গাজীপুরে টেন্ডার নিয়ে বিএনপির দু’ পক্ষে হাতাহাতি
Published: 17th, March 2025 GMT
গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভার টেন্ডার নিয়ে সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে বিএনপির দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। এতে অন্তত চারজন আহত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, কালিয়াকৈর পৌরসভার হাটবাজার ইজারা দেওয়ার টেন্ডার আহ্বান করে পৌর কর্তৃপক্ষ। কালিয়াকৈর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামীম আল-মামুনের নেতৃত্বে বিএনপির বেশ কিছু নেতাকর্মী টেন্ডার ফেলতে যান। একই সময়ে কালিয়াকৈর পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাৎ হোসেন একটি টেন্ডার জমা দিতে পৌর কার্যালয়ে যান। এ সময়ে শামীম আল-মামুন ও তার লোকজন শাহাদাৎ হোসেনের উপর চড়াও হয়। তখন শাহাদাৎ ট্রেন্ডার ফেলার জন্য আসেননি বললেও তারা তার কোনো কথা না শুনে মারধর করেন। তাকে রক্ষা করতে লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরও মারধর করা হয়। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত চারজন অহত হয়েছে। আহতরা স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
কালিয়াকৈর পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাৎ হোসেন জানান, শামীম আল-মামুন তার লোকজন নিয়ে টেন্ডার দিতে বাধা দেয়। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপির নাম করে কেউ টেন্ডারবাজি করতে পারবে না। কিন্তু তিনি দলের সিন্ধান্তের বাহিরে কাজ করেছেন। তার বিরুদ্ধে দলীয় শাস্তি দাবি করেন তিনি।
শামীম আল-মামুন বলেন, ‘‘আমি টেন্ডার কিনি না। টেন্ডার ব্যবসাও করিনি। তিনি আমার নেতাকে (বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ূন কবীর খান) নিয়ে বাজে কথা বলেছেন। সেজন্য তাকে ধরে আমার নেতার কাছে নিয়ে যাচ্ছিলাম। কাউকে মারধর করা হয়নি।’’
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ বলেন, দুইপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। তবে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কালিয়াকৈর পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহমেদ জানান, কার্যালয়ের নিচে হাতাহাতি হয়েছে। এটা টেন্ডার নিয়ে নাকি ব্যক্তিগত রেশারেশি তা তার জানা নেই। তবে সুষ্ঠুভাবে টেন্ডারের ড্রপিং ও ওপেনিং কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
ঢাকা/রেজাউল/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ম ম আল ম ম ন ক র প রসভ র ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।
উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।
এএএম//