নিউজ আঠারো-এর তথ্য, ‘‘মোরগের শরীরে একটি জৈবিক ঘড়ি থাকে। এই ঘড়িকে বলে সার্কাডিয়ান রিদম। সূর্যোদয়ের সময় আলোর পরিবর্তনের কারণে, সার্কাডিয়ান রিদম সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং মোরগকে ডাকার সংকেত দেয়।’’ 

যারা গ্রামে বসবাস করেন তারা ভোর হতে না হতেই মোরগের ডাক শুনতে পান। কিন্তু ভোরে ডাকার জন্য এক মোরগকে শাস্তি পেতে হয়েছে। ভারতের কেরালায় ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় অধিবাসী বৃদ্ধ রাধাকৃষ্ণ কুরুপ মোরগের ডাকের জন্য ভোরে ভালোভাবে ঘুমাতে পারেন না। আর ভালোভাবে ঘুমাতে পারেন না বলে দিন দিন শরীর খারাপ হয়ে যাচ্ছিলো তার। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে স্থানীয় থানায় অভিযোগ করেন রাধাকৃষ্ণ। স্থানীয় গণমাধ্যমে এই তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিদিন ভোর ৩ টায় রাধাকৃষ্ণ কুরুপের প্রতিবেশি অনিল কুমারের বাড়ির মোরগ ডাকতে শুরু করে। এতে বৃদ্ধর ঘুম ভেঙে যায়। পরে থানায় অভিযোগ করেন তিনি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে প্রশাসন। ঘটনাটি কেরালার পল্লিকাল গ্রামে ঘটেছে। পরে পুলিশের পক্ষে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে, অনিলকে তার মোরগ দূরে কোথাও রেখে আসতে হবে।

উল্লেখ্য, মোরগের ডাক সময়ের লক্ষণ হিসাবে বিবেচিত হয়। এক সময় কৃষক এবং অন্যান্য মানুষের জন্য, মোরগের ডাক ছিল দিন শুরু করার সংকেত।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রগ র ড ক র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

খামেনিকে হত্যায় সংঘাত বাড়বে না, বরং অবসান ঘটাবে: নেতানিয়াহু

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার আশঙ্কার বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানি শীর্ষ নেতার হত্যায় ‘সংঘাত বাড়বে না, বরং অবসান ঘটাবে’।

তিনি বলেন, ‘ইরানি নেতার হত্যার সম্ভাব্য পরিকল্পনা ইরান ও ইসরায়েল মধ্যকার চলমান সংঘাতকে ‘আরও বাড়িয়ে তুলবে না, বরং সংঘাতের অবসান ঘটাবে’। 

এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহুকে প্রশ্ন করা হয়, খামেনিকে হত্যার লক্ষ্যবস্তু করার চিন্তা আছে কিনা। প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরান দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। ইরান ‘চিরস্থায়ী যুদ্ধ’ চায় এবং ইসরায়েলে পরমাণু যুদ্ধের কিনারায় নিয়ে এসেছে। 

তিনি বলেন, ইসরায়েল এই আগ্রাসন ঠেকাচ্ছে। এটা ঠেকাতে হলে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই হবে। আমরা যা প্রয়োজন, তাই করছি। 

ইরানের সঙ্গে সংঘর্ষে ইসরায়েল বিজয় অর্জন করতে যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সোমবার ইসরায়েলি বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিজয় অর্জনের পথে। এর আগে, তেহরানের আকাশ ‘পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অর্জন’ করার দাবি করেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী কর্মকর্তারা। সেইসঙ্গে, ইরানের মিসাইল লঞ্চার বা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ যন্ত্রের ‘এক-তৃতীয়াংশ ধ্বংস'’করে দেওয়ারও দাবি করেন তারা।

সেই দাবিই পুনর্ব্যক্ত করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের দু'টি লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। পারমাণবিক হুমকি নির্মূল এবং ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি নির্মূল করা।

ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদেরকে ইরান হামলার লক্ষ্যবস্তুে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেন নেতানিয়াহু। বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনের সময় সেখানে উপস্থিত সেনাদের উদ্দেশে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের ধন্যবাদ। সৃষ্টিকর্তার সাহায্যে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো এবং সফল হব। বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত আমরা (যুদ্ধ) চালিয়ে যাব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ