মেরি কুরির কফিন সিসা দিয়ে ঢাকা কেন
Published: 25th, March 2025 GMT
নোবেল পুরস্কারজয়ী প্রথম নারী বিজ্ঞানী মেরি কুরি। জন্ম পোল্যান্ডে হলেও বেড়ে উঠেছেন ফরাসি সাংস্কৃতিক আবহে। তেজস্ক্রিয়তা নিয়ে গবেষণায় মেরি কুরি এবং তাঁর স্বামী পিয়েরে কুরি অসামান্য অবদান রেখেছেন। এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখার জন্য পিয়েরে কুরির সঙ্গে ১৯০৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জেতেন মেরি কুরি। শুধু তা-ই নয়, মেরি কুরি একমাত্র বিজ্ঞানী, যিনি দুটি ভিন্ন ক্ষেত্রে দুইবার নোবেল পুরস্কার জিতেছেন। পোলোনিয়াম ও রেডিয়ামের আবিষ্কারক মেরি কুরি ১৯১১ সালে রসায়নেও নোবেল পুরস্কার জেতেন। তেজস্ক্রিয়তা নিয়ে যুগান্তকারী অনেক আবিষ্কারের সঙ্গে যুক্ত মেরি কুরি দীর্ঘ সময় তেজস্ক্রিয়তার সংস্পর্শে থাকার কারণে ১৯৩৪ সালে বিরল এক রক্তরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আর তাই মৃত্যুর পর মেরি কুরির দেহ সিসার তৈরি বদ্ধ কফিনে সমাহিত করা হয়।
মেরি কুরি তেজস্ক্রিয়তা নিয়ে অনেক সংবেদনশীল গবেষণা করেছেন। আধুনিক পদার্থবিদ্যার জননী হিসেবে পরিচিত মেরি কুরি দীর্ঘ সময় তেজস্ক্রিয় উপাদানের সংস্পর্শে ছিলেন। এর ফলে তাঁর স্বাস্থ্য ভেঙে যায়। শুধু তা–ই নয়, তেজস্ক্রিয় উপাদানের সংস্পর্শে আসার কারণে তাঁর দেহে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া নামক রোগে আক্রান্ত হন তিনি। এই রোগে অস্থিমজ্জা রক্তকোষ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়।
১৯৩৪ সালে মেরি কুরি মারা যান। মৃত্যুর পর তেজস্ক্রিয় উপাদান ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে তাঁকে সিসার তৈরি বদ্ধ কফিনে সমাহিত করা হয়। এত দিন পরেও কুরির পোশাক, আসবাব, বই থেকে শুরু করে গবেষণাগারের সরঞ্জামে তেজস্ক্রিয়তা উপাদান সক্রিয় রয়েছে বলে জানা গেছে। আর তাই তাঁর গবেষণাগারের নোটবুকসহ বিভিন্ন পণ্য ফ্রান্সের প্যারিসের বিবলিওথেক ন্যাশনালে সিসা-আবৃত বাক্সে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন ব ল প রস ক র উপ দ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সাতক্ষীরায় কলেজছাত্রীর গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় কলেজছাত্রী সানজিদা আক্তার তুলি (১৭) গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের ঘোনা গ্রামের কামরুল সরদারের মেয়ে।
বৃহস্পতিবার (১ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ গ্রামে গায়ে কোরোসিন ঢেলে আগুন দেন তুলি। দগ্ধ অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে বিকালে তার মৃত্যু হয়। তুলি তালা মহিলা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন।
প্রতিবেশীরা জানান, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তুলি বাড়ির সামনে উঠানের শেষ প্রান্তে বসে নিজের শরীরে কেরোসিন দিয়ে ভিজিয়ে গ্যাস লাইটের সাহায্যে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় তার মা অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজে ব্যস্ত ছিলেন এবং বাবা খুলনায় রিকশা চালাতে গিয়েছিলেন।
আরো পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ৩০ স্কুলে চালু হলো ‘মিড ডে মিল’
রাজশাহী পলিটেকনিকে ৯ দিন ধরে তালা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
গায়ে পুরোপুরি আগুন ধরে গেলে তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। ততক্ষণে তার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে যায়। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় অ্যাম্বুলেন্স যোগে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ইসলামকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জানান, স্থানীয় মসজিদের ইমামকে তুলি একতরফা ভালোবেসেছিলেন। ওই যুবক তুলিকে পছন্দ করেননি। যার কারণে তিনি পালিয়ে যান। সেই কারণে হয়ত তুলি আত্মহত্যা করেছেন।
তালা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ শাহিনুর রহমান আত্মহত্যার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা/শাহীন/বকুল