মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর প্রায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মানুষের দুর্দশা কাটছে না। জাতিসংঘের হিসাবে, ভূমিকম্পে দেশটির অন্তত ৩০ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই থাকছেন খোলা আকাশের নিচে। সবার ভাগ্যে তাঁবুও জোটেনি। কারও কারও ঠাঁই হয়েছে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে। ভূমিকম্পকবলিত এলাকায় খাবার ও সুপেয় পানির তীব্র সংকট চলছে। এই পরিস্থিতিতে রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গত ২৮ মার্চ ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয় মিয়ানমারে। সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী বলছে, ১৯১২ সালের পর মিয়ানমারে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল এটি। ভূমিকম্পে ২ কোটি ৮০ লাখ মানুষের আবাস—এমন একটি অঞ্চল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়িঘর, হাসপাতাল, বিদ্যালয়সহ হাজারো ভবন ধসে পড়েছে। এতে বিস্তীর্ণ এক অঞ্চল পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে।

জাতিসংঘ বলছে, চার বছর আগে শুরু গৃহযুদ্ধের কারণে মিয়ানমারে দুই কোটি মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছেন। এর মধ্যে ভয়াবহ ভূমিকম্প দেশটির মানুষের জীবনে আরও বিপর্যয় ডেকে এনেছে। ভূমিকম্পের পর নতুন করে ৩০ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। দেশটির মধ্য ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ১০ হাজারের বেশি ভবন ধসে পড়েছে, নয়তো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ভূমিকম্পে যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় দুর্গত এলাকাগুলোতে ত্রাণ তেমন যাচ্ছে না। ছবি ও ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ত্রাণ নিয়ে কেউ এলে হুড়োহুড়ি শুরু হচ্ছে মানুষের মধ্যে। উদ্ধার কার্যক্রমও তেমন জোরালো নয়। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় এসব এলাকা থেকে তেমন কোনো খবরও পাওয়া যাচ্ছে না।

ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যাও প্রতিদিন বাড়ছে। গতকাল দেশটির সামরিক সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভূমিকম্পে প্রাণহানি বেড়ে ৩ হাজার ৮৫ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৪ হাজার ৭১৫ জন। এ ছাড়া ৩৪১ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

ভয়াবহ এই দুর্যোগে মিয়ানমারের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশসহ অনেক দেশ। ত্রাণসামগ্রীর পাশাপাশি দেশগুলো মিয়ানমারে উদ্ধারকর্মীদের পাঠিয়েছে। জান্তা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন জানান, ত্রাণ সরবরাহ ও উদ্ধারকাজের জন্য ১৭ দেশ থেকে উদ্ধারকর্মীরা এসেছেন। এসব দেশ থেকে খাবার, পানি ও ওষুধের মতো প্রায় এক হাজার টন ত্রাণসামগ্রী এসেছে।

খোলা আকাশের নিচে পাঁচ দিন

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের ১৬ কিলোমিটার দূরের একটি এলাকায়। ভূমিকম্পে যেসব এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার একটি এটি। জাতিসংঘ বলছে, মান্দালয়ের প্রতি তিনটি ভবনের একটি ধসে পড়েছে।

মান্দালয়ের বাসিন্দা কিয়াইং থিনের বাড়ি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিকম্পের পর কোনোমতে ভবনটি থেকে বের হতে পারলেও এর পর থেকে চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটছে তাঁর। দুই সন্তানের মা কিয়াইং থিন বলেন, ‘শুধু একটা মশারি নিয়ে বাড়ির বাইরে রাস্তায় দিন কাটছে আমাদের। ভূমিকম্পের পর প্রথম দুই দিন আতঙ্কে আমার সন্তানেরা ঘুমাতে পারেনি।’

ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোর একটি সাগাইং। সেখানকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘অনেক মানুষ বাড়িঘর হারিয়েছেন। সড়কে নয়তো মাঠে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটছে তাঁদের। কেউ কেউ নিজের মতো করে মাঠের মধ্যেই ঘর তৈরি করে নিয়েছেন। এই দুর্দশার শেষ কোথায় তা কেউ জানে না।’

ভূমিকম্পের সময় নিজে ভবন থেকে বেরোতে পারলেও মান্দালয়ের বাসিন্দা নান সিন হেইনের ছেলে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েন। ২১ বছরের ছেলের জন্য এর পর থেকে তিনি সেই ভবনের সামনে অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, ‘আশা করি সে বেঁচে আছে, যদিও সেই সম্ভাবনা খুবই কম।’

জান্তা সরকারের কড়াকড়ির কারণে ভূমিকম্পকবলিত এলাকাগুলোতে বিদেশি সাংবাদিকেরা যেতে পারছেন না। তবে পরিচয় গোপন করে মান্দালয়ে গেছেন বিবিসির সাংবাদিক ইয়োগিতা লিমায়ে। বিবিসিতে তিনি লিখেছেন, ভূমিকম্প যে মাত্রার বিপর্যয় ডেকে এনেছে, তার বর্ণনা দেওয়াটা কঠিন।

ইয়োগিতা লিমায়ে লিখেছেন, ‘পাড়া-মহল্লার প্রতিটি রাস্তা-গলিতে অন্তত একটি করে ভবন পুরো ধসে গেছে। প্রতিটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনোটি পুরো কোনোটি আংশিক ধসে গেছে। কোনো কোনো ভবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা যতগুলো এলাকায় গিয়েছি, এমন কোনো ভবন পাইনি যাতে ফাটল ধরেনি।’

রোগের সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি

উদ্ধার কার্যক্রম ও ত্রাণসহায়তায় ধীরগতির মধ্যে ভূমিকম্পে দুর্গত মানুষের জন্য নতুন ঝুঁকি হয়ে উঠেছে রোগবালাই। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থাগুলো বলছে, ভয়াবহ এই দুর্যোগের মধ্যে দেশটিতে চলছে তাপপ্রবাহ। দু-এক দিনের মধ্যে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দুর্গত মানুষের মধ্যে নানা রোগের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিরূপ আবহাওয়া উদ্ধার কার্যক্রমকেও জটিল করে তুলবে।

গতকাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, মান্দালয়, সাগাইং ও রাজধানী নেপিডোর মতো ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোয় কলেরাসহ নানা রোগের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ছে।

ডব্লিউএইচওর মিয়ানমার কার্যালয়ের উপপ্রধান এলেনা ভুওলো গতকাল বলেন, ভয়াবহ এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি বিরূপ আবহাওয়ায় ভূমিকম্পকবলিত এলাকায় নানা রোগের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষ করে কলেরা নিয়ে উদ্বেগ বেশি। এ ছাড়া ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর মতো রোগের সংক্রমণও ছড়িয়ে পড়ার উচ্চ ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

ভূমিকম্পে হাসপাতাল, ক্লিনিকসহ বহু স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করেন এলেনা ভুয়োলো। নেপিডোতে ভূমিকম্পকবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভূমিকম্পকবলিত এলাকারগুলোর প্রায় অর্ধেক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মান্দালয় ও নেপিডোতে অনেক হাসপাতাল ধসে পড়েছে। রোগের সংক্রমণ ছড়াতে থাকলে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের অপর্যাপ্ততার কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে।

মিয়ানমারে ডব্লিউএইচওর এই উপপ্রধান বলেন, ভূমিকম্পের পর থেকে মানুষ ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে খোলা আকাশের নিচে থাকছেন। সবাই অস্থায়ীভাবে থাকার জন্য তাঁবুও পাননি। অনেক হাসপাতালকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। এর মধ্যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, আগামী রোববার থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এটা হলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।

মিয়ানমারে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আবাসিক প্রতিনিধি টিটন মিত্র গতকাল ভূমিকম্পে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সাগাইংয়ে যান। সেখান থেকে মুঠোফোনে রয়টার্সকে বলেন, ‘শুনলাম দু-এক দিনের মধ্যে ভারী বৃষ্টি শুরু হতে পারে। যদি তা হয়, তাহলে পরিস্থিতি হবে আরও ভয়াবহ। ভূমিকম্পে অসংখ্য মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। খোলা আকাশের নিচে ও রাস্তায় তাঁবু গেড়ে বা অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে থাকছেন তাঁরা। এর মধ্যে বৃষ্টি শুরু হলে সত্যিকার অর্থেই সেটা এক বড় সংকট হয়ে দেখা দেবে। এতে পানিবাহিত নানা রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়বে।

মিয়ানমারে জাতিসংঘের ত্রাণ ও মানবিক সহায়তাসংক্রান্ত সংস্থার (ওসিএইচএ) প্রধান মারকোলুইগি কোরসি বলেন, ‘ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানি হয়েছে এবং তা বেড়েই চলেছে। প্রাথমিকভাবে যা জানা যাচ্ছে, তাতে বলা যায়, বিপুলসংখ্যক মানুষ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভূমিকম্পের প্রভাব কতটা ব্যাপক, তা নির্ণয় করতে আমরা এখনো তথ্য সংগ্রহ করে চলেছি। তবে আপাতত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর জন্য খাবার-পানি ও থাকার বন্দোবস্ত করাটা জরুরি।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ ম কম প র প স ত হয় ছ পর স থ ত এল ক য় হয় ছ ন র জন য ও জট ল সবচ য় গতক ল র একট

এছাড়াও পড়ুন:

দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না

মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেছেন, এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।

আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বারের হলরুমে ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার সংকট ও আইনি প্রতিকার পাওয়ার পথ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেড আই খান পান্না। সেমিনারটির আয়োজন করে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম), বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।

বক্তব্যে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘এখানে সংখ্যালঘুর কথা বলা হচ্ছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখন আমি সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু। আজ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা দেখি, জুতা দিয়ে বাড়ি দিতে দেখি, কিন্তু কিছু করতে পারি না। তাই আমি সবচেয়ে বড় অসহায়।’

এসব কথা বলতে বলতে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না কেঁদে ফেলেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, জীবনে কখনো জেনে-বুঝে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করেন, তাঁদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

জেড আই খান পান্না আরও বলেন, ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, কারও সঙ্গে এর তুলনা চলে না। এটা সাম্প্রদায়িকতার দেশ না। সংবিধানে যেন কেউ হাত না দেয়। সরকারের অনেকেই বিদেশি হয়েও স্বদেশি ভাব দেখাচ্ছেন।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার যেন নিঃশেষ হয়ে গেছে। সমাজে ন্যায়বিচার বা সুবিচার পাওয়ার কথা থাকলেও তা মিলছে না। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচার হয় না। কেউ কেউ ধরা পড়লেও পরে বেরিয়ে যায়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুমন কুমার রায় বলেন, সব সরকারের আমলেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত। বর্তমান নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। সংস্কার কমিশনে সংখ্যালঘুদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা হলেও সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া আসে না, এমনকি দুঃখও প্রকাশ করে না।

গত বছরের ৫ আগস্টের পর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ শুরু হলে তা দমন করতেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করে সুমন কুমার দাবি করেন, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সনাতনী সম্প্রদায়ের বাক্‌স্বাধীনতা বন্ধ করতে, নেতৃত্ব দমন করতে এসব করা হচ্ছে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে কে পাল। সঞ্চালনায় ছিলেন এইচআরসিবিএমের বাংলাদেশ চ্যাপটারের আহ্বায়ক লাকি বাছাড়। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরশেদ ও মো. গোলাম মোস্তফা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ