সিরাজগঞ্জে চাচা-ভাতিজার লাশ উদ্ধার
Published: 20th, March 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় নিখোঁজের পাঁচ দিন পর চাচা ও ভাতিজার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকেলে উপজেলার বৈকুন্ঠপুরে ভেড়াদহ ব্রিজের কাছে খালের কচুরিপানার ভিতর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, রায়গঞ্জের পাঙ্গাসী ইউনিয়নের বৈকুণ্ঠপুর গ্রামের তোতা শেখের ছেলে হৃদয় শেখ (১৮) ও একই গ্রামের বদিউজ্জামান শেখের ছেলে রিয়াজ শেখ (২২)
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, রবিবার (১৬ মার্চ) রাতে উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের বৈকুণ্ঠপুর বাজার থেকে চাচা ও ভাতিজা নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি করে তাদের সন্ধান না পেয়ে সোমবার (১৭ মার্চ) থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন। ভেড়াদহ খালে দুটি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
আরো পড়ুন:
দিনাজপুরে একই দড়িতে ঝুলছিল মা ও মেয়ের লাশ
ছাত্র আন্দোলনে নিহত তানজিন তিশার সহকারীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়া গেলে মৃত্যুর বিষয়ে জানা যাবে।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।
ঢাকা/রাসেল/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।