ক্রীড়াঙ্গনে সংস্কারের অংশ হিসেবে গত ১৫ নভেম্বর ৯ ফেডারেশনে অ্যাডহক কমিটি গঠন করেছিল সরকার। দ্বিতীয় ধাপে ২৮ জানুয়ারি সাঁতার, ভলিবলসহ আরও ৭ ফেডারেশনে অ্যাডহক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এর ৫০ দিন পর আজ আরও ৫ ফেডারেশনে অ্যাডহক কমিটি করা হয়েছে। আর তাতে আসাদুজ্জামান কোহিনূর, মৌসুম আলীদের মতো পুরোনো সংগঠকদেরও চেয়ার ছাড়তে হয়েছে।

দীর্ঘ ১৮ বছর বাংলাদেশ রাগবি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মৌসুম আলী। তাঁর হাত ধরেই ২০০৪ সালে দেশে রাগবির পথচলা শুরু হয়। ২০০৬ সালে এই ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পান খন্দকার জামিল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হন মৌসুম আলী। আজ সেই কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। যেখানে সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন আবদুল্লাহ আল জহির। সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে আখতার জামানকে।

হ্যান্ডবলের ঘোষিত ১৯ সদস্যের অ্যাডহক কমিটিতে নেই দীর্ঘ ৩৩ বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা আসাদুজ্জামান কোহিনূর। ১৯৯১ সালে এই ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেছিলেন তিনি। আজ তাঁর জায়গায় বসলেন সাবেক হ্যান্ডবল খেলোয়াড় সালাহউদ্দিন আহমেদ। সভাপতি করা হয়েছে এনএসআইয়ের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সারোয়ার ফরিদকে।

আরও পড়ুনকে এই রিয়া গোপ, যার নামে মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স০৯ মার্চ ২০২৫

হ্যান্ডবল–রাগবি ছাড়া নতুন অ্যাডহক কমিটি পেল বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশন, বাংলাদেশ জুডো ফেডারেশন ও বাংলাদেশ অ্যামেচার রেসলিং ফেডারেশন।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো.

আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ভিন্ন ভিন্ন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনের বিদ্যমান কমিটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮-এর ২১ ধারা অনুযায়ী ভেঙে অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সাইক্লিংয়ের সভাপতি হয়েছেন ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম। ১৯ জনের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন আবু হেনা। এ ছাড়া জুডোতে সভাপতি করা হয়েছে এলিট পেইন্টের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদকে। সাবেক খেলোয়াড় ও সংগঠক জান্নাত আরা পেয়েছেন সাধারণ সম্পাদকের পদ। রেসলিংয়ে সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফকরুদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আমিন।

আরও পড়ুনক্রীড়াঙ্গনে ‘ম্যারাথন’ সংস্কারের শেষ কবে০২ মার্চ ২০২৫

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন চক্রে ফাইনালে চোখ শ্রীলঙ্কার

‘আমাদের লর্ডসে থাকার কথা ছিল। আর আমরা এখন কোথায়।’ বাংলাদেশের বিপক্ষে গলে টেস্ট দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নতুন চক্র শুরুর আগে সতীর্থদের এই কথাই বলেছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।

সদ্য শেষ হওয়া টেস্ট চক্রে শ্রীলঙ্কা ছয়ে থেকে শেষ করেছে। তবে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে ছিল তারা। সমীকরণ ছিল কঠিন। যার ধারে কাছে যেতে পারেনি লঙ্কানরা।

গত চক্রের শেষ ধাপে শ্রীলঙ্কা ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ খেলেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে খেলেছে দুই টেস্ট। ওই চার টেস্টের তিনটিতে জিততে পারলেই ফাইনালে যেতে পারত তারা। অজিদের হারাতে ঘরে স্পিন বান্ধব উইকেট বানিয়েও লাভ করতে পারেনি লঙ্কানরা।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হওয়া নতুন চক্রে ফাইনালে চোখ রাখছেন বলে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক সিলভা, ‘আমাদের ফাইনালে খেলার ভালো সুযোগ ছিল। দুর্ভাগ্যবশত আমরা তা পারিনি। নতুন চক্রে আমরা জানি, ঘরের মাঠে সিরিজগুলো জিততে হবে। আমরা ঘরে সম্ভাব্য সব পয়েন্ট তুলতে চাই। ঘরে সিরিজ শুরু করার এটা দারুণ সুযোগ।’

তবে নতুন চক্রে লঙ্কানদের জন্য চ্যালেঞ্জও আছে। দিমুথ করুনারত্নে অবসর নিয়েছেন। অ্যাঞ্জেল ম্যাথুস গল টেস্ট দিয়ে অবসর নেবেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে কোন টেস্ট না খেলা ছয় ক্রিকেটার ডাক পেয়েছেন। ডি সিলভা অবশ্য তাদের নিয়ে নতুন যাত্রা শুরুর বার্তা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হতে হবে। আমরা ভালো ঘরোয়া টুর্নামেন্ট কাটিয়েছি। প্রস্তুতিও ভালো হয়েছে। ভালো কিছু তরুণ খেলোয়াড়ও বেরিয়েছে। তাদের নিয়ে নতুন যাত্রা শুরু করতে মুখিয়ে আছি।’ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ