পুলিশের সামনেই দোকানে লুটপাটের অভিযোগ
Published: 27th, March 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে জমিতে মালিকানা দাবি করে এক ব্যবসায়ীর দোকানে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৭ ফেব্রুয়ারি ওই দোকান থেকে উচ্ছেদ করা হয় তাঁর ভাড়াটিয়াকে। এ জন্য প্রতিপক্ষকেই দায়ী করেছেন ভুক্তভোগী মানিক বণিক। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ লুটপাটের সময় নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল।
বৃহস্পতিবার জেলা শহরের পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে থাকতে চাই, আমি বাংলাদেশের নাগরিক। আমার মাতৃভূমি আমার সব। সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে আকুল আবেদন, আমি আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই এবং প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতা চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০০০ সালের ১৯ জুন বণিকপাড়ার মানিক বণিকের বাবা নিতাই চন্দ্র বণিক পাশের সোনাই দীঘিরপাড় এলাকার আব্দুল হেকিমের কাছ থেকে অষ্টগ্রাম বড় বাজারে আধা শতাংশ জায়গাসহ দোকানটি কেনেন। নামজারির পর তারাই প্রতিবছর খাজনা দিচ্ছেন। ক্রেতা নিতাই বণিক ও বিক্রেতা আব্দুল হেকিম মারা গেছেন। তাঁরা জীবিত থাকতে কখনও দোকান নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি।
দোকান কেনার ২৫ বছর পর গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকে মানিক বণিককে হুমকি দেওয়া শুরু করেন আব্দুল হেকিমের ছেলে জয় মিয়া, দানা মিয়া ও ওয়াজ মিয়া। তারা পাঁচ লাখ টাকা ধার চায়। এতে অস্বীকৃতি জানালে ৭ ফেব্রুয়ারি কিছু সন্ত্রাসী নিয়ে মানিক বণিকের দোকানের ভাড়াটিয়া গ্রাম-বাংলা টেলিকম সেন্টারের মালিক জসিম উদ্দিনকে সেখান থেকে বের করে দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়। প্রতিবাদ করতে গেলে মানিককে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। স্থানীয় প্রশাসন ও থানায় অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি তিনি।
মানিকের অভিযোগ, গত বুধবার স্বাধীনতা দিবসের সকালে তাঁর দোকানের তালা ভেঙে প্রতিপক্ষের লোকজন লুটপাট চালিয়েছে। সেখানে পুলিশ থাকলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো বাড়িতে হামলারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এখন তিনি পরিবার নিয়ে আতঙ্কে আছেন।
তাঁর ভাষ্য, ‘আমি যদি আজ মানিক বণিক না হয়ে মানিক মিয়া হইতাম, তাহলে তারা কখনোই জোরপূর্বক আমার দোকানঘরের ভাড়াটিয়া জসিমকে বের করে তালাবদ্ধ করতে পারত না।’
এ বিষয়ে জয় মিয়ার দাবি, মানিক বণিকদের কাছে আধা শতাংশ জায়গা বিক্রি করা হলেও তারা বেশি জায়গা দখলে রেখেছেন। বাড়তি জায়গা ছেড়ে দিতে অনেকবার বলেছেন। কিন্তু মানিকরা ছাড়ছেন না। এ কারণেই তালা দেওয়া হয়েছে।
জয় মিয়ার দাবিকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে মানিক বণিক বলেন, যে আধা শতাংশ জায়গা তাঁর বাবা কিনেছিলেন, সেখানে আধা শতাংশের চেয়েও কম আছে। দলিলে অন্যভাবে লেখা আছে, দৈর্ঘ্যে সাড়ে ১৬ হাত, প্রস্থে ৮ হাত। কিন্তু এখন আছে দৈর্ঘ্যে ১৫ হাত, আর প্রস্থে ৭ হাত।
অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দুই মাস ফ্রিজে রাখার পর মামুনের মাথায় খুলি পুনঃস্থাপন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার মাথায় খুলি প্রায় দুই মাস ফ্রিজে সংরক্ষণ করার পর সফলভাবে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে খুলি পুনঃস্থাপন করেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মামুন মিয়ার মাথায় সফলভাবে অপারেশন করা হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ আছেন।
গত ৩০ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন মামুন মিয়া।
চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশের পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ টি এম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, চবিতে সংঘর্ষের দিন গুরুতর আহত অবস্থায় মামুন মিয়াকে পার্কভিউ হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সেই থেকে তিনি এখানে চিকিৎসাধীন আছেন। অপারেশনের সময় তার মাখার খুলি খুলে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস পর সফল অপারেশনের মাধ্যমে শনিবার মামুনের মাথার খুলি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।
গত ৩০ আগস্ট তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। এতে মামুনসহ চবির অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থী আহত হন। মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে মামুনের মাথার খুলি খুলে রেখে দেওয়া হয়েছিল।
ঢাকা/রেজাউল/রফিক