এক মাস সিয়াম সাধনার পর সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ঢাকা ছেড়েছেন অনেক মানুষ। তাই, ঈদের দিনে রাজধানীর সড়কগুলো বেশ ফাঁকা। সড়কে গণপরিবহন কম। এ সুযোগে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশার চালকরা ঈদ বোনাসের নামে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছেন। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা। 

সোমবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তায় কোনো যানজট নেই। রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মূল রাস্তা থেকে শুরু করে অলি-গলি।

মিরপুর মাজার রোড থেকে সংসদ ভবন এলাকায় যাবেন রবিন হোসেন। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, আটটি সিএনজি অটোরিকশার চালকের সঙ্গে কথা বলেছি।  বেশি ভাড়া না দেওয়ায় কেউ যেতে চাইছেন না। রাস্তা ফাঁকা, তবু ৩০০ টাকার ভাড়া ৫০০ টাকা চাচ্ছেন চালকরা। ৩৫০ টাকা দিতে চেয়েছি, তবু তারা যাবেন না।

সিএনজি অটোরিকশার চালক রোহান বলেন, সবার ছুটি আছে, আমাদের ছুটি নাই। ঘরে ছেলে-মেয়ে রেখে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে বের হয়েছি। ঈদের সময় একটু বোনাস না দিলে চলবে কীভাবে?

এদিকে, মোড়ে মোড়ে লোকাল বাস থাকলেও যাত্রী কম। ফলে, একই জায়গায় অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে বাসগুলোকে।

মাজার রোড এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক রকির সঙ্গে। তিনি বলেন, ঘরে ছেলে-মেয়ে চার জন আছি। ঈদের দিন দুইডা টাকা বেশি না দিলে কী করে চলমু। চুয়াডাঙ্গা  জেলায় আমার বাড়ি। রিকশা চালিয়ে বাড়িতে টাকা পাঠাই, মামা; সেই টাকায় সংসার চলে।

ঢাকার রাস্তাগুলোতে যানবাহনের চাপ কম থাকায় ব্যস্ততা নেই ট্রাফিক পুলিশের। ফাঁকা রাস্তায় এলোমেলোভাবে চলছে যানবাহন।

ঢাকা/এএএম/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স এনজ

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে অঝোরে বৃষ্টি, রাস্তায় পানি, আশঙ্কা পাহাড়ধসের

চট্টগ্রাম নগরে আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে নগরের কয়েকটি এলাকায় পানি জমে গেছে। ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ভোর পাঁচটার দিকে চট্টগ্রামে বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল ৯টা নাগাদ বৃষ্টির তীব্রতা বেড়ে যায়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি ঝরছে।

টানা বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম নগরের সড়কগুলোয় যানবাহনের সংখ্যা বেশ কম দেখা গেছে। ব্যস্ততম মোড়গুলোয় যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশা আর রিকশাও ছিল কম। এতে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী মানুষজন। এ ছাড়া সন্তানদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ে যেতে যেসব অভিভাবক বাইরে বের হয়েছেন, তাঁদেরও দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা যায়। দীর্ঘ সময় পর যানবাহন পেলেও অনেকে বাড়তি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে ছোটেন।

আবহাওয়ায় অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের পতেঙ্গা কার্যালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা) চট্টগ্রামে ৫৭ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আরও দুই থেকে তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামে পাহাড় ও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সড়কে পানি জমেছে। এ কে খান সি–গেট এলাকা, চট্টগ্রাম, ৩১ জুলাই, সকাল সাড়ে ১০টায় তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ