বগুড়ায় আদালতের হাজতখানায় মারধরের শিকার আ.লীগ নেতা
Published: 15th, April 2025 GMT
বগুড়া আদালতের হাজতখানায় বগুড়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান শফিক মারধরের শিকার হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় হাজিরা দিতে আসা হত্যা মামলার আসামিদের দ্বারা এ ঘটনার শিকার হন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন।
জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর জুলাই বিপ্লবকে কেন্দ্র করে শফিকের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলাসহ বগুড়া সদর থানায় মোট ১২টি মামলা করা হয়। এরপর গত ১৮ ডিসেম্বর বুধবার রাত ৮টায় ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার তার আদালতে হাজিরা ছিল। এ জন্য তাকে কারাগার থেকে এনে আদালতে হাজিরা শেষে হাজতখানায় রাখা হয়। হাজতখানায় বিভিন্ন মামলার আরও বেশ কয়েকজন হাজতি অবস্থান করছিলেন। বেলা দেড়টার দিকে শফিকের হাতে থাকা পানির বোতল থেকে সাগর নামের হত্যা মামলার এক আসামির শরীরে পানি পড়ে।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্কের একপর্যায় সাগর ও তার সহযোগী জলিল শফিককে মারধর শুরু করেন। পরে হাজতের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা শফিককে অন্যত্র সরিয়ে নেন।
এদিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় আদালত চত্বরে আবু সুফিয়ান শফিক সাংবাদিকদেরকে বলেন, “পুলিশ পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেনের নির্দেশে আমার ওপর হামলা করা হয়েছে। আমি হাজতখানার বাথরুমে আশ্রয় নিলে সেখানেও আমাকে মারধর করা হয়। পুলিশ হেফাজতে থাকার পরও আমাকে নিরাপত্তা দিতে পারেনি। মারধরের পর আমাকে চিকিৎসা না দিয়ে তড়িঘড়ি করে কারাগারে নিয়ে যাচ্ছে। সাগর, জলিলসহ চারজন আমার ওপর হামলা করেছে। তারা সবাই হত্যা মামলার আসামি। এ ঘটনায় আমি মামলা করব।”
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, “ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি হাজতখানায় গিয়ে শফিকের সঙ্গে কথা বলেছি। তাৎক্ষণিক বিষয়টি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হয়েছে। তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।”
ঢাকা/এনাম/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ জতখ ন য় ম রধর
এছাড়াও পড়ুন:
ঠিক কতটুকু ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলে কাপড় হবে পরিষ্কার, অপচয়ও কমবে
ডিটারজেন্ট কতটুকু ব্যবহার করবেন
গড়পড়তা ২–৩ কেজি কাপড়ের জন্য ২ টেবিল চামচের বেশি ডিটারজেন্ট লাগে না।
ডিটারজেন্টের মাপার ক্যাপ কখনো পূর্ণ করবেন না। অধিকাংশ সময় এত কাপড় একসঙ্গে ধোওয়া হয় না।
একটি মাত্র পোশাক ভিজিয়ে রাখতে চাইলে প্রতি গ্যালন (৩ দশমিক ৭৮ লিটার)
পানিতে ১ চা–চামচ ডিটারজেন্ট যথেষ্ট।
অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহারের লক্ষণকাপড়ে ডিটারজেন্টের আস্তর লেগে থাকবে।
কাপড় শক্ত, খসখসে বা আঠালো হয়ে যাবে।
রঙিন কাপড় ম্লান ও সাদা কাপড় ধূসর হয়ে যাবে।
ওয়াশিং মেশিন থেকে দুর্গন্ধ আসবে।
আরও পড়ুনধোয়ার পর কাপড়ের ক্ষতি হবে না, যদি মেনে চলেন এসব উপায়১৪ অক্টোবর ২০২৪কোন কোন বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে ডিটারজেন্টের পরিমাণকাপড়ের পরিমাণ ও ধরন: তোয়ালে, বিছানার চাদরের মতো ভারী কাপড়ের জন্য ডিটারজেন্ট একটু বেশি দরকার হয়।
কাপড় কতটা নোংরা: দাগযুক্ত কাপড়ে সামান্য বাড়তি ডিটারজেন্ট দিন।
পানির খরতা: খর পানিতে ডিটারজেন্ট বেশি লাগে, মৃদু পানিতে কম।
হাতে কাপড় ধোওয়ার সময়ছোট বালতি (৩–৮ লিটার পানি): ১ চা–চামচ
মাঝারি বালতি (৯–১৪ লিটার পানি): ২ চা–চামচ
বড় বালতি (১৫ লিটারের বেশি পানি): ১ টেবিল চামচ
কাপড় দেওয়ার আগে পানিতে ডিটারজেন্ট ভালোভাবে গুলিয়ে নিন। তাতে অবশিষ্টাংশ কাপড়ে আটকে থাকবে না।আরও পড়ুনধোয়া কাপড় থেকেও দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে? জেনে রাখুন সমাধান০২ অক্টোবর ২০২৩কাপড়ের ধরন অনুযায়ীসিল্ক ও পশমি কাপড়: ১/২–১ চা–চামচ (প্রতি ৩–৮ লিটার পানি)
সুতি ও সিনথেটিক কাপড়: ১ চা–চামচ (ময়লা বেশি হলে সামান্য বাড়ান)
খুব নোংরা কাপড়: আগে দাগ পরিষ্কার করে নিন, তারপর ১.৫ চা–চামচ পর্যন্ত ডিটারজেন্ট দিন।
দাগ দূর করার টিপসকোনো দাগ সহজে না উঠলে তার ওপর সরাসরি সামান্য ডিটারজেন্ট লাগিয়ে আলতো করে ঘষুন।
পরে পানিতে ভিজিয়ে নিন।
এতে পুরো বালতিতে অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট দিতে হবে না।
পর্যাপ্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহার করছেন কি না বুঝবেন যেভাবেকাপড় ধোয়ার পর সাবানের আস্তর বা গন্ধ থাকবে না।
কাপড় হবে নরম ও আরামদায়ক।
লন্ড্রি পড ব্যবহার করলেছোট লোড: ১ পড
মাঝারি লোড: ২ পড
বড় লোড: ৩ পড
সূত্র: গুড হাউসকিপিং
আরও পড়ুনবডি স্প্রে নাকি পারফিউম—কখন, কোথায়, কোনটা ব্যবহার করবেন২ ঘণ্টা আগে