দীর্ঘ ৭ বছর পর অবশেষে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তবে ২০২২ সালের পুরাতন গঠনতন্ত্রেই অনুষ্ঠিত হবে বহুল প্রতীক্ষিত এ নির্বাচন। নির্বাচনের রোডম্যাপ ঠিক করতে এরই মধ্যে গঠিত হয়েছে ৯ সদস্যের নির্বাচন কমিশন।

সোমবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো.

ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি জনসম্মুখে আসে। তিনি গত রবিবারে (২৩ মার্চ) এ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন। এতে ৯ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশনের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. রফিকুল আলমকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার এ. কে. এম. সাইফুল্লাহকে কমিশনের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন— ফার্মেসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মোকলেছুর রহমান সরকার, ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক নিরঞ্জন বিশ্বাস, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. ফুয়াদ হোসেন, ফলিত গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কনক চন্দ্র রায়, রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. আলী আজম খান, নীতিবোধ ও সমতার সহকারী অধ্যাপক কাজী মাহফুজা হক এবং আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারাহ ইকবাল। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের শুধু প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। অনিয়মিত শিক্ষার্থী (ডিটেইন/পুনঃভর্তি) এবং অনার্স সম্পন্ন করার পর এক বছরের (দুই সেমিস্টার) বেশি সময় নিয়ে মাস্টার্স বা অন্য কোনো শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

এতে ভোটার তালিকা নিয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। এছাড়া গঠনতন্ত্রের বিধি ১২ অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সভাপতি করে ১৪ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হবে।

এদিকে, নির্বাচনী কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে মাস্টার্সের চলমান ভর্তি কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

গত ২০১৮ সালের সর্বশেষ গকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ