ছোট ও বড় পর্দার অভিনেত্রী রুনা খান। বছরজুড়ে কাজ নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করেন। ২০০৯ সালে বিয়ে করে সংসারী হন। পরের বছরই ঘর আলো করে জন্ম নেয় কন্যা রাজেশ্বরী। সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে রুনার ওজন। ৫৬ কেজি থেকে তা গিয়ে দাঁড়ায় ১০৫ কেজিতে। ২০২২ সালে শারীরিকভাবে দারুণ পরিবর্তন এনে চমকে দেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী।

গত কয়েক বছরে বেশ কিছু ফটোশুটে অংশ নিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন রুনা খান। এসব সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর কখনো রূপের দ্যুতি ছড়িয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন, কখনো কুরুচিকর মন্তব্যের শিকার হয়েছেন এই অভিনেত্রী। এবার ‘সূর্য দেবী’ রূপে ক্যামেরাবন্দি হয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের শিকার হলেন রুনা।

আরো পড়ুন:

‘আমি আমার মেয়েদের সঙ্গে আরো বেশি দিন বাঁচতে চাই’

বিজ্ঞাপনচিত্রে ফজলুর রহমান বাবু

গত ১২ সেপ্টেম্বর সোনারগাঁর শিল্পাচার্য জয়নুল লোক ও কারুশিল্প জাদুঘরে অনুষ্ঠিত হয়ে ফ্যাশন শো ‘সোনায় বোনা গল্প’। বড় সরদারবাড়ির খিলানের সামনের জায়গাটি হয়ে ওঠে ফ্যাশন র‍্যাম্প। এতে অংশ নেন রুনা। ‘আমি ঢাকা’ ও ‘বি হিয়ার নাউ’ এর যৌথ উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়। এই কর্সেট পোশাকে ‘সূর্য দেবী’ রূপে ফটোশুটও করেন রুনা খান; সেসব ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাছাড়া রুনা খান তার ফেসবুকে ছবিগুলো পোস্ট করে সমালোচনা আরো উসকে দিয়েছেন।   

মাহফুজা সিদ্দিকা নামে একজন লেখেন, “ছি ছি মানানসই হতে হবে তো।” কটাক্ষ করে মাকসুদা বেগম লেখেন, “হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস, দম ফুরালে ঠুস। তবু তো কারো হয় না একটু খানি হুস’। দিন দিন মানুষের বয়স বারে না কমে বুঝি না। সবাইকে সবকিছু দেখাতে পারলে, এই মহিলা মনে হয় খুশি। এটা ভাবে না সবাইকে সব জিনিস মানায় না। চকচক করিলে যেমন সোনা হয় না। বুড়ি ছুড়ি হতে চায়। সবকিছু দেখিয়ে। হায়রে মানুষের রুচি।” শিশির বিন্দু লেখেন, “উড়ফি জাবেদ বাংলাদেশ।” 

নাসরিন আক্তার লেখেন, “ঘর বানাইছেন ভালো কথা। কিন্তু থাকার জায়গাটা ছোট করে ফেলছেন।” রিক্তা লেখেন, “আমার পছন্দের একজন অভিনেত্রী ছিল। কিন্তু এখন দেখলে ব… আসে। এনাদের মানসিক ডাক্তার দেখানো উচিত।” লাকী লেখেন, “রুনা খান আমার খুব পছন্দের অভিনেত্রী ছিলেন, দিন দিন তার অশ্লীলতা বেড়েই যাচ্ছে। একজন পছন্দের অভিনেত্রীর এই ধরনের কর্মকাণ্ড সত্যিই খুব দুঃখজনক।” 

রুনা খানকে এমন পোশাকে দেখে কেউ কেউ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, ছবিগুলো এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) দিয়ে তৈরি কি না! যদিও এসব ছবি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি নয় বলে জানিয়েছেন রুনা খান নিজেই।

রুনা খান তার এসব ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করার আগেই তা বিভিন্ন গ্রুপে ছড়িয়ে পড়ে। তবে নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করেননি এই অভিনেত্রী। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

জবি ছাত্র জোবায়েদ হত্যা মামলায় ২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জোবায়েদ হোসেন হত্যা মামলায় দুইজন সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দীন তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

আরো পড়ুন:

সখীপুরে মেয়েকে হত্যার পর নিজেকে শেষ করলেন মা

নেত্রকোণায় চালককে হত্যা করে মোটরসাইকেল ছিনতাই

সাক্ষীরা হলেন, জবি শিক্ষার্থী সৈকত হোসেন এবং সালাউদ্দিন স্পেশালাইজড হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াহিদুর রহমান। সৈকত নিহত জোবায়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই এবং ডা. ওয়াহিদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি বর্ষার মামা।

‎মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফ হোসেন সাক্ষীদের জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আবেদন করেন।

‎জবানবন্দিতে সৈকত বলেন, “আমি জবির ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী ও জোবায়েদ ভার্সিটির বড় ভাই। আমি জোবায়েদ ভাইয়ের ক্লোজ ছোট ভাই হওয়াতে বর্ষা আমার নাম্বার জোবায়েদ ভাই থেকে নেয়। মাঝে মাঝে হোয়াটসঅ্যাপ হাই, হ্যালো কথাবার্তা হত। ২-৩ মাস আগে বর্ষা আমাকে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়। তখন থেকে বর্ষার সঙ্গে আমার আর যোগাযোগ হয়নি। জোবায়েদ ভাই প্রায় ১ বছর ধরে বর্ষাকে বাসায় টিউশন পড়াত।”

‎তিনি বলেন, “ভার্সিটি এলাকায় থাকাকালে গত ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টা ৫৮ মিনিটের দিকে বর্ষা তাকে ম্যাসেঞ্জারে ম্যাসেজ দেয়, ‘ভাইয়া কই তুমি?’ আমি জানাই ক্যাম্পাসে। বর্ষা বলে, ‘স্যারের আম্মুর নাম্বার আছে?’ কারণ জানতে চাইলে বর্ষা বলে, ‘লাগবে।’ ভাইয়ের কিছু হয়ছে কি না জানতে চাইলে বর্ষা বলে, ‘ভাইরে (জোবায়দে) কে জানি মাইরা ফেলছে।’ আমি বলি, মাইরা ফেলছে বলতে? বর্ষা বলে, ‘খুন করে ফেলছে।’ তখন বর্ষাকে কল দেওয়ার চেষ্টা করি, কিন্তু তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। এরপর বিষয়টি বড় ভাইদের জানাই।”

‎ডা. ওয়াহিদুর রহমান জবানবন্দিতে বলেন, “গত ১৯ অক্টোবর সাপ্তাহিক নৈশ্যকালীন ডিউটি থাকায় বাসায় অবস্থান করছিলাম এবং ড্রইং রুমে বসে টিভি দেখছিলাম। হঠাৎ আমার স্ত্রীকে দ্বিতীয় তলার চাচাতো ভাই ফোন করে জানায়, সিঁড়িতে কোনো একজন লোক পড়ে আছে। আমরা তখন সঙ্গে সঙ্গে দরজা খুলে দেখি সিঁড়ির মাঝামাঝি একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।”

তিনি বলেন, “তাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে বাড়ির লোকজন জড় হয়ে যায় এবং সেখানে শনাক্ত হয় যে, আমার ভাগ্নি বর্ষার প্রাইভেট টিউটর জুবায়েদের মরদেহ। তাৎক্ষণিক ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে অবহিত করি।”

বর্ষার মামা জানান, পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন তার ভাগ্নি বর্ষার সঙ্গে মাহির নামক এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং জোবায়েদ মাস্টারের সঙ্গেও বর্ষার প্রেম ছিল। এই দ্বন্দ্বের কারণে মাহির রহমান, জোবায়েদ মাস্টারকে হত্যা করে ঘটনার দিন দৌড়ে পালিয়ে যায়।

‎মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, মো. জোবায়েদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করতেন। প্রতিদিনের মতো গত ১৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বংশাল থানাধীন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে নুর বক্স লেনের ১৫ নম্বর হোল্ডিং রৌশান ভিলায় বর্ষাকে পড়ানোর জন্য যান।

সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে ওই ছাত্রী জোবায়েদ হোসেনের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই সৈকতকে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে জানায়, “জোবায়েদ স্যার, খুন হয়ে গেছে। কে বা কারা জোবায়েদ স্যারকে খুন করে ফেলছে।”

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. কামরুল হাসান ৭টার দিকে জোবায়েদের ভাই এনায়েত হোসেনকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তথ্যটি জানান। এনায়েত তার শ্যালক শরীফ মোহাম্মদকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থল রৌশান ভিলায় পৌঁছান। ভবনের নিচতলা থেকে ওপরে ওঠার সময় সিঁড়ি এবং দেয়ালে রক্তের দাগ দেখতে পান। ওই ভবনের তৃতীয় তলার রুমের পূর্ব পার্শ্বে সিঁড়িতে জোবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উপুড় অবস্থায় দেখতে পান।

‎ঘটনার দুইদিন পর ২১ অক্টোবর জোবায়েদের ভাই এনায়েত হোসেন বংশাল থানায় মামলা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে জোবায়েদকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার ডান পাশে আঘাত করে হত্যা করেছে।

‎মামলায় বর্ষা, তার প্রেমিক মো. মাহির রহমান, মাহিরের বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়লান ২১ অক্টোবর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছে।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে প্রাইভেট কার ছিটকে পড়ে একজনের মৃত্যু
  • ফেনীতে পৃথক ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু
  • কামাল সিদ্দিকী: আমলাতন্ত্রের ঘেরাটোপ ভাঙা একজন দেশপ্রেমী
  • চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু
  • গাজার ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণ আফ্রিকায় নিয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানটি আসলে কারা চালাচ্ছে
  • যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রস্তাব, জমি ছাড়তে হবে ইউক্রেনকে
  • এলোমেলো শিক্ষা খাত, বাড়ছে সংকট
  • সৌদি যুবরাজের সমালোচক জামাল খাশোগি যেভাবে মারা হয়েছিলো
  • সলিলের গানের ভেতরেই ছিল মিছিলের স্লোগান
  • জবি ছাত্র জোবায়েদ হত্যা মামলায় ২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ