জাপানের বিখ্যাত মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড ইয়ামাহার উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন মোটরসাইকেলের চাহিদা সবসময়ই বেশি। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ক্রমেই বাড়ছে এই ব্র্যান্ডের চাহিদা। বাংলাদেশে ২০১৬ সালে এসিআই মোটরসের সঙ্গে যাত্রা শুরুর পর থেকে জনপ্রিয় এই মোটরসাইকেল ব্র্যান্ডটির বিক্রি আরও বাড়তে থাকে। এসিআই মোটরস বাংলাদেশে ইয়ামাহা মোটরসাইকেলের টেকনিক্যাল কোলাবোরেটেড পার্টনার।

ইয়ামাহার বিভিন্ন মডেলের বাইকগুলোর মধ্যে এফ জেড সিরিজের মডেলগুলো খুবই জনপ্রিয়। এখন পর্যন্ত এই সিরিজের চারটিরও বেশি মডেল বাজারে এসেছে, যার সবগুলোই ক্রেতা চাহিদার শীর্ষে অবস্থান করছে। এতদিন ইয়ামাহা বাংলাদেশে শুধু ১৫৫ সি সি পর্যন্ত মোটরসাইকেল বিক্রি করতো। কিন্তু বাংলাদেশে উচ্চ সিসি’র বাইক অনুমোদনের পর থকে ইয়ামাহা বাংলাদেশের গ্রাহকদের চাহিদা মতো একটি মডেল বাজারে আনতে কাজ শুরু করে। অনেকদিন থেকেই গ্রাহকরা এফ জেড সিরিজের মধ্যে একটি উচ্চ সিসির বাইকের জন্য অপেক্ষা করছিল।

এর অংশ হিসেবে ১১ এপ্রিল রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার (আইসিসিবি)-তে এসিআই মোটরস এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বহুল প্রতিক্ষিত ইয়ামাহা এফ জেড ২৫ বাংলাদেশের বাজারে আনার ঘোষণা দেয়। ২৪৯ সিসির উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এই মোটরসাইকেলটিতে রয়েছে অয়েল কুলড বি এস সিক্স ইঞ্জিন, ৫-স্পিড গিয়ার, ৭-স্তরের অ্যাডজাস্টেবল মনোক্রস সাসপেনশন, শার্প ও কমপ্যাক্ট বি আই-ফাংশনাল প্রজেকশন এলইডি হেডল্যাম্প, এল ই ডি টেল লাম্প, ডুয়েল চ্যানেল এবিএস ব্রেকিং সিস্টেম। সব মিলিয়ে বলা যায় মোটরসাইকেল মডেলটি গ্রাহকদের জন্য বাইকিং এ ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে।

৩টি আকর্ষণীয় রঙ-এ মডেলটি পাওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে গ্রাহকরা প্রি-বুকিং এর মাধ্যমে বাইকটি কিনতে পারবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আরেকটি বিশেষ আকর্ষণ ছিল, পাকিস্তানের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আয়মা বেগ-এর গান। যা আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা তৈরী করে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের শ্রোতারা প্রথমবারের মতো এই জনপ্রিয় শিল্পীর গান সরাসরি উপভোগ করেছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইয়ামাহা মোটর ইন্ডিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান ইতারু ওটানি, এসিআই মোটরস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড.

এফ এইচ আনসারি, উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাসসহ ইয়ামাহা এবং এসিআই মোটরস-এর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ঢাকা/সাজ্জাদ/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন জনপ র য় এফ জ ড

এছাড়াও পড়ুন:

যমুনা সেতুতে ঈদের ছুটির শেষ ৪৮ ঘণ্টায় ৭ কোটি টাকার টোল আদায়

ঈদের ছুটি শেষে গত দুই দিনে সড়কে কর্মস্থলগামী মানুষের চাপ বেড়ে যায় বহুগুণ। বেড়ে যায় যমুনা সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন পারাপারও। বেড়েছে টোল আদায়ও। গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টায় ১ লাখ ৭৭৭টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৬ কোটি ৯১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৫০ টাকা।

যমুনা সেতু টোলপ্লাজা সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ হাজার ৫৯৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৩৬ হাজার ২৫০ টাকা। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৮ হাজার ২৬৬টি যানবাহন রয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫২ হাজার ২০০ টাকা। অপর দিকে ঢাকাগামী ৩৩ হাজার ৩২৯টি যানবাহন পার হয়েছে। টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৩৮ লাখ ৪ হাজার ৫০ টাকা।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ হাজার ১৮২টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ১৩ হাজার ২০০ টাকা। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গের দিকে ১৮ হাজার ৩৬৫টি যানবাহন পার হয়। এতে টোল আদায় হয় ১ কোটি ৪৮ লাখ ৩৮ হাজার ৩০০ টাকা। অপর দিকে ঢাকাগামী যানবাহন ছিল ৩০ হাজার ৮১৭টি। এর বিপরীত টোল আদায় ১ কোটি ৯৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯০০ টাকা।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির জানান, স্বাভাবিক সময়ে ১৮ থেকে ২০ হাজার যানবাহন প্রতিদিন পারাপার হয়। এবার ঈদের ছুটির শুরুতে এবং শেষে যানবাহন পারাপার কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ