান বিভাগের নাঈম সরকারকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ছাত্রদল কর্মীদের বিরুদ্ধে চবি শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ

‘ওসিকে বলেন আসতে, আমি ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট’

কমিটির অন্যান্য পদে রয়েছেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো.

সোহাগ, সহ-সভাপতি সৈয়দ উসামা ইব্রাহীম, মো. জসিম উদ্দিন লস্কর, শাহ পরান, মো. মাহির আসিফ, আল সোয়াইবি, মো. সাঈদ আল নাঈম, মার্জিয়া সুলতানা পিংকি, শরিফ আহমেদ, মো. আহাদ রহমান, মো. ইমন হোসেন এলিম।

এছাড়া সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাজমুস সাকিব, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মারুফ বিল্লাহ, মো. জহিরুল ইসলাম, মো. রাহাত হোসেন, আফফান, মিঠু সরকার, মো. মোস্তাকিন ইসলাম, মো. জুনায়েদ হাসান, মো. আল আমিন, ফাহাদ খান, মোহাম্মদ সোহানুর রহমান, মো. আরফান উদ্দীন, মো. জুলফিকার রহমান, মো. জাবির, হারুন অর রশিদ রাসেল, তাজুল ইসলাম, খলিলুর রহমান চাঁদ ও মোহাম্মদ আশিককে মনোনীত করা হয়েছে।

সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন- আবদুল্লাহ আল মামুন, কামরুল হাসান, নূর আলম রাজিব, জামিল সাজ্জাদ, আবু আফসার মোজাম্মেল, মোহাম্মদ মাসউদ হোসেন শিপন, এস এম সাখাওয়াত শাকিব নিলয়, সোহান শাহ, মো. মেহেদী হাসান, মো. শরীফ মিয়া, মোস্তাক আহমেদ ও মো. মোবিন সিদ্দিক।

সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন- আদনান আহমেদ মোহন এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন- নাছিমুল হুদা খুররম, শেফায়তুল ইসলাম, ফাহিম আবিদ সৌমিক, রাকিব মিয়া, মো. মাহফুজ মিয়া, আবুল হাসানাত, কাজী তানভির রহমান, হৃদয় হাসান, আল মামুন ও মারুফ সাকলিন।

কমিটিতে আরো আছেন, দফতর সম্পাদক শামসুজ্জামান প্রিন্স, সহ-দফতর সম্পাদক মো. তারেক রহমান (রাজশাহী), প্রচার সম্পাদক মো. মকবুল হোসেন, সহ-প্রচার সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক রিমকাতুল রাশেদ অথৈ, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. হৃদয় মিয়া, সহ-সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক অন্তর উদ্দীন, সমাজসেবা সম্পাদক মোস্তফা আহমেদ, সহ-সমাজসেবা সম্পাদক আশিকুর রহমান মারুফ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন খান, অর্থ সম্পাদক তারেক রহমান (ফেনী), সহ-অর্থ সম্পাদক মো. কাফি কাওসার, নাট্য বিষয়ক সম্পাদক মো. খালিদ হাসান কনক, ক্রীড়া সম্পাদক ইফতেখার হোসেন সাকিব, মানবাধিকার সম্পাদক আছিফ মাহবুব ওহী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত হোসেন অপি, যোগাযোগ সম্পাদক মো. হাছিবুর রহমান, আইন সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. ইব্রাহিম খলিল নিয়ন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মুনতাসির মামুন শুভ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন এবং পাঠাগার সম্পাদক এস এম জিয়াদ জুবাইরী।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, পূর্বে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) ছাত্রদলের কোনো কার্যক্রম ছিল না। গত বছর ৫ আগস্টের পর অনেকেই ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। সংগঠনটির কার্যক্রমকে আরো গতিশীল কারতে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

কমিটিতে সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি হিসেবে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী দুর্জয় শুভ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-২৭ বিভাগের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম বিদ্যুৎ নির্বাচিত হয়েছেন।

৫৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে একজন সিনিয়র সহ-সভাপতি সহ ১৯ জন সহ-সভাপতি, একজন সিনিয়র যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক, ২৫ জন যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন দপ্তর সম্পাদক ও একজন সহ-দপ্তর সম্পাদক এবং একজন প্রচার সম্পাদক ও একজন সহ- প্রচার সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটির অনুমোদন দিয়ে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ  করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।

নবনির্বাচিত সভাপতি দুর্জয় শুভ বলেন, “শিক্ষার্থীদের অধিকার ও চাওয়া-পাওয়াগুলো নিয়ে কাজ করতে চাই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে আপনাদের ভাই হয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে চাই। সবার কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চাই।”

কমিটি গঠনের জন্য গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৪৫ জন সদস্য ভোট দেন।

ঢাকা/ইকবাল/রিশাদ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল র র রহম ন ল ইসল ম একজন স কম ট ত ব প রব আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতার সুযোগে প্রপাগান্ডার সয়লাব

১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবস। ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন তৎকালিন বাকশাল সরকার চারটি পত্রিকা সরকারি ব্যবস্থাপনায় রেখে সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়। এতে হাজারো সাংবাদিক রাতারাতি বেকার হয়ে দুঃসহ জীবনে পতিত হন। জনগন সঠিক তথ্য ও বস্তুনিষ্ঠ খবর জানা থেকে বঞ্চিত হয়। গোটা দেশে যেন অন্ধকার নেমে আসে। জবরদস্তিমূলকভাবে তখন সাংবাদিক ও অন্যান্য পেশাজীবীদেরকে  বাকশালে যোগদানে বাধ্য করা হয়। 
অনেক সাংবাদিক সেদিন জীবন-জীবিকার ভয়ে বাকশালের ফরম পূরণ করেন। তাই সংবাদমাধ্যম ও বাক-স্বাধীনতা হরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত। আজ দিবস আর কালো নেই। তথ্য প্রবাহের যুগে এখন মন খূলে লেখা যায়, প্রচার করা যায়। বিশেষ করে গেলো বছরের ৫ আগষ্টে ফ্যাসিবাদের পতনের পর গনমাধ্যমে অনেকটা স্বাধীনতা বেড়েছে। গণভবনের তেল তেলা তোষামদি প্রশ্ন এখন আর চলে না। বলা চলে গণমাধ্যম বিগত ১৬ বছরের চাইতে এখন বেশি স্বাধীনতা ভোগ করছে। তবে একটা প্রশ্ন রয়েই গেছে তা হলো পেশাদার কিছু সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে । এসব মামলা বেশির ভাগই আক্রোশের কারনে হয়েছে। বাদীকে না জানিয়ে একটা মহল মামলায় সাংবাদিকের নাম ঢুকিয়ে দিয়েছে। এটা নিন্দনীয়। একজন সাংবাদিক মানুষ খুনের মামলার আসামী এটা মেনে নেয়া  দুস্কর । 
৫ আগষ্টে আগে যারা তোষামদি করতো , সঠিক সংবাদ লিখতে কিংবা প্রচার করতো পারতো না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দোহাই দিয়ে যারা গনমাধ্যমের কন্ঠ রোধ করে রেখেছিল তাদের ভয়ে আতংকে থাকতো। তাদের অনেকে এখন গনমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতার সুযোগে মিথ্যা প্রপ্রাগান্ডা চড়াচ্ছে। গনহত্যাার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি একটা দলের প্রতি বিশেষ দরদ দেখিয়ে মিথ্যা তথ্য চড়াচ্ছে। অনেকে তাদের ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। যাচাই বাছাই ছাড়া  মিথ্যা তথ্য শেয়ার করছে। তাদের এখনই থামা দরকার। সত্য প্রকাশ করা একজন সাংবাদিকের পেশাগত দায়িত্ব । এ পেশাগত দায়িত্বের কেউ অপব্যবহার করলে মুলত তিনিই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। একসময় তার মিথ্যা সংবাদ পরিবেশের কারনে কেউ তার পাশে আর থাকবেন না। তাকে পেশাদার সাংবাদিক নয়, একজন দালাল হিসেবে চিহ্নিত  হয়ে  আস্তুাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন। 
পেছনের কথায় ফিরে  আসি, ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন সংবাদ পত্রের কালো দিবস পেরিয়ে  ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি জনতার অভাবনীয় বিপ্লবের মধ্য দিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার পর সাংবাদিকদের লেখার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অবারিত করেন।
জিয়াউর রহমান দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমে সংবাদপত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক সব কালাকানুন শিথিল করে দেশের সব জায়গা থেকে সংবাদপত্র প্রকাশে উৎসাহ প্রদান করেন। শুধু তাই নয়, প্রকাশিত সংবাদপত্র টিকিয়ে রাখা সরকারেরই দায়িত্ব বলেই তিনি মনে করতেন। তিনি রাজশাহী থেকে ‘দৈনিক বার্তা’ নামে একটি প্রথম শ্রেণীর পত্রিকা প্রকাশের ব্যবস্থা করেন। এ পত্রিকা ঘিরে সমগ্র উত্তরাঞ্চলে তথ্যপ্রবাহের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটে। বহু সাংবাদিকের কর্মসংস্থান হয়।ডিক্লারেশনের শর্ত শিথিল করার কারণে সে সময় ঢাকা থেকে শুরু করে বিভাগীয়, জেলা এমনকি থানা পর্যায় থেকে দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক পত্রিকা প্রকাশ হতে থাকে। এসব পত্রিকা টিকিয়ে রাখতে জিয়াউর রহমান সরকারি বিজ্ঞাপন বণ্টননীতিও শিথিল করেন। বিভিন্ন সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন বণ্টন ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণমুক্ত করেন। একই সঙ্গে সরকারি বিজ্ঞাপনের ৬০ ভাগ ঢাকা থেকে প্রকাশিত পত্রিকায় এবং বাকি ৪০ ভাগ মফস্বল থেকে প্রকাশিত পত্রিকায় বণ্টনের ব্যবস্থা করেন। এর ফলে সারা দেশে সংবাদপত্র প্রকাশনায় নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। 
শেখ মুজিবের মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই  প্রথম টার্গেট করে সংবাদমাধ্যমকে। সর্বশেষ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেও একই পথে হাঁটে দলটি। গত প্রায় ১৫ বছরে আমার দেশ, দিনকাল, চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, সিএসবিসহ জনপ্রিয় সংবাদপত্র, বেসরকারি টেলিভিশন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে কয়েক হাজার সাংবাদিককে বেকারত্বের মুখে ঠেলে দিয়েছিল । ৬০ জন সাংবাদিক খুন হয়েছে। একের পর এক কালাকানুন করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে। কথায় সাংবাদিক গ্রেফতার তখন নিত্যকার ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সাংবাদিক পরিচয়ে একদল চাটুকার আওয়ামীলীগের দু:শাসনের মদদ দিয়ে জাতির উপর জুলুমের মাত্রা আরো বাড়িয়েছিল। ছাত্রজনতার বিপ্লবে ফ্যাসিবাদের ভয়াবহ পতনে মানুষ যেমন স্বস্তি ফিরে পেয়েছে তেমনি গণমাধ্যম ফিরেছে অবাধ স্বাধীনতায়। 

লেখক : সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খামেনিকে হত্যায় ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দেন ট্রাম্প
  • সাংবাদিক পরিচয়ে গেস্ট হাউসের কক্ষে কক্ষে তল্লাশি, দম্পতির কাছে বিয়ের প্রমাণ দাবি
  • প্রথমবার ঢাকায় জাতিসংঘের গুমবিষয়ক কমিটি
  • ডেঙ্গু-করোনায় দুই মৃত্যু, আক্রান্ত ২৭৫ জন
  • প্রথমবারের মতো ঢাকায় আসার সুযোগ পেল জাতিসংঘের গুমবিষয়ক কমিটি
  • চলতি মাসের ১৫ দিনে করোনায় ৪ জনের মৃত্যু
  • গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতার সুযোগে প্রপাগান্ডার সয়লাব
  • প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে কতো টাকা পেলো দ. আফ্রিকা?
  • প্রবাসীর ভবন উদ্ধোধন করতে এলেন সৌদি নাগরিক
  • প্রথমবার বিগ ব্যাশে বাবর আজম