জাতীয় দলের পরবর্তী কোচ নিয়োগের জন্য চার জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা করেছে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। সংবাদ মাধ্যম গ্লোবোর দেওয়া ওই খবরে, তালিকায় ছিলেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ, ইন্টার মিলান ও চেলসির পর্তুগিজ কোচ হোসে মরিনহো। 

যদিও মরিনহো ব্রাজিলের দায়িত্ব পাওয়ার তালিকায় শীর্ষে ছিলেন না। এবার সংবাদ মাধ্যম সিএনএন দাবি করেছে, তুরস্কের ক্লাব ফেনেরবেচের ডাগ আউটে থাকা মরিনহো আগামী গ্রীষ্মে নিজ দেশ পর্তুগালের হেড কোচের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। 

পর্তুগালের বর্তমান কোচ রর্বাতো মার্টিনেজ। স্প্যানিশ এই কোচ ২০১৮ বিশ্বকাপে বেলজিয়ামকে সেমিফাইনালে তুলেছিলেন। কিন্তু ২০২২ বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর চাকরি যায় তার। পরেই তিনি পর্তুগাল জাতীয় দলের দায়িত্ব পান।

আগামী ৫ জুন জার্মানির বিপক্ষে উয়েফা নেশন্স লিগের সেমিফাইনাল খেলবে পর্তুগাল। ওই ম্যাচে অবশ্য পর্তুগালের ডাগ আউটে থাকবেন মার্টিনেজ। সিএনএন দাবি করেছে, এরপর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে সাবেক এভারটন কোচ মার্টিনেজকে। 

সিএনএন জানিয়েছে, গ্রীষ্মে পর্তুগালের সম্ভাব্য কোচ হোসে মরিনহো। তিনি এরই মধ্যে পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় অনুষ্ঠেয় ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত পর্তুগালের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন তিনি। 

মরিনহো পর্তুগালের ডাগ আউটে দাঁড়ালে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে পুর্নমিলনী হবে তার। এর আগে রিয়াল মাদ্রিদে এই জুটি ২০১০-১৩ মৌসুম পর্যন্ত কাজ করেছেন। তবে ওই সময় রোনালদো ও মরিনহোর মধ্যে দ্বন্দ্বের খবর বেরিয়েছিল। পুরনো ঝামেলা নতুন করে কোন সমস্যার সৃষ্টি করবে বলেও নাকি পর্তুগিজ ফেডারেশনকে আশ্বস্ত করেছেন মরিনহো।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল পর ত গ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

শি জিনপিং ফোন করেছিলেন, ট্রাম্পের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান চীনের

শুল্ক আরোপ নিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাকে ফোন করেছিলেন বলে যে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তা প্রত্যাখ্যান করেছে চীন। সোমবার বেইজিং জানিয়েছে, শি জিনপিং সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেননি। এমনকি দুই দেশের মধ্যে শুল্কযুদ্ধ মেটাতে কোনো আলোচনাও হচ্ছে না। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে। খবর-সিএনএন

গত সপ্তাহে টাইম সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট সি তাঁকে ফোন করেছেন। এ ঘটনায় চীন তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও আজ দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুয়ো জিয়াকুন নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমার জানামতে, সম্প্রতি দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে ফোনে কোনো কথা হয়নি। আমি আবারও স্পষ্ট করে বলতে চাই, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুল্ক ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা বা দর–কষাকষি চলছে না।’

গত শুক্রবার টাইম সাময়িকীতে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে সির প্রতি ইঙ্গিত করে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি আমাকে ফোন করেছিলেন। আমি মনে করি না এটি তাঁর পক্ষ থেকে কোনো দুর্বলতার ইঙ্গিত।’

ট্রাম্প বারবার সি চিন পিংকে ‘বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেছেন। তবে টাইম সাময়িকীকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চীনের নেতার সঙ্গে কথিত ফোনালাপের বিষয়বস্তু বা সময় সম্পর্কে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য দেননি। এমনকি সিএনএন শুক্রবার জানতে চাইলেও তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।

শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সিএনএনের সাংবাদিক অ্যালাইনা ট্রিনের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না। তবে আমি তাঁর (সি চিন পিং) সঙ্গে অনেকবার কথা বলেছি।’

সর্বশেষ গত ১৭ জানুয়ারি ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক দিন আগে দুই নেতা ফোনে কথা বলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শি জিনপিং ফোন করেছিলেন, ট্রাম্পের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান চীনের
  • ট্রাম্পের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে চীনের প্রেসিডেন্টের কোনো কথা হয়নি: বেইজিং