ব্রাজিল নয় পর্তুগালের কোচ হচ্ছেন মরিনহো
Published: 16th, April 2025 GMT
জাতীয় দলের পরবর্তী কোচ নিয়োগের জন্য চার জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা করেছে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। সংবাদ মাধ্যম গ্লোবোর দেওয়া ওই খবরে, তালিকায় ছিলেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ, ইন্টার মিলান ও চেলসির পর্তুগিজ কোচ হোসে মরিনহো।
যদিও মরিনহো ব্রাজিলের দায়িত্ব পাওয়ার তালিকায় শীর্ষে ছিলেন না। এবার সংবাদ মাধ্যম সিএনএন দাবি করেছে, তুরস্কের ক্লাব ফেনেরবেচের ডাগ আউটে থাকা মরিনহো আগামী গ্রীষ্মে নিজ দেশ পর্তুগালের হেড কোচের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।
পর্তুগালের বর্তমান কোচ রর্বাতো মার্টিনেজ। স্প্যানিশ এই কোচ ২০১৮ বিশ্বকাপে বেলজিয়ামকে সেমিফাইনালে তুলেছিলেন। কিন্তু ২০২২ বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর চাকরি যায় তার। পরেই তিনি পর্তুগাল জাতীয় দলের দায়িত্ব পান।
আগামী ৫ জুন জার্মানির বিপক্ষে উয়েফা নেশন্স লিগের সেমিফাইনাল খেলবে পর্তুগাল। ওই ম্যাচে অবশ্য পর্তুগালের ডাগ আউটে থাকবেন মার্টিনেজ। সিএনএন দাবি করেছে, এরপর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে সাবেক এভারটন কোচ মার্টিনেজকে।
সিএনএন জানিয়েছে, গ্রীষ্মে পর্তুগালের সম্ভাব্য কোচ হোসে মরিনহো। তিনি এরই মধ্যে পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় অনুষ্ঠেয় ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত পর্তুগালের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন তিনি।
মরিনহো পর্তুগালের ডাগ আউটে দাঁড়ালে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে পুর্নমিলনী হবে তার। এর আগে রিয়াল মাদ্রিদে এই জুটি ২০১০-১৩ মৌসুম পর্যন্ত কাজ করেছেন। তবে ওই সময় রোনালদো ও মরিনহোর মধ্যে দ্বন্দ্বের খবর বেরিয়েছিল। পুরনো ঝামেলা নতুন করে কোন সমস্যার সৃষ্টি করবে বলেও নাকি পর্তুগিজ ফেডারেশনকে আশ্বস্ত করেছেন মরিনহো।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল পর ত গ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির
জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর
দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”
তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী