Samakal:
2025-05-01@04:52:24 GMT

দখলের মচ্ছবে সংকটে প্যারা খাল

Published: 19th, March 2025 GMT

দখলের মচ্ছবে সংকটে প্যারা খাল

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নে বাড়ির রাস্তা তৈরির নামে খাল দখলের মচ্ছব চলছে। এতে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে প্যারা খাল নামে পরিচিত ওই ইউনিয়নের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খালটি।

জানা গেছে, ১৯৭০ এর দশকে ওই ইউপির নির্বাচিত চেয়ারম্যান কাজী আজাহার আলী (প্যারা মিয়া) পুরো ইউনিয়নের পানি নিষ্কাশনের জন্য এই খালটি তৈরি করেন। সেই থেকে তাঁর নামানুসারে এটি প্যারা খাল হিসেবে পরিচিত হয়। খালটি ইব্রাহিমপুর যোগীদারা ব্রিজ বাঁশবাজার থেকে পালবাড়ী বাজার ও কালীপুরা গ্রামের ভেতর দিয়ে রসুল্লাবাদ ইউনিয়নের যমুনার খালে গিয়ে সংযুক্ত হয়েছে। বর্ষাকালে প্যারা খাল দিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের লোকজন নৌযানে মালপত্র বহন ও উপজেলা সদরে আসা-যাওয়া করেন। এ ছাড়া স্থানীয় কৃষকরা সেচকাজে খালের পানি  ব্যবহার করেন। গত কয়েক বছর ধরে ইব্রাহিমপুর পালবাজার থেকে কালীপুরা গ্রামের অংশে অনেকে স্থায়ীভাবে খালের ওপর দিয়ে বসতবাড়ির রাস্তা নির্মাণ করছেন। খালের ভেতর এভাবে রাস্তা নির্মাণ করায় বর্ষাকালে নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থার বিঘ্ন সৃষ্টি ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

গত সোমবার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের পালবাড়ী ও কালীপুরা গ্রামে দেখা যায়, স্থানীয় বাচ্চু মিয়ার ছেলে নূরুল ইসলাম, তারা মিয়ার ছেলে শাহ আলম, মো.

আনু মিয়ার ছেলে আলম মিয়া, রূপ মিয়ার ছেলে সাহাবুদ্দিন মিয়া, জুলহাস মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন, খাজা রহমানসহ অনেকে বাড়ির মালিক প্যারা খালের ওপর রাস্তা নির্মাণ করেছেন। খালের ওপর রাস্তা নির্মাণ প্রসঙ্গে তারা জানান, তাদের বাড়িতে রাস্তা নাই, খাল পার হয়ে কৃষিকাজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজের জন্য হাটবাজারে যেতে হয়। তাই পানি নিষ্কাশনের জন্য নিচে পাইপ রেখে তার ওপর মাটি ফেলে রাস্তা বানিয়েছেন। 

সরকারি খালের ভেতর রাস্তা বানানোর জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েছেন কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু মুছা ও উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানেন।

ইব্রাহিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু মুছা বলেন, প্যারা খাল দখল করে রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি অবগত আছেন। এটি বেআইনি, এভাবে খাল ভরাট করা যায় না। এ বিষয়ে তিনি তাদের অনেকবার নিষেধ করেছেন। কারণ কিন্তু তারা শোনেননি। 

ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি জানেন না। যদি এমনটা হয়ে থাকে, তাহলে খাল দখলকারীদের বিরুদ্ধে মামলাসহ প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা কাজী হেলাল ও কৃষক ইউনুছ মিয়া বলেন, এভাবে খাল ভরাট হতে থাকলে নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিঘ্ন সৃষ্টির পাশাপাশি গ্রামে বড় ধরনের জলাবদ্ধতার শঙ্কা রয়েছে।

ইউএনও রাজীব চৌধুরী বলেন, নদী, খাল, বিল ভরাট করার কোনো বিধান নেই। এ বিষয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় ব যবস থ র জন য র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এলজিইডি অফিসে দুদকের অভিযান, নিয়ে গেছে বিভিন্ন নথি

স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দলের সদস্যরা। এ সময় তাঁরা ওই কার্যালয় থেকে বর্তমানে বিভিন্ন চলমান প্রকল্প ও গত পাঁচ বছরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নথি নিয়ে গেছেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টা থেকে তিনটা পর্যন্ত এই অভিযান চালায় দুদকের দলটি।

অভিযানে ছিলেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মশিউর রহমান ও শরিফুল ইসলাম। অভিযান শেষে দুদকের উপসহকারী পরিচালক মশিউর রহমান প্রথম আলোকে জানান, তাঁরা প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বন্দর উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ে অভিযান চালান। তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ বছরের উন্নয়নকাজ ও বর্তমানে যেসব কাজ চলমান রয়েছে, সেসব কাজের আমরা তথ্য চেয়েছি। এখানে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা দেখতে এখানে এসেছি। এখানে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে, এখানে কাজের ভলিউম বেশি, তাই সেসব কাজের বিষয়ে তথ্য চেয়ে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনে আমরা এই অফিসে আবার আসব।’

বেলা তিনটার দিকে দুদকের দলটি এলজিইডির উপজেলা কার্যালয় ত্যাগ করে। দুদক দলের অভিযান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বন্দর উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ের প্রকৌশলী শামসুর নাহার প্রথম আলোকে বলেন, দুদকের একটি দল তাঁর কার্যালয়ে এসেছিল। তারা বর্তমান চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কী অবস্থা ও গত পাঁচ বছরের যেসব উন্নয়নকাজ হয়েছে, সেসবের বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়েছে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন কাজের তথ্য দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এলজিইডি অফিসে দুদকের অভিযান, নিয়ে গেছে বিভিন্ন নথি