সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এক জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ভোররাতে উল্লাপাড়া রেলস্টেশনের পাশে ব্রহ্মকপালিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- পাবনার হরিনাথপুর গ্রামের মাইক্রোবাস চালক মুনছুরুল আলম (৪৩) ও একই গ্রামের জীবন চন্দ্র শীলের ছেলে মানিক চন্দ্র শীল (৪২)।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, ‘‘বাঘাবাড়ি থেকে সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাক বগুড়া যাচ্ছিল। উল্লাপাড়া রেলস্টেশনের পাশে পৌঁছালে ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের চালক মুনছুরুল আলম ও যাত্রী মানিক চন্দ্র শীল মারা যান।’’

আরো পড়ুন:

মাধবপুরে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৪

কুষ্টিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

তিনি আরো বলেন, ‘‘ঘটনার পরপরই ট্রাকের চালক ও সহকারী পালিয়ে যান। পুলিশ ট্রাকটি আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে। নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’’

ঢাকা/রাসেল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন এই আদেশ দেন।

আরো পড়ুন:

কৃষক হত্যার দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন

শেরপুরে পুলিশের উপর হামলা: থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪

সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম ইসমাইল হোসেন। তিনি জেলার কামারখন্দ উপজেলার পাইকোসা পূর্বপাড়া গ্রামের মো. আবু তালহার ছেলে। মামলার অপর দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. মাসুদুর রহমান (মাসুদ) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পাইকোসা পূর্বপাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেন একই গ্রামের আব্দুল হালিম সরকারের মেয়ে সুমাইয়া খাতুন সুরভীর সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেন। কিন্তু, বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য ইসমাইল স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। ২০২০ সালের ১৯ জুন সুমাইয়া খাতুন সুরভীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে লাশ সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আবু বাদী হয়ে কামারখন্দ থানায় ইসমাইল হোসেন, তার বাবা আবু তালহা ও মা সাহিদা বেগমকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত, সাক্ষ্যগ্রহন ও শুনানি শেষে বিচারক আজ এই রায় ঘোষণা করেন।

ঢাকা/রাসেল/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ