নিউইয়র্কে শুরু হচ্ছে চতুর্থ রেমিট্যান্স ফেয়ার
Published: 17th, March 2025 GMT
নিউইয়র্কে আগামী ১৯ ও ২০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী চতুর্থ রেমিট্যান্স ফেয়ার। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি আগামী ১৮ এপ্রিল নিউইয়র্ক পৌঁছাবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
বাংলাদেশ-ইউএসএ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিইউসিসিআই) এবং ইউএসএ-বাংলা বিজনিস লিংক যৌথভাবে এ মেলার আয়োজক। আর সহযোগী হিসেবে থাকছে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ব্যাংকস এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টি।
এবারের মেলা নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশিদের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত জ্যাকসন হাইটের সানাই রেস্তোরাঁ ও পার্টি হলে অনুষ্ঠিত হবে। রেমিট্যান্স ফেয়ারের এবারের প্রতিপাদ্য- বৈধ রেমিট্যান্স, উন্নত বাংলাদেশ।
এবারের মেলায় গতবারের মতোই অংশগ্রহণ করবেন সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিং, অ্যাপ ডেভলোপার, মানি একচেঞ্জ ও বিভিন্ন চ্যানেল পার্টনার। মেলায় এসব প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবার প্রদর্শনীর পাশাপাশি এ নিয়ে বিভিন্ন সেমিনাল সিম্ফজিয়াম, কিউ অ্যান্ড এ সেশন এবং নেটওয়ার্কিং ডিনার অনুষ্ঠিত হবে। মেলা আয়োজক কমিটি রেমিট্যান্স ফেয়ার এবং অফশোর ব্যাংকিং নিয়ে একটি বিশেষ প্রকাশনাও রাখছে। যেখানে লিখছেন খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ, অধ্যাপক, ব্যাংকার।
মেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন- ডেপুটি গভর্নর ড.
এছাড়া বাংলাদেশ এবং আমেরিকার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনেক স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ মেলায় উপস্থিত থাকবেন।
মেলায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্টলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ থাকবে। এর বাইরে নানারকম সেমিনার-সিম্ফোজিয়ামের আয়োজন থাকছে। এছাড়া নেটওয়ার্কিং সেশনে অংশ নেবেন নিউ ইয়র্ক ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট এবং প্রধান প্রধান মানি একচেঞ্জ কোম্পানিসমূহ। যার মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন এবং রেমিট্যান্স খাতের সর্বশেষ উদ্ভাবনগুলো এখানে প্রদর্শিত হবে।
রেমিট্যান্স নিয়ে এ মেলায় অংশ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মানি ট্রান্সফার অপারেটর, রেমিট্যান্স চ্যানেল পার্টনার, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস, অফশোর ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী, মানি ট্রান্সফার এবং রেমিট্যান্স অ্যাপ, প্রবাসী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা। তার সঙ্গে দর্শনার্থী হিসেবে পরিদর্শন করবেন রেমিট্যান্স প্রেরণকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি প্রবাসী, পেশাজীবী সম্প্রদায় ও সাংস্কৃতিক সংস্থার সদস্য, প্রবাসী ফোরাম ও সমিতির সদস্য, প্রবাসী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী প্রমুখ।
রেমিট্যান্স সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহিত করতে গত বছরের মতো এবারও সেসব প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হবে। এর মধ্যে- সেরা ১০ জন বাংলাদেশি-আমেরিকান রেমিট্যান্স প্রেরক, বাংলাদেশের শীর্ষ ৩ রেমিট্যান্স রিসিভার ব্যাংক, শীর্ষ ৩ মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি বা রেমিট্যান্স চ্যানেল পার্টনারকে পুরস্কৃত করা হবে।
১৯-২০ এপ্রিল শনি ও রোববার প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। আর দর্শনার্থীরা মেলা পরিদর্শন করতে পারবেন বিনা টিকিটে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন উইয র ক ক প এলস র চ য র রহম ন প রব স অন ষ ঠ ব যবস করব ন
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলের আগ্রাসনের নিন্দা জানাল ঢাকাস্থ ইরান দূতাবাস
ইসরায়েলের হামলার ও ক্ষমতার অপব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ঢাকায় অবস্থিত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের দূতাবাস।
সোমবার (১৬ জুন) এক বিবৃতিতে দূতাবাস জানিয়েছে, নিরীহ নারী ও শিশুদের শহীদ করার মতো অমানবিক ঘটনার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা জরুরি।
ইরানি দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই আগ্রাসন জাতিসংঘের সনদের দুই নম্বর ও চার নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছে। বিশেষ করে এটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের জাতীয় সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক আগ্রাসনের শামিল।
আরো পড়ুন:
প্যারিস এয়ার শো-তে ইসরায়েলি অস্ত্র নির্মাতারা নিষিদ্ধ
বিশ্লেষণ: ইসরায়েলিরা এখন বুঝতে পারছে ফিলিস্তিনি ও লেবানিজরা কী ভোগ করছে
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, জাতিসংঘ সনদের ৫১ নম্বর অনুচ্ছেদের আলোকে ইরানের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে।
দূতাবাসের বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, জাতিসংঘ, ইসলামি দেশগুলো এবং নিরপেক্ষ আন্দোলনরত রাষ্ট্রগুলোকে দ্রুত ও কার্যকর প্রতিক্রিয়া জানানোর আহ্বান জানানো হয়। তারা বলেন, এই আগ্রাসন শুধু ইরানের সার্বভৌমত্ব নয়, বরং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার বিরুদ্ধে একটি গুরুতর হুমকি।
শেষে ইরানি দূতাবাস স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে, এই আগ্রাসনের ভয়াবহ পরিণতির পূর্ণ দায় জায়োনবাদী শাসকদেরই বহন করতে হবে।
ঢাকা/হাসান/সাইফ