আগামী আট বছরের জন্য ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ক্রিস্টি কভেন্ট্রি। ৪১ বছর বয়সী এই জিম্বাবুইয়ান সাঁতারু আইওসির ১৩১ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী সভাপতি, প্রথম আফ্রিকানও।

আজ গ্রিসের কস্তা নাভারিনোয় আইওসির ১৪৪তম সভায় নতুন সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন। যাঁদের মধ্যে কভেন্ট্রি ও সেবাস্টিয়ান কোর মতো সাবেক ক্রীড়াবিদ যেমন ছিলেন, তেমনি রাজপরিবারের সদস্য, ব্যবসা, আইন ও রাজনীতি অঙ্গনের মানুষও ছিলেন। আইওসি সদস্যদের ৯৭টি ভোটের মধ্যে প্রথম রাউন্ডেই ৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন কভেন্ট্রি।

কভেন্ট্রি আগামী ২৩ জুন অলিম্পিক দিবসে বর্তমান প্রধান টমাস বাখের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেবেন। হারারেতে জন্ম নেওয়া কভেন্ট্রি ২০০৪ এথেন্স অলিম্পিকে একটি সোনাসহ ৩টি পদক জেতেন, ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে একটি সোনাসহ চারটি পদক।

২০১৬ রিও অলিম্পিকের পর পুল থেকে অবসর নিয়ে রাজনীতিতে নামেন। ২০১৮ সাল থেকে জিম্বাবুয়ের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কের হার কমায় একে ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “এটি সুস্পষ্ট এক কূটনৈতিক সাফল্য।”

শুক্রবার (১ আগস্ট) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, শুল্ক হার ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে আরোপিত শুল্ক হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা ও সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।

তিনি বলেন, আলোচকরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে জটিল আলোচনাকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত এই চুক্তি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তাবাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ

কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, এ অর্জন কেবল বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না; বরং এটি বৃহত্তর সম্ভাবনা, ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে।

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল, উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আজকের সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা ও আগামী দিনের আরো শক্তিশালী অর্থনীতির সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।

 

তথ্যসূত্র: বাসস

ঢাকা/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ