আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে পাঁচটি সমন্বয় ও তদারকি কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বৃহস্পতিবার ইসির উপসচিব মো. শাহ আলম স্বাক্ষরিত পাঁচটি অফিস আদেশে এসব কমিটি করার তথ্য জানানো হয়েছে।

অফিস আদেশ অনুযায়ী, চারজন নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে এই কমিটিগুলো আইনশৃঙ্খলা; মাঠ প্রশাসন; ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ; নির্বাচনী আইন, বিধি, প্রবিধি ও নীতিমালা এবং নির্বাচনী তদারকি (ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি) কমিটি; প্রবাসী ভোট ও দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক বিষয়গুলো কাজ করবে।

প্রতিটি কমিটিতে একজন নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে সাতজন করে সদস্য রাখা হয়েছে।

অফিস আদেশের তথ্যমতে, আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব) আবুল ফজল মো.

সানাউল্লাহ। তিনি একইসঙ্গে প্রবাসী ভোট এবং দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক সমন্বয় কমিটির সভাপতির দায়িত্বও পালন করবেন।

ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কমিটির নেতৃত্ব দেবেন নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমদ। নির্বাচনী আইন, বিধি, প্রবিধি ও নীতিমালা এবং নির্বাচনী তদারকি (ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি) কমিটির নেতৃত্ব দেবেন নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ। আর মাঠ প্রশাসন সমন্বয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কম ট র

এছাড়াও পড়ুন:

দশ মাসে ২৬ খুনের ২২টির তদন্ত শেষ, গ্রেপ্তার ৮৪

খুলনায় গত ১০ মাসে ২৬টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এর মধ্যে নদীতে ভেসে আসা দুটি লাশের বিষয়ে নৌ পুলিশ তদন্ত করছে। অন্য ২৪টির হত্যাকাণ্ডের মধ্যে রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে ২২টির। এসব মামলায় এজাহারভুক্ত ৪৬ আসামিসহ ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মামলাগুলোর তদন্ত শেষ পর্যায়ে। 

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার। তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি ৭টি হত্যা হয়েছে মাদক বিক্রি সংক্রান্ত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে। এ ছাড়া ইজিবাইক ও ভ্যান চুরি নিয়ে ৫টি এবং নারী-পুরুষের সম্পর্কের কারণে ৫টি হত্যা সংঘটিত হয়েছে। এর বাইরে তালিকাভুক্ত ১০ শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ ২৪ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গুলি ও মাদক।

খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে ঘুরেফিরে কমিশনারের পদত্যাগ দাবির প্রসঙ্গ উঠে আসে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পুলিশের চাকরিতে পদত্যাগের সুযোগ নেই। কর্তৃপক্ষ চাইলে আমাকে বদলি করতে পারে। সে জন্য আমি প্রস্তুত। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং পরিস্থিতি উন্নতির জন্য পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে। চাপ দেওয়া বা দাবি আদায়ের নামে পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করা সমীচীন হবে না। পুলিশকে দূরে ঠেলে দেবেন না। মনোবল ভেঙে গেলে পুলিশ আর কাজ করতে পারবে না।

জুলফিকার আলী জানান, খুলনা শহরে ২০ থেকে ২২ হাজার ইজিবাইক চলাচল করে। ধারণা করা হয়, এর প্রায় ৬০ শতাংশ প্রতিদিন বাইরে থেকে শহরে প্রবেশ করে। ইজিবাইক চালকরা ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন না হওয়ায় যানজটের কারণ হয়ে ওঠে। কেএমপির উদ্যোগে এ পর্যন্ত সাড়ে ছয় হাজার ইজিবাইক চালককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বাকিদের তিন থেকে চার মাসের মধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হবে। এ ছাড়া খুলনার সব ইজিবাইককে দুই রঙে বিভক্ত করে রং অনুযায়ী এক দিন বাদে এক দিন চলাচলের ব্যবস্থা করা বিষয়ে ভেবে দেখা যেতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খান, উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) আবু তারেক, উপপুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ও উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) সুদর্শন কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন।


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জঙ্গিবাদ বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে মার্কিন দূত
  • লটারির মাধ্যমে নির্বাচনী দায়িত্ব পাবেন ডিসি-এসপিরা
  • লটারির মাধ্যমে নির্বাচনী দায়িত্ব পাবেন ডিসি-এসপিরা: শফিকুল আলম
  • তিন নির্বাচনে দায়িত্বপালন করা কর্মকর্তাদের এবার সরিয়ে রাখার চিন্তা
  • ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
  • ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ
  • প্রয়োজন সর্বাত্মক অভিযান
  • দশ মাসে ২৬ খুনের ২২টির তদন্ত শেষ, গ্রেপ্তার ৮৪