কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে জমিতে মালিকানা দাবি করে এক ব্যবসায়ীর দোকানে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৭ ফেব্রুয়ারি ওই দোকান থেকে উচ্ছেদ করা হয় তাঁর ভাড়াটিয়াকে। এ জন্য প্রতিপক্ষকেই দায়ী করেছেন ভুক্তভোগী মানিক বণিক। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ লুটপাটের সময় নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল।
 
বৃহস্পতিবার জেলা শহরের পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে থাকতে চাই, আমি বাংলাদেশের নাগরিক। আমার মাতৃভূমি আমার সব। সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে আকুল আবেদন, আমি আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই এবং প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতা চাই।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০০০ সালের ১৯ জুন বণিকপাড়ার মানিক বণিকের বাবা নিতাই চন্দ্র বণিক পাশের সোনাই দীঘিরপাড় এলাকার আব্দুল হেকিমের কাছ থেকে অষ্টগ্রাম বড় বাজারে আধা শতাংশ জায়গাসহ দোকানটি কেনেন। নামজারির পর তারাই প্রতিবছর খাজনা দিচ্ছেন। ক্রেতা নিতাই বণিক ও বিক্রেতা আব্দুল হেকিম মারা গেছেন। তাঁরা জীবিত থাকতে কখনও দোকান নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি।

দোকান কেনার ২৫ বছর পর গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকে মানিক বণিককে হুমকি দেওয়া শুরু করেন আব্দুল হেকিমের ছেলে জয় মিয়া, দানা মিয়া ও ওয়াজ মিয়া। তারা পাঁচ লাখ টাকা ধার চায়। এতে অস্বীকৃতি জানালে ৭ ফেব্রুয়ারি কিছু সন্ত্রাসী নিয়ে মানিক বণিকের দোকানের ভাড়াটিয়া গ্রাম-বাংলা টেলিকম সেন্টারের মালিক জসিম উদ্দিনকে সেখান থেকে বের করে দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়। প্রতিবাদ করতে গেলে মানিককে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। স্থানীয় প্রশাসন ও থানায় অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি তিনি।

মানিকের অভিযোগ, গত বুধবার স্বাধীনতা দিবসের সকালে তাঁর দোকানের তালা ভেঙে প্রতিপক্ষের লোকজন লুটপাট চালিয়েছে। সেখানে পুলিশ থাকলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো বাড়িতে হামলারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এখন তিনি পরিবার নিয়ে আতঙ্কে আছেন। 

তাঁর ভাষ্য, ‘আমি যদি আজ মানিক বণিক না হয়ে মানিক মিয়া হইতাম, তাহলে তারা কখনোই জোরপূর্বক আমার দোকানঘরের ভাড়াটিয়া জসিমকে বের করে তালাবদ্ধ করতে পারত না।’

এ বিষয়ে জয় মিয়ার দাবি, মানিক বণিকদের কাছে আধা শতাংশ জায়গা বিক্রি করা হলেও তারা বেশি জায়গা দখলে রেখেছেন। বাড়তি জায়গা ছেড়ে দিতে অনেকবার বলেছেন। কিন্তু মানিকরা ছাড়ছেন না। এ কারণেই তালা দেওয়া হয়েছে। 

জয় মিয়ার দাবিকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে মানিক বণিক বলেন, যে আধা শতাংশ জায়গা তাঁর বাবা কিনেছিলেন, সেখানে আধা শতাংশের চেয়েও কম আছে। দলিলে অন্যভাবে লেখা আছে, দৈর্ঘ্যে সাড়ে ১৬ হাত, প্রস্থে ৮ হাত। কিন্তু এখন আছে দৈর্ঘ্যে ১৫ হাত, আর প্রস্থে ৭ হাত। 

অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

রুহুল আমিন জানিয়েছেন, প্রয়াত আব্দুল হেকিমের কাছ থেকে মানিক বণিকদের পাশেই হুমায়ুন মিয়া নামে আরেকজন দেড় শতাংশ জায়গা কিনেছিলেন। তাঁর দখলে জায়গা কম। তিনি আদালতে বাটোয়ারা মামলা করেছেন। হেকিমের ছেলেদের তিনি দোকান দখল না করতে বলেছেন। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সব পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আহ্বান জানান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ ল টপ ট

এছাড়াও পড়ুন:

তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।

উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।

ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।

এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ