জার্মানির সামরিক বাহিনীতে সেনা–সংকট
Published: 15th, March 2025 GMT
সামরিক বাহিনীর প্রসার চায় জার্মানি সরকার, তা সত্ত্বেও বুন্ডেসভেয়ারে তীব্র সেনা–সংকট চলছে। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন বলছে, বুন্ডেসভেয়ারে অনেক পদ এখনো শূন্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ জার্মানির সামরিক বাহিনীর নিচের র্যাঙ্কগুলোর মধ্যে ২৮ শতাংশ পদ খালি রয়েছে। বছর শেষে পদোন্নতি দেওয়ার সময় ২০ শতাংশের মতো পদ শূন্য থেকে যাচ্ছে।
তবে ওপরের দিকের র্যাঙ্কগুলো তুলনামূলক ভালো অবস্থানে রয়েছে। পরিস্থিতির উন্নয়নে প্রতিরক্ষা কমিশনার এফা হ্যোগল একটা নতুন পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
বর্তমানে জার্মানির সশস্ত্র বাহিনীতে ১ লাখ ৮১ হাজার সৈন্য রয়েছে।
দায়িত্বশীল অনেকেই ২০১১ সালে স্থগিত হওয়া পুরুষদের জন্য বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ পুনরায় শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন; কিন্তু কমিশনার এফা হ্যোগল মনে করছেন, শুধু এই ব্যবস্থার পুনর্বহালই যথেষ্ট নয়।
বার্লিনে হ্যোগল তাঁর প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় সাংবাদিকদের বলেন, বুন্ডেসভেয়ারের পক্ষে এ মুহূর্তে এটি পরিচালনা করা একটু বেশি বেশিই হবে৷ এ ধরনের প্রশিক্ষণ পরিচালনা করার মতো পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা ও প্রশিক্ষক বর্তমানে নেই।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় আক্রমণ শুরুর পর থেকে জার্মানি বড় আকারের পুনঃসশস্ত্রীকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে জার্মানির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনে বার্লিনের প্রতিরক্ষানীতিতে পরিবর্তন আরও জরুরি হয়ে উঠেছে।
রক্ষণশীল সিডিইউ/সিএসইউ জোট ও বামপন্থি এসপিডি জার্মানির পরবর্তী সরকার গঠন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ মুহূর্তে তারা দেশটির অর্থনৈতিক সংস্কারের দিকে গুরুত্ব দেওয়ার পাশপাশি পরিকাঠামো ও প্রতিরক্ষার দিকটিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে
জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।
আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।
তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল