রোববার দিবাগত রাতে উয়েফা নেশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের প্রথমার্ধেই দুর্দান্ত খেলে জার্মানি। জোশুয়া কিমিখের এক পেনাল্টি গোল এবং তার দুটি দুর্দান্ত অ্যাসিস্টে জামাল মুসিয়ালা ও টিম ক্লেইনডিনস্ট গোল করে দলকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধে ইতালির দারুণ প্রত্যাবর্তনে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হলেও দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ ব্যবধানের জয়ে প্রথমবার উয়েফা নেশন্স লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয় জার্মানির।

দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য দুর্দান্তভাবে ফিরে আসে ইতালি। ময়েস কিন জোড়া গোল করে স্বাগতিকদের চাপে ফেলে দেন। ৭৩তম মিনিটে ইতালি পেনাল্টি পেলেও ভিএআর সেটি বাতিল করে। তবে, যোগ করা সময়ে জিয়াকোমো রাসপাদোরি পেনাল্টি থেকে গোল করলে ম্যাচে উত্তেজনা ফিরে আসে। শেষ পর্যন্ত ৩-২ ব্যবধানে জয় নিয়ে প্রথমবার সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় জার্মানি।

প্রথম লেগে মিলানে ২-১ ব্যবধানে হারের পর ইতালি ডর্টমুন্ডে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। ইনজুরির কারণে রিকার্ডো কালাফিওরি, আন্দ্রেয়া কাম্বিয়াসো, মাতেও রেতেগুই এবং ফেদেরিকো ডিমার্কোর মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ছাড়াই এদিন খেলতে নামে ইতালি।  

আরো পড়ুন:

রুদ্ধশ্বাস লড়াই জিতে সেমিফাইনালে পর্তুগাল

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভিন্ন ভাবনায় তপু বর্মন

ইতালির কোচ লুসিয়ানো স্পাল্লেত্তি ম্যাচের আগে বলেছিলেন, ‘‘আমাদের অসম্ভব কিছু করতে হবে।’’ কিন্তু জার্মানি ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে। তাদের প্রথম গোল আসে পেনাল্টি থেকে। যেখানে আলেসান্দ্রো বুয়নজিওর্নো বক্সের ভেতরে ক্লেইনডিনস্টকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। আর কিমিখ স্পট কিক থেকে গোল করেন।

এরপর, ইতালির গোলরক্ষক জানলুইজি ডোন্নারুম্মা জার্মানির ক্লেইনডিনস্টের একটি হেড রুখে দিলেও, দ্রুত নেওয়া কর্নার থেকে কিমিখের পাসে মুসিয়ালা সহজেই গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।

প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ক্লেইনডিনস্টের আরেকটি হেড ডোন্নারুম্মা আটকালেও, এবার বল গোললাইন পেরিয়ে যায়। রেফারি তার ঘড়ির দিকে ইঙ্গিত করে গোল নিশ্চিত করলে মাঠে উল্লাসে ফেটে পড়ে স্বাগতিক দর্শকরা।

দ্বিতীয়ার্ধে জার্মানি তাদের গতি কিছুটা কমিয়ে দিলে সুযোগ নেয় ইতালি। ৪৯তম মিনিটে ময়েস কিন একটি ঢিলেঢালা বল পেয়ে গোল করেন। এরপর, স্পাল্লেত্তি রাসপাদোরিকে মাঠে নামান, যিনি ৬৮তম মিনিটে দারুণ এক পাস বাড়ান কিনের উদ্দেশে। কিনের নিখুঁত শটে জার্মানির গোলরক্ষক অলিভার বাউমান পরাস্ত হন।

৭৩তম মিনিটে ইতালি আরও একটি সুযোগ পায়, যখন রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। কিন্তু ভিএআর চেক করে সেটি বাতিল করে। যোগ করা সময়ে রাসপাদোরি আরও একটি পেনাল্টি থেকে গোল করলেও, তা শুধু ব্যবধান কমানোর কাজেই আসে। শেষ পর্যন্ত, জার্মানি দুই লেগ মিলিয়ে এগিয়ে থেকে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল স ম ফ ইন ল ব যবধ ন গ ল কর প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

পানিতে ভাসছিল ২২ দিনের শিশুর মৃতদেহ, ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মা

ঘর থেকে প্রায় ১৫ ফিট দূরে ছোট আকারের একটি পানি নিষ্কাশনের ডোবা। হঠাৎ সেই ডোবাতে দেখা যায় শিশু মুনতাহার ভাসমান মৃতদেহ। মুহূর্তেই ওই বাড়িসহ আশপাশের এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। গতকাল শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় নিজের ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন শিশুটির মা তানজীলা খাতুন। তবে কীভাবে ২২ দিনের শিশুটি ডোবার পানিতে পড়ল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। 

ঝিনাইদহ সদরের নরহরিদ্রা গ্রামের মিল্টন বিশ্বাসের ২২ দিন বয়সী এই কন্যা শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। শিশুটির মা তানজীলা খাতুন ও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি হেফাজতে রেখেছে পুলিশ। শিশুর বাবা মিল্টন বিশ্বাস গাজীপুরে একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন।

জানা যায়, দুপুরে নিজ ঘরে শিশু মুনতাহাকে নিয়ে শুয়েছিলেন মা তানজীলা খাতুন। কিছুক্ষণ পর বাড়ির অন্য সদস্যরা এসে দেখেন, মুনতাহা সেখানে নেই। পরে শিশুর মাকে জিজ্ঞাসা করলে বলে কেউ জ্বীনের বেশে এসে ওকে নিয়ে গেছে। পরে কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পাশের নলকূপের ডোবা থেকে মুনতাহার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় যুবক সোহাগ হোসেন বলেন, ২২ দিনের শিশু হাঁটতে হাঁটতে গিয়ে পানিতে ডুবে মরবে এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আর ঘটনার সময় বাড়িতে তার মা ছাড়া কেউ ছিল না। পরে শিশুর মা তানজীলা খাতুনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি আমরা নিয়েছি। সেখানে বেশকিছু কথোপকথন পেয়েছি অন্য একটি ছেলের সঙ্গে। আমাদের ধারণা, পরকীয়ার জেরেই শিশুটিকে তার মা হত্যা করতে পারেন। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এবং মোবাইল ফোনের তথ্য ঘাটলে সব বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাবে।

শিশু মুনতাহার দাদী নাসরিন খাতুন বলেন, ঘটনার প্রায় আধাঘণ্টা আগে বাড়িতে দেখি, মুনতাহাকে নিয়ে ওর মা খেলা করছে। এরপর ফিরে দেখি, তানজীলা (শিশুর মা) ঘুমাচ্ছে; কিন্তু মুনতাহা নেই। পরে খোঁজাখুজি করে ডোবায় মৃতদেহ মেলে। তবে এই শিশুর মৃত্যুর পেছনে তার ছেলের বউ (শিশুর মা) জড়িত কি না সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি তিনি। তিনি বলেন, পুলিশ তদন্ত করে সঠিক ঘটনা বের করুক। তবে আমরা নাতনী হত্যার সঠিক বিচার চাই।

মুনতাহার মা তানজীলা খাতুন বলেন, ‘আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। দেখলাম জ্বীনের বেশ ধারণ করে কেউ ওকে (মুনতাহাকে) নিয়ে গেল। এরপর কীভাবে কি হল বলতে পারছি না।

তবে এই শিশুর মৃত্যুর পর ঘটনাস্থলে গিয়ে তানজীলা খাতুনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি হেফাজতে নিলেও এ বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহাফুজুর রহমান।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশের মিডিয়া বিভাগের দায়িত্বরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, শিশুটির মৃত্যুর বিষয় নিয়ে তদন্ত চলছে। তার মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রথমবারের মতো ঢাকায় জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদল
  • পুরনো স্বাদের ঝুরা মাংসের
  • ভাত খাওয়ার সময় কেন ভাতটাই পরে খেতে বলেন চিকিৎসকেরা?
  • প্রথমবার ঢাকায় জাতিসংঘের গুমবিষয়ক কমিটি
  • অ্যান্টার্কটিকায় বিরল স্কুইডের সন্ধান
  • প্রথমবারের মতো ঢাকায় আসার সুযোগ পেল জাতিসংঘের গুমবিষয়ক কমিটি
  • পানিতে ভাসছিল ২২ দিনের শিশুর মৃতদেহ, ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মা
  • প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে কতো টাকা পেলো দ. আফ্রিকা?
  • প্রবাসীর ভবন উদ্ধোধন করতে এলেন সৌদি নাগরিক
  • প্রথমবার বিগ ব্যাশে বাবর আজম