Risingbd:
2025-11-03@20:16:35 GMT

বডিবিল্ডার ‘বউমা’

Published: 21st, March 2025 GMT

বডিবিল্ডার ‘বউমা’

পেশিবহুল সুঠাম শরীর। তাতে অঙ্কিত নানা ডিজাইনের ট্যাটু। পরনে হলুদ-নীল রঙের ঐতিহ্যবাহী কাঞ্জিভরম শাড়ি। কানে দুল, কপালে টিকলি। গলায় শোভা পাচ্ছে ভারী ভারী গহনা। নববধূর চোখ-মুখ থেকে ঠিকরে পড়ছে উচ্ছ্বাস। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিও এবং স্থিরচিত্রে এমন লুকে দেখা যায় এক যুবতীকে।

পেশিবহুল সুঠাম শরীরের নারীকে বধূবেশে দেখে বিস্মিত নেটিজেনরা। কারণ বিয়ে মানেই ঝলমলে সাজ, ঐতিহ্যবাহী পোশাক আর নতুন লুক। কিন্তু বডিবিল্ডার নারীর ভিন্ন লুক বিস্ময় জাগিয়েছে। নেটিজেনরা তাকে ‘বডিবিল্ডার বউমা’ বলে সম্বোধন করছেন; যা নিয়ে চলছে জোর চর্চা।

 

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বডিবিল্ডার এই নারীর নাম চিত্রা পুরুষোত্তম। দীর্ঘদিনের প্রেমিক কিরণ রাজকে বিয়ে করেছেন তিনি। নববধূর সাজে ব্রাইডাল ফটোশুট করেন। তারই ভিডিও এবং স্থিরচিত্র নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়।

 

বিয়ের দিন চিত্রা পরেছিলেন হলুদ-নীল রঙের ঐতিহ্যবাহী কাঞ্জিভরম শাড়ি। তার এই সাজে ছিল চমক। শাড়ির সঙ্গে কোনো ব্লাউজ পরেননি। এই সিদ্ধান্তের পেছনে ছিল তার স্পষ্টবার্তা। তা হলো— পরিশ্রম করে গড়া সুঠাম শরীরকে গর্বের সঙ্গে তুলে ধরা। ছবি ও ভিডিওতে চিত্রার আত্মবিশ্বাসী ও ব্যতিক্রমী লুক সকলের নজর কেড়েছে।

 


 
ভারতের কর্নাটকের মেয়ে চিত্রার ফিটনেসের প্রতি নিজের নিবেদন বহু মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে। সুঠাম বাহু, দৃঢ় শরীর, সুগঠিত ফিগার তার কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও আত্মনিয়ন্ত্রণকে তুলে ধরেছে। সমাজের প্রচলিত সৌন্দর্যের সংজ্ঞাকে ভেঙে, নিজের শরীরকে গর্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছেন এই নারী।

 


 
চিত্রা বহু সুন্দরী প্রতিযোগিতায়ও অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ‘মিস ইন্ডিয়া ফিটনেস’, ‘মিস ওয়েলনেস’, ‘মিস সাউথ ইন্ডিয়া’, ‘মিস কর্ণাটক’, ‘মিস বেঙ্গালুরু’সহ একাধিক খেতাব জয় করেছেন তিনি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ