টিকিটে বেড়েছে ৫০–৩০০ টাকা, যা জানাল সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ
Published: 14th, April 2025 GMT
আগাম ঘোষণা ছাড়াই ঢাকার মাল্টিপ্লেক্স চেইন স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ সিনেমার টিকিটের দাম বাড়িয়েছে। কোনো টিকিটের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা। আবার কোনোটির দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। হঠাৎ করে দাম বাড়ার কারণে সিনেমা দেখতে আসা দর্শকেরা বিপাকে পড়েছেন। এ নিয়ে অনেকে ফেসবুকে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। টিকিটের দাম বাড়তি হলেও ঈদের সিনেমা মুক্তির ১৪তম দিনেও বাংলাদেশি ছবিগুলো হাউসফুল যাচ্ছে।
দেশের অন্যতম এই মাল্টিপ্লেক্স চেইন ছয়টি বাংলা সিনেমা মুক্তির মধ্য দিয়ে ঈদ উৎসব শুরু করলেও এ সপ্তাহ থেকে প্রদর্শিত হচ্ছে চারটি চলচ্চিত্র। ‘জ্বীন ৩’ ও ‘অন্তরাত্মা’ ছবি দুটিতে দর্শক আগ্রহ না থাকায় প্রদর্শনী বন্ধ করে দিয়েছে তারা। চারটি ছবির মধ্যে তিনটি সিনেমায় দর্শক আগ্রহ বেশি। মুক্তির ১৪ দিনে এসেও টিকিটের সংকট আছে। কোনো ছবির টিকিট দর্শক দুই দিন আগে কিনে রেখেছেন, আবার কোনোটির এক দিন আগে। বাংলাদেশি সিনেমার এমন দর্শক চাহিদায় খুশি সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্রের প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীরা। এদিকে হলিউডের ছবি নামিয়ে দেশীয় ছবিকে অগ্রাধিকার দেওয়াতে সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রযোজক-পরিচালকদের কেউ কেউ। পাশাপাশি কোনো ধরনের আগাম নোটিশ ছাড়া টিকিটের দাম বাড়ানোর ব্যাপারটি সিনেমাপ্রেমী দর্শকের পাশাপাশি বিনোদন অঙ্গনের মানুষদের বিস্মিত করেছে। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গ্রুপে এ নিয়ে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন।
স্টার সিনেপ্লেক্সের সব শাখায় প্রদর্শিত হচ্ছে ‘বরবাদ’, ‘দাগি’, ‘চক্কর’ ও ‘জংলি’.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা
‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’
এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন।
এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’
প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।