ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশ ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের রাজধানী সান্তো ডোমিঙ্গোতে মঙ্গলবার একটি নৈশ ক্লাবের ছাদ ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আরও ১৫৫ জন আহত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে চীনের সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া। 

সান্তো ডোমিঙ্গোর জরুরি অপারেশন কেন্দ্রের পরিচালক জুয়ান ম্যানুয়েল মেন্দেজ জানিয়েছেন, উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। 

তিনি এই দুর্ঘটনাকে এমন একটি দুর্ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা কেবল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকেই নয়, সমগ্র জাতিকে শোকের ছায়ায় ডুবিয়ে দিয়েছে।

ডোমিনিকান প্রেসিডেন্ট লুইস আবিনাদার নিহতদের সম্মান জানাতে ৮ এপ্রিল থেকে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন।

মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর জেট সেট নৈশ ক্লাবে একটি পার্টি চলাকালীন ধসের ঘটনা ঘটে। জেট সেট সান্তো ডোমিঙ্গোর একটি সুপরিচিত নৈশ ক্লাব এবং প্রায়শই সপ্তাহজুড়ে লাইভ পারফরমেন্সের আয়োজন করে।

নৈশ ক্লাবটির ছাদ কীভাবে ধসে পড়ল সেটি এখনো জানা যায়নি। ধসের কারণ নির্ধারণের জন্য তদন্ত চলছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাদ ধসের সময় নৈশ ক্লাবটির ভেতর প্রায় ৩০০ জন ছিলেন।

ড্রোন থেকে নেওয়া ফুটেজে দেখা গেছে, ক্লাবটির ছাদের মাঝের অংশ ধসে গর্ত তৈরি হয়েছে। সেখানেই মূলত সবাই ছিলেন। 

একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ব্যান্ড দল গান পরিবেশন করছে। ওই সময় স্টেজের কাছ থেকে একজনকে আঙুল দিয়ে দেখান যে ক্লাবের পেছনে কিছু একটা পড়েছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে ছাদে থাকা লাইটগুলো ধসে পড়তে থাকে। এরপর মুহূর্তের মধ্যে পুরো ছাদটি ধসে পড়ে। ওই সময় মানুষের গোঙানি ও আত্মচিৎকার শোনা যায়। এর কয়েক সেকেন্ড পর ভিডিওটি কালো হয়ে যায়।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে আগুনে পুড়ল ১১টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার সেবারহাটে একটি আসবাবপত্র তৈরির কারখানা, গোডাউনসহ ১১টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে গেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সেনবাগ, চৌমুহনী ও মাইজদীর পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।

ফায়ার সার্ভিস ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেবারহাট বাজারে ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের পাশের একটি কাঠের আসবাবপত্র তৈরির কারখানা থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এরপর আশপাশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

শুরুতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও আশপাশের এলাকার হাজারো মানুষ আগুন নেভাতে এগিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে রাত পৌনে একটার দিকে সেনবাগ ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভাতে শুরু করে। কিন্তু তখন আগুনের ভয়াবহতা বাড়ায় বেগমগঞ্জের চৌমুহনী ও জেলা শহর মাইজদী ফায়ার স্টেশন থেকে আরও তিনটি ইউনিট এসে কাজে যুক্ত হয়। সকাল সাতটায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।

সেবারহাট বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি বাহার উল্যাহ আজ রোববার সকালে প্রথম আলোকে বলেন,  আগুনে আসবাবপত্র তৈরির কারখানা, মেশিনারিজ সামগ্রী, থাই অ্যালুমিনিয়াম পণ্য বিক্রির দোকানসহ কমপক্ষে ১১টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। আগুনে ব্যবসায়ীদের ৩০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

ফায়ার সার্ভিসের সেনবাগ স্টেশনের পরিদর্শক বিল্লাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আসবাবপত্র তৈরির কারখানার বয়লার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে তদন্ত ছাড়া প্রকৃত কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ