৫০ দিন পর আরও ৫ ফেডারেশনে অ্যাডহক কমিটি
Published: 19th, March 2025 GMT
ক্রীড়াঙ্গনে সংস্কারের অংশ হিসেবে গত ১৫ নভেম্বর ৯ ফেডারেশনে অ্যাডহক কমিটি গঠন করেছিল সরকার। দ্বিতীয় ধাপে ২৮ জানুয়ারি সাঁতার, ভলিবলসহ আরও ৭ ফেডারেশনে অ্যাডহক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এর ৫০ দিন পর আজ আরও ৫ ফেডারেশনে অ্যাডহক কমিটি করা হয়েছে। আর তাতে আসাদুজ্জামান কোহিনূর, মৌসুম আলীদের মতো পুরোনো সংগঠকদেরও চেয়ার ছাড়তে হয়েছে।
দীর্ঘ ১৮ বছর বাংলাদেশ রাগবি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মৌসুম আলী। তাঁর হাত ধরেই ২০০৪ সালে দেশে রাগবির পথচলা শুরু হয়। ২০০৬ সালে এই ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পান খন্দকার জামিল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হন মৌসুম আলী। আজ সেই কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। যেখানে সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন আবদুল্লাহ আল জহির। সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে আখতার জামানকে।
হ্যান্ডবলের ঘোষিত ১৯ সদস্যের অ্যাডহক কমিটিতে নেই দীর্ঘ ৩৩ বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা আসাদুজ্জামান কোহিনূর। ১৯৯১ সালে এই ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেছিলেন তিনি। আজ তাঁর জায়গায় বসলেন সাবেক হ্যান্ডবল খেলোয়াড় সালাহউদ্দিন আহমেদ। সভাপতি করা হয়েছে এনএসআইয়ের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সারোয়ার ফরিদকে।
আরও পড়ুনকে এই রিয়া গোপ, যার নামে মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স০৯ মার্চ ২০২৫হ্যান্ডবল–রাগবি ছাড়া নতুন অ্যাডহক কমিটি পেল বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশন, বাংলাদেশ জুডো ফেডারেশন ও বাংলাদেশ অ্যামেচার রেসলিং ফেডারেশন।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো.
সাইক্লিংয়ের সভাপতি হয়েছেন ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম। ১৯ জনের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন আবু হেনা। এ ছাড়া জুডোতে সভাপতি করা হয়েছে এলিট পেইন্টের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদকে। সাবেক খেলোয়াড় ও সংগঠক জান্নাত আরা পেয়েছেন সাধারণ সম্পাদকের পদ। রেসলিংয়ে সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফকরুদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আমিন।
আরও পড়ুনক্রীড়াঙ্গনে ‘ম্যারাথন’ সংস্কারের শেষ কবে০২ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ
রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।
জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’
এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ।