রাজধানীতে ছিনতাইকারীর ছুরি ও চাপাতির আঘাতে আহত ৩
Published: 2nd, April 2025 GMT
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদপুর ও মীরহাজিরবাগে ছিনতাইকারীদের ছুরি ও চাপাতির আঘাতে তিন ব্যক্তি আহত হয়েছেন। দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। এক জন প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ শেষে বাসায় ফিরে গেছেন।
আহতরা হলেন—সেন্টমার্টিন সি ভিউ ট্রাভেল এজেন্সির সুপারভাইজার মোহাম্মদ ইমন (২১), ফুডপান্ডার ডেলিভারি ম্যান মানিক মিয়া (১৮) এবং সিএনজি অটোরিকশার চালক পান্নু মাতুব্বর (৪০)। ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (২ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর সায়দাবাদ রেল ক্রসিংয়ের সামনে চার-পাঁচ জন ছিনতাইকারী মোহাম্মদ ইমনকে আক্রমণ করে। তাদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন ইমন। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ইমনকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
ইমনের বন্ধু নাঈম হোসেন বলেন, বুধবার ভোরে মতিঝিলের কর্মস্থল থেকে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে সায়দাবাদ বাস স্ট্যান্ড যাওয়ার পথে সাদাবাদ রেল ক্রসিংয়ের সামনে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন ইমন। তাকে ছুরিকাঘাত করে ব্যাগে থাকা ১০ হাজার টাকা এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। আমরা খবর পেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসি। ইমনের কোমরের নিচে ও ডান উরুতে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। ইমনের বাড়ি বরিশাল জেলার কাউনিয়া থানার কাউনিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম নয়ন মিয়া।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোহাম্মদপুরের ৪০ ফিট এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হন মানিক মিয়া (১৮)। তাকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
মানিকের দুলাভাই মো.
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর মীরহাজিরবাগের ইঞ্জিনিয়ার গলির সামনে ছিনতাইকারীর চাপাতির আঘাতে আহত হন পান্নু মাতুব্বর (৪০)। তাকে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
পান্নু মাতুব্বরের ভাতিজি রুমা আক্তার বলেন, আমার চাচা মঙ্গলবার রাতে সিএনজি অটোরিকশা গ্যারেজে রেখে বাসায় ফেরার পথে মীরহাজিরবাগের ইঞ্জিনিয়ার গলির সামনে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। আমার চাচাকে চাপাতি দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। তিনি রাস্তার ওপর পড়ে থাকলে স্থানীয়রা আমাদেরকে খবর দেন। আমরা চাচাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসি। ছিনতাইকারীরা মাথা, বুক ও পিঠে কুপিয়ে তার কাছে থাকা ২৮ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পান্নু মাতুব্বরের মেয়ে বীথি আক্তার বলেন, আজ আমার আব্বাকে বাসায় নিয়ে এসেছি। তার অবস্থা এখনো ভালো নয়। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আমাদের বিদ্যুৎ বিল ও গ্যাসের বিল গ্যারেজের মালিকের কাছে জমা ছিল। সেই টাকা বাসায় নিয়ে আসার পথে বাবা ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন।
ঢাকা/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ত ব বর ম হ ম মদ র স মন
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।