ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং কর্তৃক শেয়ার করা এক ভিডিও বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সকলকে আনন্দময় ঈদ মোবারক জানাচ্ছি। আশা করি ঈদের সময়, আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে আপনাদের বাড়িতে যেতে পারবেন এবং আপনাদের পরিবারের সঙ্গে আনন্দের সাথে ঈদ উদযাপন করবেন।’ 

তিনি দেশের জনগণকে তাদের আত্মীয় স্বজনের কবর জিয়ারত করা, দরিদ্র পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া এবং তাদের ভবিষ্যৎ কীভাবে উন্নত করা যায় সে সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করার আহ্বান জানান। খবর বাসসের 

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আপনার সন্তানদের আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন- এটাই আমার ইচ্ছা।
 
এছাড়াও, তিনি ঈদের নামাজের সময় যেকোনো মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, পরাজিত শক্তির সব উস্কানির মুখে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ় থাকার আহ্বান জানান।

অধ্যাপক ইউনূস প্রার্থনা করেন যে, সকলের জীবন অর্থপূর্ণ ও আনন্দে ভরে উঠবে। আল্লাহ আমাদের সকলকে সাহায্য করবেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড ইউন স

এছাড়াও পড়ুন:

দখল-দূষণে বিপন্ন লক্ষ্মীপুরের খাল ও নদী উদ্ধারে অভিযান

লক্ষ্মীপুরের খাল ও নদী দখল-দূষণে বিপন্নপ্রায়। এ কারণে আসছে বর্ষায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ১০ দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনার কর্মসূচি নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে জেলা শহরের মাদাম ব্রিজ এলাকায় রহমতখালী খাল পরিচ্ছনতা কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। 

পৌর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও পৌর প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদ আলম রানা, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ ফারাবী প্রমুখ।

আরো পড়ুন:

পদ্মায় টর্নেডো, ভিডিও ভাইরাল

বন্ধুদের সঙ্গে পদ্মায় নেমে স্কুলছাত্র নিখোঁজ

পৌর প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতা থেকে সকলকে রক্ষায় এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সবার সহযোগিতায় সফল অভিযান সম্পন্ন হলে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি মশার উপদ্রব থেকেও পৌরবাসী রক্ষা পাবে। 

এ সময় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, খাল-নদী দখল ও দূষণরোধে একযোগে ১০ দিনব্যাপী পুরো জেলায় অভিযান চলবে। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী কর্ম পরিকল্পনায় কাজ করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে অভিযান পরিচালনার। স্থানীয় এলাকাবাসী, তরুণ প্রজম্মসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ অভিযানে সহায়তা করার আহ্বান জানান তিনি। 

অভিযানের ফলে আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতা থেকে সকলকে রক্ষা ও কৃষকের ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জেলা প্রশাসক।  

লক্ষ্মীপুরে মেঘনা, ডাকাতিয়া ও ভুলুয়া নদী এবং রহমতখালী, বীরেন্দ্রখালসহ অনেক খাল ও নদী রয়েছে। জেলায় ১১৮ বর্গকিলোমিটার নদীপথ রয়েছে। নদীপথ জেলার মোট আয়তনের ২৩ শতাংশ। এর মধ্যে ডাকাতিয়া নদীর ৫৭টি পয়েন্ট, রহমতখালী খালের অর্ধশতাধিক ও ভুলুয়া নদীর ৩৭টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্থানে পর্যায়ক্রমে অভিযান চলবে।

ঢাকা/লিটন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দখল-দূষণে বিপন্ন লক্ষ্মীপুরের খাল ও নদী উদ্ধারে অভিযান