যে পেশা ছাড়া প্রায় সব এআই দখল করে নেবে
Published: 2nd, April 2025 GMT
মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস নানা ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য আলোচিত। সম্প্রতি তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ও মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ কিছু ভাবনার কথা প্রকাশ করেছেন। বিল গেটস মনে করেন, ভবিষ্যতে এআই অনেক কিছুই দখল করে নেবে। তাঁর ধারণা, কিছু কাজে এআই পারদর্শী হলেও কিছু ক্ষেত্রে মানুষেরও প্রয়োজন হবে। ২০২২ সালে ওপেনএআই চ্যাটজিপিটি চালু করার পর থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের চিন্তা ও কাজের ধরন বদলে দিচ্ছে। গুগলের জেমিনি, মাইক্রোসফটের কোপাইলট, ডিপসিকের মতো এআই চ্যাটবট এখন নানা কাজের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। যতই দিন এগোচ্ছে, এআই চ্যাটবট শক্তিশালী হচ্ছে। এতে বিভিন্ন খাতে এআই অনেক মানুষ চাকরি হারাতে পারে বলে বাজার বিশ্লেষকেরা মনে করেন। অনেক জায়গায় মানুষের কাজ কমার নজিরও দেখা যাচ্ছে।
সম্প্রতি মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রায় সব কাজে মানুষের জায়গা দখলে নেবে। এখন বিশ্বজুড়ে প্রায় প্রতিষ্ঠানই এআই প্রযুক্তি নিজেদের কাজে ব্যবহার করছে। এআইয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সামনের সময়ে বেশ কয়েকটি পেশায় পরিবর্তন আসবে না বলে জানিয়েছেন বিল গেটস।
অনেক প্রযুক্তিবিদের মধ্যে এনভিডিয়ার জেনসেন হুয়াং, ওপেনএআইয়ের স্যাম অল্টম্যান ও সেলসফোর্সের সিইও মার্ক বেনিওফের মতো ব্যক্তিরা মনে করছেন, কোডাররা প্রথম চাকরি হারাবেন। তবে বিল গেটস মনে করেন, এই চাকরি পরিবর্তনের প্রক্রিয়ায় মানুষের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। বিল বলেন, এআই কখনোই জীববিজ্ঞানী বা বায়োলজিস্টদের জায়গা নিতে পারবে না। রোগনির্ণয়, ডিএনএ বিশ্লেষণের মতো কাজে এআই সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের জন্য প্রয়োজনীয় সৃজনশীলতার অভাব রয়েছে এআইয়ের। গেটস আরও মনে করেন, এআই জ্বালানি বিশেষজ্ঞদেরও জায়গা নিতে পারবে না। এই ক্ষেত্র পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় করার কাজ এখনো অনেক জটিল।
সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিদিন জেনারেটিভ এআই আরও শক্তিশালী হচ্ছে। প্রযুক্তিব্যক্তিত্বরা বারবার এআই নিয়ে সতর্ক করছেন। মানুষের কাজের ওপর এআইয়ে বিশাল প্রভাব নিয়ে আলাপ চলছে। কিছু ক্ষেত্রে এআই মানুষের বুদ্ধিমত্তাকেও ছাড়িয়ে যাবে, পরিস্থিতি তখন অন্য রকম হবে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব দ ধ মত ত ব ল গ টস
এছাড়াও পড়ুন:
মানুষের মস্তিষ্কের চেয়েও শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি তৈরি করতে চায় মেটা
মানুষের মস্তিষ্কের চেয়েও শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি, অর্থাৎ ‘সুপার ইন্টেলিজেন্স’ তৈরি করতে চায় মেটা। এ জন্য স্কেল এআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী আলেক্সান্দ্র ওয়াংকের সহায়তায় নতুন গবেষণাগার তৈরি করতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানটি। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির গবেষণাগার চালুর জন্য কয়েক শ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে। শুধু তাই নয়, স্কেল এআইয়ের বেশ কিছু কর্মীকেও মোটা অঙ্কের বেতনে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।
মার্ক জাকারবার্গের নেতৃত্বে এক দশক ধরেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করছে মেটা। ২০১৩ সালে ডিপমাইন্ড অধিগ্রহণ করতে না পেরে মার্ক জাকারবার্গ মেটার জন্য প্রথম পূর্ণাঙ্গ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণাগার গড়ে তোলেন। বর্তমানে মেটার এআই গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ২০১৮ সালের টুরিং পুরস্কারজয়ী বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন। নিউরাল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির পথিকৃৎ এই বিজ্ঞানী মনে করেন, বর্তমানে প্রচলিত প্রযুক্তি দিয়ে সাধারণ বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এআই (এজিআই) তৈরি সম্ভব নয়; এ জন্য একেবারে নতুন ধরনের কাঠামো ও ধারণার প্রয়োজন।
মেটা ইতিমধ্যে বেশ কিছু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর পণ্য বাজারে এনেছে। ‘মেটা এআই’ নামের চ্যাটবট এখন ব্যবহৃত হচ্ছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং রে-ব্যান স্মার্ট চশমায়। গত মে মাসে জাকারবার্গ জানান, বর্তমানে প্রতি মাসে শতকোটির বেশি মানুষ মেটা এআই ব্যবহার করছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে আলেক্সান্দ্র ওয়াং ও লুসি গুও মিলে স্কেল এআই প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তী সময়ে লুসি গুও প্রতিষ্ঠান থেকে বরখাস্ত হন। শুরুতে ওপেনএআই, মাইক্রোসফট, কানাডাভিত্তিক কোহিয়ারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এআই প্রযুক্তি উন্নয়নে সহায়তা করত। তবে সাম্প্রতিক সময়ে স্কেল এআই বিভিন্ন দেশের করপোরেট ও সরকারি সংস্থার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস