মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের (জেআইএম) অভিযানে বিভিন্ন দেশের ৫০৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬৫ জনই বাংলাদেশি। বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুরের মেদান ইম্বির একটি ব্যবসায়িক এলাকায় অভিযান চালানো হয়। 

মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম নিউ স্ট্রেটস টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ৪৪৮ জন পুরুষ। তাদের মধ্যে ১৬৫ জন বাংলাদেশি এবং ১২৪ জন নেপালি। অভিযানে ৫৮ জন নারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের মধ্যে ৪০ জন ইন্দোনেশিয়ান এবং ১৮ জন নেপালি। তবে গ্রেপ্তার নারীদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি ছিলেন না। 

কুয়ালালামপুরের মেদান ইম্বির একটি ব্যবসায়িক এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। ইমিগ্রেশন বিভাগের সদরদপ্তর এবং নেগেরি সেম্বিলান ইমিগ্রেশন বিভাগের বিভিন্ন পদের ১৮৫ জন ইমিগ্রেশন অফিসারের একটি বাহিনী এবং জাতীয় নিবন্ধন বিভাগের মতো অন্যান্য সংস্থার সহায়তায় এ যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। 

দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক জাকারিয়া শাবান বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই অভিযানে মোট ৮৯৫ জন ব্যক্তির কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৭৪৯ জন অভিবাসী এবং ১৪৬ জন স্থানীয় নাগরিক ছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৫০৬ জন অভিবাসী নাগরিককে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের সবার বয়স ২৫ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে। 

তিনি আরও বলেন, পরিচয়পত্র না থাকা, পাসের শর্ত লঙ্ঘন, অতিরিক্ত সময় ধরে থাকা, অচেনা কার্ডধারী, অভিবাসন আইন লঙ্ঘন ইত্যাদি অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অভিবাসন বিভাগের তদন্ত শেষে তাদের নিয়োগকর্তাদেরও ডাকা হবে। 


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

বন্ধুর মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়ে প্রাণ গেল তরুণীর

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে মোটরসাইকেলের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে সুমাইয়া (১৮) নামের এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলার জমিদার ব্রিজ এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সুমাইয়া তার বন্ধু মো. সজিব প্রামাণিকের মোটরসাইকেলে চড়ে ঘুরতে বের হন। মোটরসাইকেলটি দ্রুতগতিতে চলার সময় হঠাৎ পেছনের চাকায় সুমাইয়ার ওড়না পেঁচিয়ে যায়। এতে ভারসাম্য হারিয়ে তিনি সড়কে ছিটকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে সোমবার রাতেই  আহলাদিপুর হাইওয়ে থানায় সজিব প্রামাণিকের বিরুদ্ধে  মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ফরিদপুর থেকে সজিবকে মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আহলাদিপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামীম শেখ বলেছেন, সুমাইয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের পরপরই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে তাকে রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/রবিউল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ