সাতক্ষীরার আশাশুনিতে মদপানে অসুস্থ হয়ে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২ এপ্রিল) ভোররাতে তাদের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন- উপজেলার কাঁদাকাটি ইউনিয়নের মিত্র তেতুলিয়া গ্রামের সোহরাব গাজীর ছেলে নাজমুল গাজী (২৫) ও জাফর খাঁর ছেলে টিটু খাঁ (৩৩)।

এর আগে, গত সোমবার ঈদের রাতে ১৫ থেকে ২০ জন বন্ধু মিলে একসঙ্গে মদপানে করেন। পরদিন অসুস্থ হয়ে পড়েন ১১ জন। এর মধ্যে, আজ দুজন মারা গেছেন। আহতদের মধ্যে পাঁচজন স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকি চারজন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসর (আরএমও) ডা.

প্রসন কুমার বলেন, ‘‘মদপানে অসুস্থ একজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা গেছেন। আরেকজন অন্য হাসপাতালে মারা গেছেন।’’

আশাশুনি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ বলেন, ‘‘মদপানে মৃত দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/শাহীন/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মদপ ন

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ