আনচেলত্তিকে প্রস্তাব দিয়ে কী জবাব পেল ব্রাজিল
Published: 27th, March 2025 GMT
ব্রাজিল ফুটবল দলের কোচের দায়িত্ব ইতালির কিংবদন্তি কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে দিতে চায় দেশটির কনফেডারেশন (সিবিএফ)। এর আগেও আনচেত্তিকে পাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে সিবিএফ।
সংবাদ মাধ্যম গ্লোবো দাবি করেছে, দরিভাল জুনিয়রের ভবিষ্যত বিষয়ে শুক্রবার সিদ্ধান্ত নেবেন সিবিএফ প্রেসিডেন্ট এডনাল্ড রদ্রিগুয়েজ। এরই মধ্যে কনফেডারেশন আনচেলত্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলেও জানানো হয়েছে।
এজেন্টের মাধ্যমে ব্রাজিলের দেওয়া প্রস্তাব শুনেছেন আনচেলত্তি। তবে জুলাইয়ের আগে নিজ থেকে রিয়াল মাদ্রিদের ডাগ আউট ছাড়বেন না তিনি। চূড়ান্ত আলোচনা যা হওয়ায়, জুলাইয়ে হবে বলেও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
জুন-জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ক্লাব বিশ্বকাপ খেলবে রিয়াল মাদ্রিদ। সব ঠিক থাকলে ওই টুর্নামেন্টে লস ব্লাঙ্কোসদের ডাগ আউটে থাকবেন ইতালিয়ান বস। তার সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদের ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে। তবে চলতি মৌসুমে আনচেলত্তির অধীনে ব্লাঙ্কোসরা খুব ভালো না খেলায় মৌসুম শেষে তাকে ছাঁটাই করা হতে পারে।
এর মধ্যেও কিন্তু আছে। সংবাদ মাধ্যম গোল জানিয়েছে, বায়ার লেবারকুসেনের জাবি আলোনসোকে কোচ হিসেবে চায় রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু তিনি যদি লেবারকুসেনে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ লা লিগা অথবা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতে তাহলে ২০২৬ সাল পর্যন্ত আনচেলত্তির ওপরই ভরসা রাখবেন ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ।
গত বছর আবার চুক্তি নবায়নের সময় আনচেলত্তি বলেছিলেন, তিনি নিজ ইচ্ছায় কখনো রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়েননি, ছাড়বেনও না। যার অর্থ চুক্তির মেয়াদ সম্পন্ন করতে চান তিনি। সব মিলিয়ে জুন-জুলাইয়ের পরও আনচেলত্তির সার্ভিস পাওয়া ব্রাজিলের জন্য নিশ্চিত নয়। তবে সেলেসাওরা এবার আনচেলত্তির জন্য জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায়।
জুনে আবার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ব্রাজিলের ইকুয়েডর ও প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ আছে। সিবিএফ ততদিন দরিভালকে রাখতে চায় না। সেক্ষেত্রে নতুন কোন কোচ নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। অথবা অন্তবর্তীকালীন ভিত্তিতে নতুন কোচ নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র জ ল ফ টবল ব শ বক প ব ছ ই স ব এফ
এছাড়াও পড়ুন:
সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে
সুদ পরিশোধে সরকারের ব্যয় বাড়ছে। এ ব্যয় বহন করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাজেটে সরকারের সুদ পরিশোধ সংক্রান্ত পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, আগামী বছরগুলোতে সুদ ব্যয় ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে।
পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ১৫ ভাগ অর্থই সুদ খাতে খরচ করতে হচ্ছে এখন। এ পরিস্থিতিতে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতেই ব্যয় করতে হবে চার লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। পাঁচ অর্থবছরের ব্যবধানে সুদ ব্যয় বাড়ছে ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে শতাংশের হিসাবে বৈদেশিক ঋণের সুদ ব্যয় সবচেয়ে বেশি বাড়বে।
অর্থ বিভাগের করা ‘মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি-২০২৫-২০২৬ থেকে ২০২৭-২০২৮’ এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হয়েছিল এক লাখ ১৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ খাতে সুদ ব্যয় ছিল ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় গেছে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে (যা চলতি জুনের ৩০ তারিখে শেষ হয়ে যাবে) মূল বাজেটে সুদ খাতে ব্যয় বরাদ্দ ছিল এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বছর শেষে এই সীমায় সুদ ব্যয় ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ফলে সংশোধিত বাজেটে এ খাতে ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয়েছে এক লাখ ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ হিসাবের মধ্যে ছিল অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ব্যয় ৯৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং বিদেশী ঋণের ২২ হাজার কোটি টাকা।
একইভাবে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়েরও একটি প্রক্ষেপণ করেছে অর্থ বিভাগ। এই হিসেবে দেখা যায় আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হবে এক লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা (অভ্যন্তরীণ এক লাখ কোটি টাকা , বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় ২২ হাজার কোটি টাকা)। একইভাবে এর পরের অর্থবছর ২০২৬-২০২৭ অর্থবছরে একলাখ ৩৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা(অভ্যন্তরীণ এক লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের ২৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা) এবং ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়ের প্রক্ষেপণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, মোট সুদ ব্যয়ের সিংহভাগই অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে এক লাখ ২৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা গিয়ে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু মোট বাজেটের অনুপাতে অভ্যন্তরীণ সুদ পরিশোধের হার ২০২৩ -২০২৪ অর্থবছরে ১৬ দশমিক ২৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশে হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ মোট সুদ ব্যয়ের তুলনায় কম, তবে এটি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ফলে এটি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ২৭ হাজার ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত হতে পারে। মোট বাজেটের অনুপাতে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ এ সময়কালে ২ দশমিক ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।
বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধের কার্যকর ব্যবস্থাপনা শুধু আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই নয়, বরং এটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রক্ষা, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা, আন্তর্জাতিক ঋণমান বজায় রাখা এবং ভবিষ্যতের উন্নয়ন সম্ভাবনা সুরক্ষিত রাখার জন্য অপরিহার্য।