সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্রের ৩০ একর খাসজমি উদ্ধার
Published: 18th, March 2025 GMT
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর এলাকায় দীর্ঘদিন দখলে থাকা সরকারি প্রায় ৩০ একর খাসজমি উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে এসব জমি দখলমুক্ত করে।
বেলা ৩টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় ১০ নম্বর এলাকার পর্যটন করপোরেশন অধীনে থাকা সরকারি জমি দখল করে গড়ে উঠা স্থাপনা ও শতাধিক স্টোন ক্রাশার মেশিন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালীদের আধিপত্যে গড়ে উঠা চক্র দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছেন সাদা পাথর এলকার কয়েকশ একর জমি। গড়ে তুলেছেন পাথর ভাঙার কল। এ কারণে তাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। অনেকেই নানা রোগে ভুগছে ক্রাশারের ধুলা বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
এলাকাবাসী জানান, স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন মহলে একাধিকবার অভিযোগ জানানোর পরও এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
পাথর ভাঙার কলের কারণে তাদের এলাকার পরিবেশ অনেকটা নষ্ট হয়ে গেছে। প্রভাবশালীদের দখলে থাকা এসব খাস জমি সরকার বা সাধারণের কোনো কাজে আসেনি। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পালা করে তারাই নিজেদের দখলে রেখেছে। এমনকি পাথর ভাঙার কাজে মানা হয়নি কোনো নিয়মনীতি। এখানকার শিক্ষার্থীরাও বিপাকে আছেন। এলাকার লোকজন দীর্ঘদিন ধরে এর বিরুদ্ধে থেকেও কোনো লাভ হয়নি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন নাহার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আবুল হাসনাতের নেতৃত্বে অভিযানে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা অংশ নেন। অভিযানে সরকারি জমি দখল করে গড়ে উঠা শতাধিক
স্টোন ক্রাশার মেশিন এবং অর্ধশত স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন নাহার বলেন, সরকারি জমি দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা ও স্টোন ক্রাশার মেশিন উচ্ছেদ করা হয়েছে। অতীতে এ ধরনের অভিযান হয়নি। এবার সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখানে আর কাউকে দখলদারী করতে দেওয়া হবে না।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সুমামগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক নিহত
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় জমি নিয়ে পুরানো বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নজরুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন জালাল হোসেন নামে একজন। তাকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন চিকিৎসক।
রবিবার (১৫ জুন) সকালে উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের জামলাবাজ গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। শান্তিগঞ্জ থানার ওসি আকরাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত নজরুল ইসলাম জামলাবাজ গ্রামের কান্দারহাটি গ্রামের হাশিম উল্লাহর ছেলে।
আরো পড়ুন:
দৃষ্টিহীন বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নজরুল ইসলামের সঙ্গে প্রতিবেশী মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে তাজ উদ্দিনের বাড়ির জায়গা নিয়ে বিরোধী চলছিল। ১০ দিন আগে নজরুল ইসলামের ঘরের পাশে তাজ উদ্দিন গর্ত খুঁড়ে বালু ভর্তি বস্তা ফেলেন।
নজরুল ইসলামের মা আফতাজা বিবি বাধা দিয়ে জানান, এখানে বালুর বস্তা দিলে তাদের ঘরে পানি ঢুকবে। এ কথার জেরে আফতাজা বিবিকে মারধর করেন তাজ উদ্দিন।
এ ঘটনার পর আফতাজা বিবি গ্রামবাসীর কাছে বিচার দাবি করেন। এরপর থেকে তাজ উদ্দিন একাধিকবার বাড়িতে এসে মারধরের জন্য নজরুল ইসলামকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু আফতাজা বিবি ছেলেকে ঘর থেকে বের হতে দেননি।
আজ রবিবার সকাল ফের তাজ উদ্দিন নজরুল ইসলামের বাড়িতে যান এবং ডাকাডাকি শুরু করেন। ঘর থেকে বের হলেই নজরুল ইসলাম ও জালাল হোসেনের ওপর হামলা করেন তিনি। এতে নজরুল ইসলাম ও জালাল হোসেন গুরুত্বর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক নজরুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। জালাল হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক।
শান্তিগঞ্জ থানার ওসি আকরাম হোসেন জানান, নিহত নজরুল ইসলামের সঙ্গে অভিযুক্ত তাজ উদ্দিনের পূর্ব বিরোধ ছিল। আজ সকালে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়। এসময় দুইজন আহত হন। তাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন।
ঢাকা/মনোয়ার/মাসুদ